অনলাইন ব্যবসা কি? ঘরে বসে অনলাইন ব্যবসার আইডিয়া- সফল অনলাইন ব্যবসা সমূহ

বন্ধুরা আজ আমি আপনাদের সাথে- অনলাইন ব্যবসা কি? ঘরে বসে অনলাইন ব্যবসার আইডিয়া (online business idea ‍at home), সফল অনলাইন ব্যবসা ইত্যাদি সম্পর্কে এই আর্টিকেলের মাধ্যমে আলোচনা করবো।

আপনি যদি অনলাইন ব্যবসা করবেন ভেবে থাকেন , কিন্তু কিভাবে অনলাইনে ব্যবসা শুরু করবেন?

ঘরে বসে অনলাইনে ব্যবসা সম্পর্কে আপনার কোন আইডিয়া না থাকে তাহলে, আজকের আর্টিকেলটি আপনার জন্য।

কেননা, এই আর্টিকেলের মধ্যে আমি- Online ব্যবসা কি? (what is online business?) ঘরে বসে অনলাইন ব্যবসার আইডিয়াসহ সকল ব্যবসার আইডিয়া সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করেছি।

তাই অনলাইন ব্যবসা আইডিয়া সম্পর্কে পুরোপুরি জানতে আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে শেষ পর্যন্ত পড়ুন।

এক নজরে দেখুন 👁‍🗨👁‍🗨

অনলাইন ব্যবসা কি? What is Online Business?

যে সকল ব্যবসাকে ভার্চুয়াল ভাবে ঘরে বসেই অনলাইনের মাধ্যমে নিয়ন্ত্রণ করা যায় সেই সকল ব্যবসাকেই মূলত অনলাইন ব্যবসা বলা হয়।

অর্থাৎ online business হল ইন্টারনেটের মাধ্যমে ক্রেতা এবং বিক্রেতার মধ্যে ক্রয় বিক্রয় সম্পন্ন করার জন্য যে সকল কার্যকলাপ পরিচালনা করা হয় সেগুলোই মূলত অনলাইন ব্যবসা।

সহজ কথায়- ধরুন আপনার একটি ওয়েবসাইট রয়েছে, সেখানে আপনি যে কোন প্রোডাক্ট বিক্রি করার জন্য  জানালেন বা বিজ্ঞাপন  দিলেন।

জন্ম নিবন্ধন যাচাই করে কিভাবে? জন্ম নিবন্ধন সনদ যাচাই করার নিয়ম

এখন যাদের পন্যগুলো প্রয়োজন, তারা সেগুলো অনলাইনে ক্রয় করার জন্য অর্ডার করলো।

এখন অর্ডারকরা পন্যটি কাস্টমারের বাসায় কুরিয়ারের বা ডাকযোগে আপনি পৌছে দিলেন।

মূলত এটাই অনলাইন ব্যবসা ।

Online business মানে কি?

Online business হলো এমন এক সিস্টেম বা প্রক্রিয়া, যার শুরু এবং শেষ পর্যন্ত সকল কার্যক্রম অনলাইনে করা হয়ে থাকে।

ইন্টারনেটে সচল ব্যবহারকারীদের বা অনলাইন গ্রাহকদের টার্গেট করে পণ্য, সার্ভিস লাভের উদ্দেশ্যে করা হয়।

বর্তমানে অনলাইনে বেচা কেনার আগ্রহ লোকদের আগের চেয়ে অনেকটাই বেড়েছে। তাই অনলাইন ব্যবসার প্রসারও দিন দিন বেড়েই চলেছে।

আরো জানুন, 

যারা অনলাইনে ব্যবসা করছেন, তারা অনেকেই প্রচুর টাকা ইনকাম করছেন online business করে।

অনলাইন ব্যবসা বলতে,  বেচা-কেনা ছাড়াও- নিজের ব্লগ বা ওয়েবসাইট, ইউটিউব ভিডিওতে Google Adsense  এর বিজ্ঞাপন দ্বারা টাকা ইনকাম করাকেও বুঝায়।

এছাড়াও এ্যফিলিয়েট মার্কেটিং এর মাধ্যমে অনলাইনে কমিশন আয় করাকেও এক ধরনের অনলা্‌ন ব্যবসা এবং এর সাথে আরো জড়িত  অন্যান্য বিষয়গুলোকেও একধনের অনলাইন ব্যাবসা বলা হয়।

অনলাইন এবং অফলাইন ব্যবসার পার্থক্য-

আমরা প্রকাশ্যে সচরাচর অফলাইনে যে ব্যবসা গুলো করে থাকি সেগুলোর কিছু নিয়ম-নীতি রয়েছে, যেগুলো মেনে আমাদের ব্যবসা পরিচালনা করতে হয়।

একই রকম ভাবে অফলাইনে ব্যবসার মতোই অনলাইনে ব্যবসা কিছু নিয়ম নীতি রয়েছে।

অনলাইনে ব্যবসা করতে গেলে সে সকল নিয়ম নীতি আমাদেরকে অবশ্যই মেনে চলতে হবে।

কিন্তু আমরা যখন অনলাইনে ব্যবসা করব তখন অফলাইনে ব্যবসা করার চেয়ে অনলাইনে ব্যবসা সুবিধাও নয় বেশি পেয়ে থাকি।

অনলাাইন এবং অফলাইন ব্যবসার মধ্যে পার্থক্য সমূহ:

  • ঘরে বসেই অনলাইন ব্যবসা আপনি করতে পারবেন। অর্থাৎ ঘরে বসে অনলাইনে ব্যবসা করার সুবিধা রয়েছে। আর অফলাইন ব্যবসা করার জন্য আপনাকে অবশ্যই মার্কেটে বা শহরে অফিস বা দোকান দিতে হবে। অফলাইনে ঘরে বসে ব্যবসা করার কোন সুযোগ নেই।
  • অনলাইনে ব্যবসা আপনি ২৪ ঘন্টায় করার সুযোগ পাবেন। আর অফলাইনে ব্যবসা করার ক্ষেত্রে আপনাকে নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যেই করতে হবে। অলটাইম ব্যবসা করার সুযোগ এখানে নেই।
  • অনলাইনে ব্যবসা করার জন্য আপনার কোন ধরনের দোকান বা রুমের প্রয়োজন নেই। আর অফলাইনে ব্যবসা পরিচালনা করার জন্য আপনাকে অবশ্যই একটি দোকান অফিসের প্রয়োজন রয়েছে।
  • অনলাইনে ব্যবসা করার জন্য আপনার সম্পূর্ণ স্বাধীনতা রয়েছে। এখানে আপনি আপনার ওয়েবসাইটে প্রোডাক্টগুলো ডিসপ্লে করে রেখে বিক্রি করতে পারবেন। কিন্তু অফলাইনে ব্যবসা করার জন্য আপনাকে অবশ্যই আপনার দোকান খাওয়া অফিসে বসেই করতে হবে।
  • অনলাইনে অনেক ব্যবসা রয়েছে যেগুলো অল্প টাকায় শুরু করা যায় এবং কিছু কিছু ব্যবসা রয়েছে যেগুলো টাকা ছাড়াও শুরু করা যায়। আর অফলাইনে ব্যবসার ক্ষেত্রে আপনাকে প্রচুর টাকা খরচ করতে হবে ব্যবসা শুরু করার জন্য।
  • অনলাইনে ব্যবসা করার জন্য আপনি বিশ্বের যে কোন জায়গা থেকেই করতে পারবেন। এতে আপনার শুধু প্রয়োজন হবে কম্পিউটার এবং ইন্টারনেট কানেকশনের। আর অফলাইনে ব্যবসা করার জন্য নির্দিষ্ট জায়গায় বসে ব্যবসা করতে হবে।
  • অনলাইনে ব্যবসার ক্ষেত্রে আপনি বিশ্বের যেকোনো দেশের লোকদের টার্গেট করে ব্যবসা করতে পারবেন। আর অফলাইনের ব্যবসার জন্য আপনাকে দোকানের আশেপাশে লোকদেরকে টার্গেট করে করতে হবে।

এতক্ষণে আপনারা হয়তো অনলাইন এবং অফলাইনে ব্যবসার (Online VS Offline business) পার্থক্য গুলো বুঝে গেছেন।

অনলাইনে ব্যবসার ক্ষেত্রে অফলাইনে ব্যবসার চেয়ে অনেক বেশি সুবিধা রয়েছে।

বন্ধূরা, এখন আমরা অনলাইনে বিজনেস কিভাবে করবেন বা অনলাইনে ব্যবসা শুরু করার নিয়ম নিয়ে আলোচনা করবো।

অনলাইন বিজনেস কিভাবে শুরু করব? অনলাইন ব্যবসা শুরু করার নিয়ম-

বর্তমান ডিজিটাল যুগে online business শুরু করা খুবই সহজ।

ইন্টারনেটের ব্যবহার বৃদ্ধি, অনলাইন শপিং চাহিদা আগের তুলনায় জনপ্রিয় হওয়াতে অনলাইন মার্কেটপ্লেস গুলো তে কাজ করে টাকা ইনকাম করার সুযোগ অনেক বেশি রয়েছে।

কিন্তু আপনার যদি অনলাইনে নতুন হয়ে থাকেন। আপনার যদি অনলাইন মার্কেটপ্লেস সম্পর্কে কোন ধারণা না থাকে।

তাহলে আপনার সর্বপ্রথম অনলাইন ব্যবসা শুরু করার নিয়ম গুলো জানতে হবে।

অনলাইন বিজনেস কিভাবে করব? বা  online business করার নিয়ম জানার মাধ্যমে আপনি নিজে নিজেই অনলাইন ব্যবসা শুরু করতে পারবেন।

আরো পড়ুন,  

অনলাইনে বিভিন্ন ধরনের ব্যবসা রয়েছে । আপনি আপনার পছন্দমত ব্যবসাটি করতে পারেন।

তবে, যে ব্যবসা সম্পর্কে আপনার সম্পূর্ণ ধারণা রয়েছে আপনি অনলাইনে করে ভালো পরিমানে টাকা ইনকাম করতে পারবেন।

ঘরে বসে অনলাইন ব্যবসার সিস্টেম-

আপনি ইন্টারনেটে সার্চ করে ঘরে বসে অনলাইন বিজনেস সিস্টেম সম্পর্কে জানতে পারবেন।

তবে আজ আমি আপনাদের সুবিধার্থে কয়েকটি অনলাইনে ব্যবসার সারা পদ্ধতি সম্পর্কে আলোচনা করছি।

তাছাড়া আমি এখানে যে ঘরে বসে অনলাইন বিজনেস সিস্টেম গুলো নিয়ে আলোচনা করব।

এই অনলাইন ব্যবসাগুলো আপনি টাকা ছাড়াই শুরু করতে পারবেন ।

১. ব্লগিং এন্ড ইউটিউবিং-

আপনি যদি একদম অনলাইনে নতুন হয়ে থাকেন এবং সম্পূর্ণ ফ্রিতে অনলাইন ব্যবসা শুরু করতে চান? তাহলে, আমি আপনাকে ব্লগিং অথবা ইউটিউবিং করার পরামর্শ দিব।

ব্লগিং হচ্ছে অনলাইন জগতের সবচেয়ে শুরুর লাভজনক ব্যবসা আইডিয়া।

আপনি যদি অনলাইনে লেখালেখি পছন্দ করেন, তাহলে আপনি ব্লগিং শুরু করতে পারেন একদম ফ্রিতে।

কিভাবে ফ্রিতে ব্লগ সাইট তৈরি করবেন? তা জানার জন্য আপনি আমার আগের আর্টকেলটি দেখে নিতে পারেন।

আর আপনি যে আর্টিকেলটি পরছেন মূলত এটাই ব্লগিং বা ব্লগিং এর কাজ।

আর যদি আপনি ভিডিও বানাতে পারেন বা ভিডিও বানাতে আপনার ভালো লাগে। তাহলে, আপনি একটি ইউটিউব চ্যানেল খুলে সেখানে ভিডিও আপলোড করে ইউটিউবিং করতে পারেন।

একটি ইউটিউব চ্যানেল খোলার নিয়ম সম্পর্কে জানতে আমার আগের লেখা আর্টিকেলটি পড়ে আসতে পারেন।

ব্লগিং এবং ইউটিউব থেকে ইনকাম করার জন্য মূলত গুগল এডসেন্স ব্যবহার করা হয়।

গুগল এডসেন্স এর বিজ্ঞাপন দেখিয়ে আপনি আপনার ব্লগ বা ওয়েবসাইট অথবা ইউটিউব চ্যানেল বিজ্ঞা/পন দেখিয়ে অনলাইনে মাসে লাখ লাখ টাকা ইনকাম করতে পারবেন।

অনেকেই ঘরে বসে অনলাইনে মাসে লাখ লাখ টাকা ইনকাম করছেন ওয়েবসাইট বা ইউটিউব চ্যানেলের মাধ্যমে

তাই, আপনিও চাইলে আপনার পছন্দের বিষয়টি নিয়ে অনলাইনে ইনকাম করা শূরু করে দিতে পারেন।

আপনি যদি দিনে ২-৩ ঘন্টা কাজ সময় দিয়ে কাজ করেন তাহলেও আপনি মাসে কমপক্ষে ১৫-২০ হাজার টাকা ইনকাম করতে পারবেন ব্লগিং বা ইউটিউবিং থেকে।

আর যদি আপনি ফুল টাইম কাজ করেন তাহলে মাসে লাখ লাখ টাকা ইনকাম করতে পারবেন ইউটিউবিং ও ব্লগিং করে।

অবিশ্বাস্য হলেও এটাই সত্য। যাচাই করতে গুগল এডসেন্স সম্পর্কে নেটে সার্চ করে দেখুন।

তবে, ইনকাম করার আগে আপনাকে সঠিকভাবে কাজ শিখে নিতে হবে। আপনি চাইলে অনলাইন বিভিন্ন ক্লাস করে অথবা ইউটিউব ভিডিও দেখেও শিখতে পারবেন।

২. ই-কমার্স ওয়েবসাইট-

বর্তমানে যে কোনো যায়গা থেকে অনলাইনে সক্রিয় থেকে online store বা অনলাইন দোকান বা E-commerce website এ যাওয়া যায়।

তাছাড়াও অনলাইন শপিং এর চাহিদাও লোকদের মধ্যে দিন দিন বেড়েই চলেছে।

তাই আপনি যদি একটি ওয়েবসাইট খুলে সেখানে অনলাইন শপিং বা ই-কমার্স হিসেবে বানিয়ে নেন। আর তাতে আপনার প্রোডাক্টগুলো আপলোড বা ডিসপ্লে করে দেন।

তাহলে যে কোন দেশের লোক আপনার ওয়েব সাইটে ঢুকে আপনার প্রোডাক্ট সম্পর্কে জানতে পারবে এবং পছন্দ হলে তারা আপনার প্রোডাক্টগুলো অনলাইনে কিনতে পারবে।

তাই অনলাইনে ব্যবসা শুরু করার জন্য প্রথমে একটি ইকমার্স ওয়েবসাইট বানিয়ে অনলাইন ব্যবসা শুরু করতে পারেন।

যা আপনি ঘরে বসেই ব্যবসা করে অনেক টাকা ইনকাম করতে পারবেন। বর্তমানে ই-কমার্স সাইটগুলোর প্রচুর চাহিদা রয়েছে।

৩. অ্যাপ বানানো-

আপনি গুগল প্লে স্টোরে গিয়ে বিভিন্ন ধরনের অ্যাপস দেখতে পারবেন যেগুলো গুলো অনেকেই বানিয়ে রেখেছে।

এই অ্যাপগুলোর মাধ্যমে অনেকেই তাদের পন্য বিক্রি করছেন।

যেমন ধরুন,

swiggy app, Food panda, Uber eats, এর মতো কিছু অ্যাপ রয়েছে যেগুলোর মাধ্যমে ঘরে বসেই যে কোন জায়গা থেকে খাবার অর্ডার করে খাবার পাওয়া যাচ্ছে।

এছাড়াও Uber এবং OLA মতো কিছু অ্যাপ আছে যার মাধ্যমে cab, auto বা bike book যে কোনো যায়গা থেকে ভাড়া করে ভ্রমন করা যায়।

আপনার যদি এরকম কোন কোন আইডিয়া থেকে থাকে যেগুলো অ্যাপের মাধ্যমে ব্যবসা করা সম্ভব, তাহলে আপনি একটি অ্যাপ বানিয়ে অনলাইন ব্যবসা শুরু করতে পারবেন।

৪. ফেসবুকে অনলাইন ব্যবসা-

ফেসবুকের মাধ্যমে অনলাইনে ইনকাম করা যায়।

বিশ্বের সকল দেশেই ফেসবুকের লক্ষ লক্ষ ইউজার রয়েছে এবং ফেসবুকে সক্রিয় (active) ইউজারদের সংখ্যা অন্যান্য সোশ্যাল মিডিয়ার তুলনায় অনেক বেশি।

আপনি যদি কোন পণ্য কিনে তা ফেসবুকের মাধ্যমে বিক্রি করতে চান? তাহলে আপনার প্রোডাক্ট কি বিক্রি করার জন্য ফেসবুক আপনাকে অসংখ্য গ্রাহক জোগাড় করে দিতে পারে।

যে কেউ তার ফেসবুক একাউন্টে যেকোনো পণ্য কে করার মাধ্যমে গ্রাহকদের কাছে বিক্রি করতে পারেন খুব সহজে।

এর জন্য আপনাকে যা করতে হবে- আপনি আপনার প্রোডাক্টগুলোর ছবি, দাম, বিবরণ, মোবাইল নাম্বার বা যোগাযোগের মাধ্যম আপনার ফেসবুক প্রোফাইলে বা পেজে লিস্ট আকারে দিয়ে রাখুন।

যারা আপনার লিস্ট গুলোর মধ্য থেকে যে প্রোডাক্টটি পছন্দ করবে সে প্রোডাক্ট সম্পর্কে  জানতে বা কিনার জন্য আপনার সাথে যোগাযোগ করবে।

আপনি তাদের সেই পছন্দের প্রোডাক্টটি কোরিয়ার, ডাকযোগে বা অন্যকোনো মাধ্যমে পৌছে দিতে পারেন।

আপনি আপনার ব্যবসা পরিচালনার জন্য যেকোনো অঞ্চলের লোকদেরকে টার্গেট করে আপনার প্রোডাক্ট গুলো দেখাতে পারবেন  এই ফেসবুকের মাধ্যমে।

এছাড়াও কোন গ্রাহক যখন আপনার কাছে প্রোডাক্ট গ্রহণ করবে তখন তারা টাকা পেমেন্ট করেই প্রোডাক্টটি নিতে পারবে।

মূলত এই পদ্ধতিকেই ডিজিটাল মার্কেটিং বলা হয়।

তাই বলা যাই ফেসবুক হল অনলাইন ব্যবসা শুরু করার একটি সহজ পদ্ধতি।

৫. সোশ্যাল মিডিয়ার ব্যবহার

ফেসবুকের ছাড়াও আরো অনেক অনলাইন মার্কেটপ্লেস রয়েছে।

যেমন- twitter, Google plus বা Instagram ইত্যাদি social media website যেখানে আপনি একটি একাউন্ট রেজিস্ট্রেশন করে আপনার প্রোডাক্টগুলো বিক্রি করতে পারবেন।

এর জন্য আপনার কোনো ওয়েবসাইটের প্রয়োজন নেই।

অবশ্যই পড়ুন, 

সেরা ১২ টি ঘরে বসে অনলাইন ব্যবসার আইডিয়া- Best online business idea

বন্ধুরা, আপনারা যদি অনলােইনে ব্যবসা করার চিন্তা ভাবনা করেন। তাহলে আপনি অনলাইনে অনেক ধরনের সফল অনলাইন ব্যবসা আইডিয়া পাবেন।

আমি আমি আপনাদের সাথে উপরে যে, online business আইডিয়া সম্পর্কে আলোচনা করেছি।

সেগুলো মধ্য থেকে যে কোনো একটি অনলাইন বিজনেস শুরু করে নিজেকে একজন সফল অনলাইন ব্যবসায়ী হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করতে পারেন।

আপনাকে জানতে ও বেছে বের করতে হবে যে, কোন পন্যের চাহিদা মানুষের মাঝে প্রচেুর রয়েছে এবং কোন প্রোডাক্টগুলো অফলাইন মার্কেটে সচরাচর পাওয়া যায় না।

সেগুলো নিয়েও অনলাইনে কাজ শুরু করতে পারেন। এতে করে খুব সহজেই অনলাইন ব্যবসায় সফল হওয়া যায়।

অনলাইন ব্যবসা কি ? , ঘরে বসে অনলাইন ব্যবসা , ফেসবুকে অনলাইন ব্যবসা , মেয়েদের অনলাইন ব্যবসা , অনলাইন বিজনেস সিস্টেম ,
অনলাইন ব্যবসার আইডিয়া

বন্ধুরা চলুন তাহলে এখন আমরা অনলাইন ব্যবসা আইডিয়া গুলোর মধ্য থেকে সবচেয়ে  সেরা ১২ টি অনলাইন ব্যবসা আইডিয়া সম্পর্কে জেনে নেই।

সেরা ১২ টি অনলাইন ব্যবসার আইডিয়া-

একজন সফল অনলাইন ব্যবসায়ী হতে হলে অবশ্যই আপনাকে অনলাইনে ব্যবসার আইডিয়া নিয়ে প্রথমেই business শুরু করতে হবে।

কেননা অনলাইন ব্যবসার আইডিয়া না থাকলে আপনি অনলাইনে ব্যবসা করে কখনোই সলফ হতে পারবেন না।

তাই আমি আপনাদের সাথে online business আইডিয়া গুলোর মধ্য থেকে সবচেয়ে সেরা অনলাইন ব্যবসা আইডিয়া গুলো তুলে ধরলাম।

১.কনটেন্ট বা আর্টিকেল রাইটিং ব্যবসা-

অনলাইনে কন্টেন রাইটারদের প্রচুর চাহিদা রয়েছে । যদি ভালো ইংলিশ পারেন এবং ইংলিশ টি ভালো লিখতে পারেন।

তাহলে আপনি খুব সহজেই একজন ভালো রাইটার হিসেবে সুনাম অর্জন করতে পারবেন এবং কন্টেন্ট লিখে প্রচুর টাকা ইনকাম করতে পারবেন।

অনলাইনে কন্টাইন লেখার বিভিন্ন ওয়েবসাইট রয়েছে সেগুলোতে গিয়ে আপনি কন্টেন্ট লিখতে পারবেন।

এছাড়াও আপনি একটি ফেসবুক প্রোফাইল তৈরি করে সেখানে আপনার সার্ভিস সম্পর্কে বা আপনি একজন কন্ট্রোল রাইটার হিসেবে পরিচয় তুলে ধরে রাখতে পারেন।

তারপর অনেকে আপনার প্রোফাইল দেখে আপনাকে হায়ার করবে লেখার জন্য আপনার সাথে যোগাযোগ করবে।

তখন আপনি তাদের সাথে কন্টাকে কন্টেন্ট বা আর্টিকেল চুক্তি মাধ্যমে টাকার বিনিময়ে আর্টিকেল লিখে দিতে পারেন।

অনেক প্রফেশনাল রাইটার রয়েছেন যারা আর্টিকেল লিখে টাকা ইনকাম করছেন।

২.অনলাইন কোর্স তৈরি ব্যবসা-

বর্তমানে বিভিন্ন ধরনের অনলাইন কোর্স আমরা দেখতে পাই আর অনলাইন কোর্সগুলোর জনপ্রিয়তা দিন দিন বেড়েই চলছে।

তাই আপনি যদি কোন বিষয়ে দক্ষ থাকেন তাহলে সে বিষয়টি নিয়ে কোর্স লিখে তা অনলাইন এর মাধ্যমে প্রকাশ করে লোকদেরকে জানাতে পারেন।

যারা আপনার নিতে আগ্রহি হবে তাদের কাছে আপনি আপনার কোর্সটি বিক্রি করে টাকা ইনকাম করতে পারেন।

তবে আপনাকে কোর্সটি বিক্রির জন্য তৈরি করার সময় অবশ্যই ভাবতে হবে যে, এই কোর্সটি কিনে কেউ উপকার পাবে কি না?

কেননা আপনার কোর্স কিনে কেউ যদি উপকার না পায় তাহলে কেউ আপনার ক্ষতি কিনতে আগ্রহী হবে না।

তাই তৈরির আগেই করছে উপকার সম্পর্কে আগে ভাবুন, তারপর কোর্স তৈরি করে বিভিন্ন প্লাটফর্মের মাধ্যমে বিক্রি প্রচেষ্টা চালান।

মূলত কোর্স বিক্রি ব্যবসা অনলাইনের মাধ্যমে ঘরে বসেই করা সম্ভব।

৩. অনলাইনে কাপড়ের ব্যবসা-

অনলাইনে যে সকল ব্যবসা রয়েছে তার মধ্যে সবচেয়ে জনপ্রিয় এবং লাভজনক ব্যবসা হচ্ছে অনলাইনে কাপড়ের ব্যবসা।

আপনি যদি অনলাইনে একটি ছেলেদের, মেয়েদের অথবা বাচ্চাদের জন্য একক অথবা ভ্যারাইটিস কাপড় নিয়ে ব্যবসা শুরু করেন।

তাহলে দেখবেন কবর পদ দিনের মধ্যে আপনি অনলাইনে আপনার ব্যবসাকে বিস্তার করাতে পারবেন।

আপনি পাইকারি দরে অথবা লোকাল ফ্যাক্টরিগুলো থেকে কম দামে কাপড় কিনে তারপর সেগুলো অনলাইনে বিভিন্ন প্লাটফর্মে যেমন- ই-কমার্স সাইট, ফেসবুক সহ বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়াতে প্রমোট করে সেগুলোকে বিক্রি করে অনেক টাকা ইনকাম করতে পারবেন।

মনে রাখবেন অনলাইন ব্যবসায় অফলাাইনের চেয়ে লাভ অনেক বেশি হয়ে থাকে।

৪. ডোমেইন-হোস্টিং ব্যবসা-

আমরা যারা ওয়েবসাইট খুলি প্রত্যেকেরই সর্বপ্রথম একটি ডকুমেন্ট পোস্টিং এর প্রয়োজন পড়ে।

আপনি চাইলে অলনাইনে ডোমেইন এবং হোস্টিং ব্যবসাও করতে পারেন। তার জন্য আপনাকে একটি ওয়েবসাইট তৈরি করতে হবে।

এবং আপনাকে হোস্টিং কোম্পানি থেকে  আপনার একটি ডোমেন হোস্টিং এর প্যাকেজ কিনে রাখতে হবে।

এরপর আপনি আপনার ক্লাইন্ট এর কাছে বিক্রি করতে পারেন।

তবে এই ব্যবসা করার জন্য আপনাকে প্রচার করতে হবে এবং এতে লাভও অনেক বেশি হয়ে থাকে।

৫. Wholesaler থেকে কিনে বিক্রয়-

আপনি চাইলে আপনার পাশে থাকা  wholesale দোকান বা manufacturer থেকে যেকোনো পণ্য কিনে সেগুলো- বিভিন্ন social media, Facebook marketplace বা অনলাইন মার্কেটপ্লেস দ্বারা বিক্রি করতে পারেন।

বর্তমানে বিভিন্ন দেশে Wholesaler বা manufacturer থেকে কেনা পন্যগুলো অনলাইনে বিক্রি করার জনপ্রিয়তা দিন দিন বেড়েই চলেছে।

৬. অনলাইনে মেয়েদের ইমিটেশন বা জুয়েলারীর ব্যবসা-

বর্তমানে মেয়েরা অর্জিনাল সোনার গহনার পাশাপাশি আর্টিফিশিয়াল jewellary বা imitation jewellary পড়তেও খুব পছন্দ করেন।

তারা খুব সহজেই তাদের বিভিন্ন পোশাকের সাথে imitation jwellary গুলোকে ম্যাচ করে পড়তে পারেন।

তাছাড়াও অনেক মেয়েরা অনলাইনে একটিভ থাকার কারণে তারা নিজেরাই নিজেদের মোবাইল দিয়ে অনলাইনে বিভিন্ন পছন্দের পন্যগুলো কেনাকাটা বেশিরভাগ করে থাকে।

তাই আপনি চাইলে খুব সহজেই অনলাইনে আর্টিফিশিয়াল jewellary বা imitation jewellary শুরু করে বিভিন্ন মাধ্যমে বিক্রি করে অনেক লাভবান হতে পারেন।

৭. অনলাইনে রেস্টোরেন্ট ব্যবসা-

বর্তমানে অনলাইন রেস্টুরেন্ট গুলো থেকে খাবারের চাহিদা দিন দিন বেড়েই চলেছে।

অনেকেই ঘরে বসে বিভিন্ন খাবারের অর্ডার গুলো করে থাকেন এবং বাসায় বসেই বিভিন্ন ধরনের খাবার পেয়ে যাচ্ছেন।

অনলাইন রেস্টুরেন্ট মালিকরাও তাদের ব্যবসা পরিচালনার জন্য একটি ওয়েবসাইট বা অ্যাপ তৈরি করে থাকেন।

এরপর সেখানে তাদের খাবারের মেনু গুলো দেওয়া থাকে, যেগুলো অর্ডার করলে তারা সেই অর্ডার করা খাবারগুলোকে গ্রাহকদের কাছে পৌঁছে দিয়ে থাকেন।

আপনি যদি কোন রেসিপি বা কোন খাবার তৈরিতে স্পেশিয়াল অভিজ্ঞতা রাখেন, তাহলে আপনি অনলাইন রেস্টুরেন্ট ব্যবসা শুরু করতে পারেন।

ব্যবসা করার জন্য আপনাকে একটি ওয়েবসাইট বা অ্যাপ বানিয়ে সেখানে আপনার খাবারের তালিকা তৈরি করে দিতে হবে। যেগুলো দেখে কাস্টমাররা অর্ডার করতে পারবে।

অনলাইন রেস্টুরেন্ট ব্যবসা সফল হতে হলে আপনাকে অবশ্যই খাবারের কোয়ালিটি (taste), ডেলিভারি সময় এবং পরিমান ইত্যাদির প্রতি খুবই গুরুত্ব দিতে হবে।

এই ব্যবসায়ী সফল হতে পারলে একসময় আপনি খুব ভালো মানের একটি ব্র্যান্ড তৈরি করতে পারবেন।

৮.অনলাইনে ই-বুক বিক্রির ব্যবসা-

আপনি যদি লেখালেখি করতে ভালোবাসেন এবং আপনার যদি বিভিন্ন ধরনের অনলাইনে ই-বুক লেখার দক্ষতা থাকে। তাহলে, আপনি অনলাইনে ই-বুক লেখা শুরু করতে পারেন।

আপনার লেখা ই-বুক গুলো অনলাইনে বিক্রি করে প্রচুর টাকা ইনকাম করতে পারেন।

আর হ্যা এটা আপনি একদম ফ্রিতে শুরু করতে পারবেন এবং ঘরে বসেই করতে পারবেন। বর্তমানে ই-বুক এর চাহিদা প্রচুর রয়েছে।

আপনি যে বিষয়টি নিয়ে লিখতে চাচ্ছেন তা নিয়ে একটু গবেষণা করুন এবং অনলাইনে ঘাটাঘাঁটি করুন।

এরপর খুব স্পষ্ট ভাষায় এবং খুব সুন্দর ভাবে তৈরি করুন যাতে করে লোকজন আপনার এ বুক করে ভালো পায় এবং পরবর্তীতে আপনার লেখা এ বুক গুলো পড়তে আগ্রহ রাখে।

আপনি আপনার ই-বুক টি আমাজনের কিন্ডল ডিরেক্ট পাবলিশ করতে পারেন।

টাকা ইনকাম, 

৯. এ্যফিলিয়েট মার্কেটিং ব্যবসা-

বর্তমান সময়ের সবচেয়ে লাভজনক এবং জনপ্রিয় ব্যবসা হচ্ছে এফিলিয়েট মার্কেটিং ব্যবসা।

এই ব্যবসা করার জন্য আপনাকে  ইন্টারনেটে থাকা বিভিন্য online store বা website থেকে তাদের product বা সেবা লিংকের মাধ্যমে বিভিন্য social media, blog, video ইত্যাদিতে শেয়ার করতে হবে।

যখন কেউ আপনার শেয়ার করা লিংক এর মাধ্যমে ক্লিক করে কোন পণ্য কিনবে তখন সেখান থেকে আপনি একটি নির্দিষ্ট পরিমাণ কমিশন পেয়ে যাবেন।

কমিশন দেওয়া হয় পণ্য বিক্রির দামের উপর নির্ভর করে । এজন্য আপনার শেয়ার করা লিংক থেকে কি পরিমাণ টাকা কমিশন পাবেন তার নির্দিষ্ট কোন নিয়ম নেই।

একটি এফিলিয়েট লিংক শেয়ার করার মাধ্যমে আপনি একেক সময় একেক রকমের কমিশন পাবেন।

এমনও হতে পারে যে আপনি একটি লিংক থেকে একটা ক্লিকের কারণে চার থেকে পাঁচ হাজার টাকা পেয়ে যেতে পারেন।

১০.  অনলাইন ব্লগিং ব্যবসা

আপনারা হয়তো অনেকেই ব্লগিং বা ব্লগার নামটি শুনেছেন। ব্লগিং হচ্ছে ইন্টারনেটে গুগল এডসেন্স থেকে টাকা ইনকাম করার সবচেয়ে জনপ্রিয় এবং ফ্রি একটি মাধ্যম।

আপনি একটি ব্লগিং ওয়েবসাইটের মাধ্যমে একদম ফ্রিতে গুগল এডসেন্সের বিজ্ঞাপন দেখিয়ে সহজেই টাকা ইনকাম করতে পারবেন।

আপনি যদি বিনা টাকায় একদম ফ্রিতে অনলাইনে টাকা ইনকাম করতে চান তাহলে আপনি একটি ফ্রি ব্লগ সাইট খুলে নিন।

কেননা অনলাইনে যারা টাকা ইনকাম করেন তাদের অনেকেই সর্ব প্রথম ব্লগিং থেকেই ক্যারিয়ার শুরু করে থাকেন।

আপনি চাইলে একটি ব্লকসাইট খুলে নিয়ে সেখানে একটি বিষয়ে আর্টিকেল নিয়মিত পাবলিশ করতে থাকুন।

একবার যখন সার্চ ইঞ্জিন থেকে আপনার ব্লগ সাইটে ভিজিটর আচার শুরু করবে তখন আপনি গুগল এডসেন্সের অনুমোদন নিয়ে  বিজ্ঞা/পন গুলো লোকদেরকে দেখাতে পারেন।

যখন লোকেরা আপনা ওয়েবসাইটে গুগলের এডসেন্স বিজ্ঞা/পনগুলো দেখে ক্লিক করবে, তখন আপনি সেখান থেকে টাকা ইনকাম করতে পারবেন প্রতি ক্লিক এর বিনিময়ে।

এছাড়াও, affiliate marketing এবং product promotion করেও ব্লগ সাইট থেকে ইনকাম করা যায়।

বর্তমানে অনেকেই ঘরে বাসে professionally ব্লগিং করে মাসে লাখ লাখ টাকা ইনকাম করছেন।

১১. ইউটিউব চ্যানেল ব্যবসা-

আপনি যদি ভিডিও বানাতে ভালোবাসেন এবং আপনার যদি পর্দার সামনে এসে লোকদের বোঝানোর বা কথা বলার এবিলিটি থাকে।

তাহলে আপনার জন্য ইউটিউব চ্যানেল তৈরি করে ভিডিও আপলোড করে ব্যবসা করার বা ইউটিউব চ্যানেল বিজনেস এর একটি বিরাট সুযোগ রয়েছে।

বর্তমানে অনেকেই বিভিন্ন সমস্যার সমাধান ইউটিউব ভিডিওর মাধ্যমে পেতে চান, তাই তারা ইউটিউবে সার্চ করে বিভিন্ন সমস্যার সমাধান গুলো খুঁজে থাকেন।

তাই আপনি এই সুযোগটিকে কাজে লাগিয়ে বিভিন্ন সমস্যার সমাধান ভিডিওর মাধ্যমে তুলে ধরে লোকদেরকে সমাধান দিতে পারেন।

অনেকেেই ইউটিউব চ্যানেল তৈরি করে নিজেকে প্রফেশনাল ইউটিউবার হিসেবে গড়ে তুলে প্রফেশনাল অনলাইন বিজনেস করে যাচ্ছেন।

আপনি যদি ফ্রিতে ব্যবসা আইডিয়া খুঁজে থাকেন. তাহলে ইউটিউব চ্যানেল তৈরি করে তাতে ভিডিও আপলোড করার মাধ্যমে সেটিকে একটি লাভজনক ব্যবসা হিসেবে দ্বার করাতে পারেন।

অনেক ইউটিউবার রয়েছে যারা প্রতি মাসে মাসে ইউটিউব থেকে লাখ লাখ টাকা ইনকাম করছেন।

১২.অনলাইনে ফটো বিক্রির ব্যবসা-

আপনি যদি ছবি তুলতে ভালোবাসেন, তাহলে আপনি আপনার পছন্দের বিভিন্ন ছবি তুলে সেগুলোকে অনলাইনে বিভিন্ন প্লাটফর্ম করে যেগুলোতে ছবি বিক্রি করা হয় সেখানে বিক্রি করতে পারেন।

অনলাইনে ফটো বিক্রি লিখে সার্চ করলে কি বিভিন্ন ধরনের ওয়েবসাইট পেয়ে যাবেন যেগুলোতে স্টকিং ইমেজ রাখা হয়।

আপনি আপনার তোলা ছবিগুলো খুব সহজেই এই সাইডগুলোতে ঘরে বসেই বিক্রি করতে পারবেন।

আপনি চাইলে ঘরে বসেই অনলাইনে ছবি র কাজটি একদম ফ্রিতে শুরু করতে পারেন।

FAQ-

# কিভাবে অনলাইন ব্যবসা শুরু করতে হয়?

অনলাইনে ব্যবসা শুরুর আগে আপনি সর্বপ্রথম আপনার সম্ভাবনা বৃদ্ধির জন্য বাজারের চাহিদা যাচাই করুন। অনলাইনে কোন পন্যের চাহিদা বেশি রয়েছে সেগুলো নোট করুন।

বাজার সম্ভাবনা যাচাই করার জন্য আপনি খুঁজে বের করুন যে, মানুষ কি খুঁজছে?

কোনা অঞ্চলের লোকদের কিসের প্রয়োজন বেশি, কোন পন্য বা সেবা আপনি সবার আগে সবচেয়ে ভালো ভাবে সার্ভিস দিতে পারবেন ইত্যাদি বিষয়ে নিজেকে তৈরি করে নিন।

বেশিরভাগ মানুষই অনলাইন ব্যবসা শূরু করার সময় এসব বিষয়ে ভুল করে থাকেন।

# ব্যবসায় ধারণা কি?

ব্যক্তির মুনাফা পাওয়ার আশায় পণ্যদ্রব্য ও সেবাকর্ম উৎপাদনের মধ্য দিয়ে উপযোগ সৃষ্টি ও মানুষের বস্তুগত ও অবস্তুগত অভাব পূরণের জন্য সেগুলোকে বণ্টন করা এবং এর সাথে জড়িত নিয়ম-নীতি, বৈধতা, ঝুঁকিবহুল ও ধারাবাহিক সকল কার্যক্রমকে ব্যবসা বলে।

# ব্যবসা কয় প্রকার ?

সাধারণত ব্যবসা তিন প্রকার। যথা- একক মালিকানা, অংশীদারিত্ব এবং কর্পোরেশন।

প্রতিটি ব্যবসার প্রকার তার নিজস্ব সুবিধা এবং অসুবিধাগুলির সাথে জড়িত থাকার ফলে আসে।

# বাংলাদেশে কোন ব্যবসা বেশি লাভজনক?

বাংলাদেশের সবচেয়ে লাভজনক কিছু ব্যবসার নাম হচ্ছে-  ই-কমার্স, খাদ্য ও পানীয়, স্বাস্থ্যসেবা, শিক্ষা,  পুনর্নবীকরণযোগ্য শক্তি এবং ভ্রমণ ও পর্যটন সংক্রান্ত ব্যবসা সমূহ।

আজকের শেষ কথা ,

বন্ধুরা আজ আমি আপনাদের সাথে অনলাইন ব্যবসা কি? ঘরে বসে অনলাইন ব্যবসার আইডিয়া– সফল অনলাইন ব্যবসা সমূহ সম্পর্কে আলোচনা করলাম।

আশা করি আপনারা online business আইডিয়া সম্পর্কে সুস্পষ্ট ধারনা পেয়েছেন।

আপনাদের আর্টিকেলটি কেমন লাগলো তা অবশ্যই কমেন্ট করে জানাবেন।

আর্টিকেলটি ভালো লাগলে অবশ্যই শেয়ার করবেন । ধন্যবাদ

Leave a Comment