মেয়েদের ঘরে বসে আয় করার উপায়: আপনি যদি একজন মেয়ে হয়ে থাকেন এবং আপনি যদি যানতে চান যে, কিভাবে মেয়েরা ঘরে বসে অনলাইনে কাজ করে মাসে হাজার হাজার টাকা ইনকাম করা যায়? মেয়েদের ঘরে বসে আয় করার ১৫টি উপায় গুলো কি কি? এই প্রশ্নের উত্তর আজকের এই আর্টিকেলে আপনি পেয়ে যাবেন।
বর্তমান আধুনিক যুগে প্রযুক্তির ছোঁয়ায় ছেলেরা যেমন ঘরে বসে টাকা ইনকাম করতে পারে অনলাইনের মাধ্যমে। ঠিক তেমনিভাবে মেয়েদেরও ঘরে বসে আয় করার বিভিন্ন উপায় বের হয়েছে।
এখন আর চাকরির জন্য বিভিন্ন অফিসে দূর করায় যেতে হয় না ঘরে বসেই অনলাইনের মাধ্যমে বিভিন্ন ধরনের কাজ করে মেয়েরা অর্থ উপার্জন করা থাকে।
২০২০ সালে কোভিড-১৯ (করোনা- মহামারীর কারণে একপ্রকার বাধ্য হয়েই বিভিন্ন সংস্থা ‘ওয়ার্ক-ফ্রম-হোম’ (WFH) পন্থা বেছে নিতে হয়েছিলো।
তবে বর্তমান সময়ে WFH কর্মপদ্ধতি ব্যাপক জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে এবং অনেকেই Work from home চাকরি খুঁজে থাকেন। তাছাড়াও প্রতিদিন ব্যবপক সংখ্যকলোক ‘ওয়ার্ক-ফ্রম-হোম’ বা ঘরে বসে বিভিন্ন ধরনের জব করছেন।
ঘরে বসে জব করার ক্ষেত্রে যদিও কিছু প্রতিব্নধকতা রয়েছে। তবুও এর সুবিধা রয়েছে অসুবিধার তুলনায় অনেক বেশি। অনেকেই এখন ঘরে বসে অনলাইনে কাজ করে তাদের ক্যারিয়ার গঠন করে নিচ্ছেন খুব সহজেই।
অনলাইনে ইনকাম করার সবচেয়ে সহজ উপায় এবং সুবিধা হলো এটি ঘরে বসেই যে কোনো সময় নিজের ইচ্ছা মতো কাজ করা যায়।
তাছাড়াও নিজের দক্ষতাকে কাজে লাগিয়ে যে কোনো সময় যে কোনো কাজ চাহিদা অনুযায়ী করে প্রচুর পরিমানে টাকা ইনকাম করা যায়।
তাছাড়াও মহিলাদের জন্য সবচেয়ে জনপ্রিয় এবং সুবিধা মত কাজ করার ক্ষেত্রে ওয়ার্ক ফ্রম হোম খুবই সহায়ক হিসেবে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
কেননা মেয়েরা ওয়ার্ক ফ্রম হোম কাজগুলো করার পাশাপাশি তাদের ফ্যামিলির জন্য যথেষ্ট পরিমাণ সময় দিয়ে ফ্যামিলির কাজ গুলো সম্পাদন করার সুবিধা পান।
আপনি যদি কোন অফিসে চাকরি করেন তাহলে সেই ক্ষেত্রে আপনাকে ৯টা থেকে ৫ টা পর্যন্ত নির্দিষ্ট অফিসে অফিস করতে হবে। এক্ষেত্রে আপনি আপনার বাড়তি কোন কাজ করার সুযোগ পাবেন না।
কিন্তু আপনি যখন ওয়ারফ্রম হোম ঘরে বসেই অনলাইন এর মাধ্যমে কোন কাজ করবেন, তখন আপনি যে কোন ফ্রী টাইমে আপনার কাজগুলো করতে পারবেন।
পাশাপাশি আপনি আপনার ঘরের যে কোন কাজের সহযোগিতা সময়মতো করতে পারবেন।
অনলাইনে কাজ করে টাকা ইনকাম করার ক্ষেত্রে নির্ভর করবে আপনার কাজ, দক্ষতা এবং অভিজ্ঞতার উপর। আপনি যত বেশি দক্ষতা এবং অভিজ্ঞতা অর্জন করবেন তত বেশি টাকা ইনকাম করা সুযোগ পাবেন।
কিভাবে ঘরে বসে টাকা আয় করা যায়?
ঘরে বসে আয় করার সহজ উপায় গুলো হলো-
বিভিন্ন মার্কেটপ্লেসে ফ্রিল্যান্সিং করে আয়, ব্লগিং করে আয়, গুগল অ্যাডসেন্স থেকে আয়, অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করে আয়, ভার্চুয়াল অ্যাসিস্টেন্ট করে আয়, ঘরে বসে ইউটিউব থেকে আয়, সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং করে আয়, কন্টেন্ট রাইটার/ আর্টিকেল লিখে আয় করন, ঘরে বসে ওয়েবসাইট এর মাধ্যমে আয় করা, গ্রাফিকস ডিজাইন করে অনলাইনে আয় করা ইত্যাদি।
আরো পড়ুন,
- অনলাইন ব্যবসা কি? ঘরে বসে অনলাইন ব্যবসার আইডিয়া
- বাংলাদেশে সবচেয়ে লাভজনক ব্যবসা কোনটি | বর্তমানে সবচেয়ে লাভজনক ব্যবসা
- ১০ হাজার টাকায় ২৫ টি ব্যবসার আইডিয়া
ঘরে বসে মেয়েদের আয় করার ক্ষেত্রে সুবিধা এবং অসুবিধা:
আপনি যদি একজন মেয়ে হন এবং ঘরে বসে আয় করতে চান? কিন্তু ওয়ার্ক-ফ্রম-হোমের অধীনে কি কি ধরণের চাকরি বা রিমোর্ট কাজ গুলি রয়েছে সেগুলো সম্পর্কে কোনো ধারণা আপনার না থাকে, তবে আমাদের এই আর্টিকেল থেকে ঘরে বসে মেয়েদের আয় করার উপায় গুলি সম্পর্কে ধারনা নিতে পারেন।
মেয়েদের ঘরে বসে ইনকাম করার ক্ষেত্রে সুবিধা গুলো হলো:
- সম্পুর্ণ মুক্ত এবং স্বাধীন ভাবে কাজ করা যায়।
- চাকুরির সময় নিয়ন্ত্রণযোগ্য।
- পরিবারকে সময় দেওয়ার পাশাপাশি কাজ করেও ইনকাম করা যায়।
- প্রতিদিন বাড়ি থেকেই কাজ করা যায় কোনো অফিসে যাতায়াত করতে হয় না।
- কোনো অফিসে করতে হয় না এতে সময় ও টাকা উভয় সেভ হয়।
- অনলাইনে জব করার কারণে নিজের ব্যাংক একাউন্টে টাকা পাওয়া যায়। বেতনপাওয়ার ক্ষেত্রে কোনো ভোগান্তি নেই।
- কাজ করার ক্ষেত্রে নিজের স্বাধীনতা রয়েছে।
- কর্মজীবন এবং ব্যাক্তি জীবনের মধ্যে যথেস্ট মিল রেখেই নিজের ক্যারিয়ার গড়া যায়।
মেয়েদের ঘরে বসে আয় করার ক্ষেত্রে অসুবিধা সমূহ:
- নতুন অবস্থায় কাজের প্রাথমিক বিষয়গুলি বুঝতে সমস্যায় পড়তে হয়।
- রিমোর্ট ভিত্তিক চাকরির কারণে অনেক সময় সিনিয়রদের সরাসরি গাইড পাওয়া যাইনা।
- বাড়িতে বসে কাজ করার কারণে পাশের লোকদের বিভিন্ন কথায় মনোযোগ ক্ষুন্ন হয়ে থাকে।
- কিছু কিছু ক্ষেত্রে নিয়োগ কর্তাদের দ্বারা অবহেলিত হতে হয়।
- অনেকসময় ফুলটাইম চাকুরীর বেতন সম্পূর্ণ তুলার আশা করা যায়না। বিভিন্ন ধরনের ভ্যাট কেটে নিয়ে থাকে।
মেয়েদের ঘরে বসে আয় করার উপায় সমূহ: 15 ways for girls to earn from home
বর্তমান আধুনিক যুগে অনলাইনে ঘরে বসে মেয়েদের আয় করার উপায় প্রচুর রয়েছে। তবুও অনেক মহিলারা প্রশ্ন করেন যে, কিভাবে ঘরে বসে আয় করা যায়? এমন প্রশ্নের উত্তর দিতেই আজকের এই আর্টিকেলটি লিখা। নিচের সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে পড়তে থাকুন। তবেই আপনি আপনার সঠিক উত্তর টি পেয়ে যাবেন।
মেয়েদের ঘরে বসে আয় করার ১৫টি উপায়:
১. অনুবাদ করে আয় করন-
আপনি যদি বিভিন্ন ভাষায় পারদর্শী হয়ে থাকেন তাহলে আশা অনুবাদ কাজটি আপনার জন্য। অর্থাৎ আপনি যদি ইংরেজি, বাংলা ভাষার পাশাপাশি অন্যান্য ভাষা যেমন- উর্দু, হিন্দি, ফার্সি, স্প্যানিশ, জাপানি, কোরিয়ান ভাষা জানেন।
তাহলে, আপনি চাইলে আপনার এই ভাষার দক্ষতাকে কাজে লাগিয়ে আপনি অনলাইন থেকে বিভিন্ন ওয়েবসাইটের ভাষা অনুবাদ করে দেওয়ার মাধ্যমে ভালো পরিমানে টাকা ইনকাম করতে পারবেন।
আর এই কাজটি হলো মেয়েদের জন্য ঘরে বসে কাজ করে আয় করার সহজ এবং গুপন একটি উপায়।
তবে আপনাকে এই কাজটি করার জন্য বিভিন্ন অনলাইন প্লাটফর্মে গিয়ে আপনার ভাষার দ্কষতার এবং অভিজ্ঞতার বিষয়ে বিস্তারিত জানাতে হবে।
তারপর যে আপনার মাধ্যমে ভাষা অনুবাদ করাতে চাইবে তার কাছ থেকে আপনি নির্দিষ্ট পরিমানে টাকা চার্জ করে ভাষা অনুবাদ করে দিয়ে ভালো পরিমানে টাকা ইনকাম করতে পারবেন।
২. অনলাইনে পাঠদান- Online Tutor:
মেয়েদের ঘরে বসে আয় করার উপায় গুলোর মধ্যে সব থেকে সেরা উপায় হলো অনলাইনে পাঠদান করা। আপনি যে বিষয়ে ভালো জ্ঞান রাখেন সেই বিষয়টি নিয়ে অনলাইনে পাঠদানের ব্যবস্থা করুন।
ঘরে বসে অনলাইনে শিক্ষা দান করে ইন্টারনেট দুনিয়ার সবচেয়ে সেরা উপায় হলো টাকা ইনকাম করার। ২০২০ সালের পর থেকে অর্থাৎ করোনা মহামারীর চলাকালীন সময়ে শিক্ষা অর্জনের জন্য শিক্ষার্থীরা অনলাইন ক্লাসের উপর নির্ভরশীল হয়ে উঠে।
যা বর্তমানেও চলমান রয়েছে। এতে করে লেখাপড়ার করার জন্য নির্দিষ্ট প্রতিষ্ঠানে যাওয়ার পরিবর্তে ঘরে বসেই অনলাইনে মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা শিক্ষা গ্রহণ করতে পারে।
কোন কোচিং সেন্টার বা প্রাইভেট সেন্টারে যাওয়ার জন্য তাদের সময় এবং যাতায়াত খরচ উভয়ই বেচে যায়।
অনলাইনে শিক্ষা গ্রহণ করার ক্ষেত্রে শিক্ষার্থীদের বিভিন্ন ধরনের অনলাইন কোর্সের উপর চাহিদা অনুযায়ী ভর্তি হতে পারে। বর্তমানে অনেক শিক্ষার্থী এখন অনলাইনে তাদের পছন্দমত বিভিন্ন ধরনের কোর্সগুলোতে ভর্তি হয়ে কোডগুলো সম্পন্ন করছে।
আপনি যদি একজন মেয়ে হয়ে থাকেন এবং আপনি অনলাইনের মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের পাঠদান করাতে চান তাহলে এক্ষেত্রে আপনাকে সবসময় কম্পিউটারের সামনে বসে থাকতে হবে না। আপনার নিজের ইচ্ছামত সময় বের করে সিডিউল মোতাবেক ক্লাস নেওয়ার ব্যবস্থা করতে পারবেন।
আরো জানুন,
- ছোটখাটো ব্যবসা কি করা যায়? ছোট ব্যবসার আইডিয়া বাংলাদেশ
- গ্রামে থেকে কি কি ব্যবসা করা যায়? ২০ টি গ্রামের ব্যবসার আইডিয়া গুলো জেনে নিন
- ডিজিটাল মার্কেটিং কি? ডিজিটাল মার্কেটিং কিভাবে শিখব
তাছাড়া আপনি খুব সহজেই প্রতি মাসে কমপক্ষে ৩০ হাজার টাকা অনলাইন টিউটোরিয়াল করে ইনকাম করতে পারবেন। আপনি আপনার যোগ্যতা এবং অভিজ্ঞতার উপর নির্ভর করে আপনার আয় আরো অধিক করতে পারবেন।
তবে এটি সম্পূর্ণ নির্ভর করবে আপনার অভিজ্ঞতার আলোকে পাঠদান এবং সময় দেওয়ার উপর। আপনি যদি অধিক সময় দিয়ে অধিক স্টুডেন্ট দেখে অনলাইনে টিউটর করান তাহলে আপনি অধিক পরিমাণে ইনকাম করতে পারবেন।
আর যদি আপনার হাতে খুব অল্প সময় থাকে তাহলে সে ক্ষেত্রে আপনি কোন সময় টিউটর করে আপনার চাহিদানাযায়ী সময়ের উপর নির্ভর করে ইনকাম করতে পারবেন।
৩. টিফিন সার্ভিস করে আয়-
আপনি যদি একজন রান্নায় পারদর্শি হয়ে থাকেন তাহলে আপনার জন্য এই টিফিন সার্ভিসটি হতে পারে ঘরে বসে টাকা ইনকামের সেরা উপায়।
বর্তমানে সময়ের Zomata, Swiggy, Homely -এর মতো বিভিন্ন ফুড সার্ভিসিং অ্যাপ বা সংস্থা রয়েছে যেগুলোর সাথে যোগাযোগ করে আপনি আপনার আকর্শনীয় রান্না করা খাবার বিক্রির জন্য নিজের ব্যবসাকে সম্প্রসারিত করতে পারেন।
আজকাল অনেক চাকরিজীবি মানুষ রয়েছেন যারা বাসায় নিয়মিত খাবার রান্না করার সময় পায় না এবং রেস্টুরেন্টের থেকে খাবার অর্ডার করে থাকেন।
আর নিজেদের বাড়িতে খাবার পৌছে দিতে পারবে এমন টিফিন ব্যবসায়ী লোকদেরকে খুজে থাকেন।
তাই এই সুযোগটিকে কাজে লাগিয়ে আপনি একটি হোম-ডেলিভারি ভিত্তিক টিফিন সার্ভিস সেবা শুরু করতে পারেন। তবে প্রথম অবস্থায় টিফিন সার্ভিস ব্যবসা একবার কৌশল শিখে গেলে পরবর্তীতে আপনি এই ব্যবসাটি খুব সহজেই সাজিয়ে গুছিয়ে করতে পারবেন।
৪. ভার্চুয়াল অ্যাসিস্টেন্ট- Virtual Assistant
Virtual Assistant বা সংক্ষেপে VA হল একজন স্ব-নিযুক্ত পেশাদার, যিনি বড় এবং ছোট ব্যবসায়িক সংস্থাগুলির হয়ে তাদের ‘রিমোর্ট’ মোডে দৈনন্দিন কাজকর্ম গুলো সম্পাদন করে থাকেন।
একজন Virtual Assistant’র কার্যকলাপ নির্ভর করে ক্লায়েন্টের বিভিন্ন ধরনের প্রয়োজনীয়তা উপর।
বর্তমানে ছেলেদের তুলনায় একজন মেয়ে হিসেবে ভার্চুয়াল অ্যাসিস্টেন্ট নিযুক্ত হওয়ার সম্ভাবনা বেশি রয়েছে। কেননা অধিকাংশ ক্ষেত্রে ক্লায়েন্ট Virtual Assistant হিসেবে মেয়েদেরকে নিয়োগ দিয়ে থাকেন।
তবে আপনি পুরুষ বা মহিলা যাই হোন না কেন? আপনার যদি ইন্টারনেট ব্যবহারে দক্ষ থাকেন এবং Virtual Assistant’ হিসেবে নিযুক্ত হতে চান?
তবে, আপনাকে আপনার ক্লায়েন্টের হয়ে বিভিন্ন মিটিং শিডিউল, প্রেজেন্টেশন বানানো, ফোন কল রিসিভ এবং ওয়েবসাইট পরিচালনার কাজ ইত্যাদি করতে হবে। অর্থাৎ তার হয়ে আপনি কাজ করে দিবেন।
তবে ভার্চুয়াল অ্যাসিস্টেন্ট হওয়ার জন্য আপনার ভালো কমিউনিকেশন স্কিল, যথাযথ টাইম মেনেজমেন্ট স্কিল এবং মাইক্রোসফ্ট অফিসে পারদর্শিতা থাকতে হবে।
যাইহোক Virtual Assistant’ হিসাবে আপনি প্রতি ঘন্টায় কাজের চার্জ হিসেবে ৫০০–১৫০০ টাকা অর্থাৎ মাসে ৩০,০০০–৬৫,০০০ টাকা আয় করতে পারবেন।
৫. বেকারি ব্যবসা-Bakery business
আপনি যদি একজন হোম সায়েন্সের ডিগ্রী অর্জন করে থাকেন এবং বেকারী খাদ্যদ্রব্য বানাতে দক্ষ হন তাহলে আপনি অনায়াসেই একটি বেকারি বা কেকের দোকান খুলে বেকারি ব্যবসা করতে পারেন।
বর্তমানের অনেকেই জন্মদিন, বিবাহ বার্ষিকী ইত্যাদি ধরণের অনুষ্ঠানের জন্য বাড়িতে তৈরী ডেসার্ট, প্যাটিস, পেস্ট্রি, কেক, টার্টস, কুকিজ, চকোলেট অর্ডার করতে পছন্দ করেন।
তাই আপনি অনলাইনের মাধ্যমে একটি ওয়েবসাইট তৈরি করে এখানে আপনার বেকারি পণ্যগুলো পরিবেশন করে বিভিন্ন ধরনের কাস্টমারের কাছ থেকে অর্ডার নিতে পারেন।
অথবা অর্ডার নেওয়ার পণ্যগুলি আপনি খুব সহজেই হোম ডেলিভারি করে ঘরে বসেই ভালো পরিমানে টাকা ইনকাম করতে পারেন।
আপনার যদি কোনো দোকান নেওয়ার সামর্থ না থাকে অথবা ওয়েবসাইট খুলতে না পারেন, তাহলে আপনি চিন্তা করবেন না, আপনার বেকারি ব্যবসাকে আরো বেশি সংখ্যক গ্রাহকদের কাছে পৌঁছে দেওয়ার জন্য আপনি- Swiggy, Dunzo, Zomato ইত্যাদি ফুড ডেলিভারি অ্যাপে নিজের কোম্পানিকে তালিকাভুক্ত করতে পারেন এবং আপনার পন্যগুলো বিক্রি করতে পারবেন।
৬. ব্লগিং (Blogging) করে ইনকাম
ব্লগিং হচ্ছে মহিলাদের জন্য সবচেয়ে সেরা এবং জনপ্রিয় আয় করার উপায় গুলোর মধ্যে একটি। বর্তমানে পুরুষের তুলনায় মহিলারাও বিভিন্ন ধরনের নিশ নিয়ে ব্লগিং করে সফলতা অর্জন করেছেন।
আপনি যদি একজন প্রফেশনাল ব্লগার হতে চান তাহলে অবশ্যই আপনাকে একটি ভালো মানের নিস সিলেক্ট করে নিতে হবে। তারপর নিয়মিত সেই নিচশর উপর আর্টিকেল লিখে আপনার ওয়েবসাইটে পাবলিস্ট করতে হবে।
তবে এর জন্য আপনাকে প্রচুর পরিমাণে লেখালেখি করার অভ্যাস থাকতে হবে এবং ধৈর্য সহকারে লেখা লেখি করার মন মানষিকতা রাখতে হবে।
ব্লগিং করার পাশাপাশি আপনি ইনকাম করার ক্ষেত্রে আপনি গুগল এডসেন্স অথবা এফিলিয়েট মার্কেটিং করে ব্লগ থেকে ইনকাম করতে পারবেন।
৭. ইউটিউবিং
মেয়েদের ঘরে বসে আয় করার উপায় গুলির মধ্যে YouTubing হলো একটি সেরা উপায়। এটা মূলত ব্লগিংয়েরই একটি ভিডিও ফর্ম মাত্র।
সহজ কথায়, বিভিন্ন বিষয় ভিত্তিক ভিডিও রেকর্ড করে সেগুলো সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মে শেয়ার করার প্রক্রিয়াকে YouTubing বলা হয়ে থাকে। অনলাইনে খুব তারাতারি টাকা ইনকাম করার সেরা উপায় গুলির মধ্যে YouTube হলো সব থেকে জনপ্রিয় একটি প্লাটফর্ম।
আপনি নিজের গুণাবলীকে ভিডিও বানিয়ে সেগুলো ইউটিউবের মতো প্লাটফর্মে ইউটিউব চ্যানেল বানিয়ে সেখানে আপলোড করে প্রচার করতে পারেন।
অবিশ্বাস্য হলেও সত্য যে, সারা বিশ্বজুড়ে YouTube থেকে লক্ষ লক্ষ লোক প্রতিমাসে লক্ষ লক্ষ টাকা আয় করছেন।
৮. আর্টিকেল রাইটিং জব-
বর্তমান সময়ে আমরা এমন এক যুগে প্রবেশ করেছি, যখন আমরা কোন কিছু ছোটখাটো বিষয় সম্পর্কে জানতে ইচ্ছে করে সেগুলো নিয়ে আমরা অনলাইনে সার্চ করে থাকি।
আসলে ইনফরমেটিভ আর্টিকেল বা ইন্টারনেট উপলব্ধ বিভিন্ন ইনফরমেশন নিয়েই লেখালেখি করে থাকেন কন্টেন রাইটাররা।
অনলাইনের মাধ্যমে যারা বিভিন্ন ধরনের ওয়েবসাইট খোলা থাকেন তারা অধিকাংশ ক্ষেত্রেই কন্টেনরাইটার হার করে তাদের দ্বারা আর্টিকেল লিখে নিয়ে থাকেন তাদের আর্টিকেলগুলো অডিয়েন্সদের আকৃষ্ট করার জন্য পাবলিশ করে থাকেন।
আপনি যদি একজন নির্দিষ্ট কোন বিষয়ের উপর ভালো জ্ঞান রাখেন এবং আপনার লেখার মান ভালো হয় তবে অনলাইনে বিভিন্ন ওয়েবসাইটের কনডেন রাইটার হয়ে কাজ করে অনায়াসে মাসে ২০ থেকে ৩০ হাজার টাকা ইনকাম করতে পারেন।
অনলাইনে আর্টিকেল লেখার জন্য আপনি বিভিন্ন ধরনের কন্টেন রাইটিং প্রজেক্ট খুঁজে পাবেন। যেখানে আপনি ইংরেজি সহ বিভিন্ন ভাষায় আর্টিকেল লেখার সুযোগ পাবেন। তবে বেশিরভাগ ক্ষেত্রে আপনাকে ইংলিশের মাধ্যমে আর্টিকেল লিখে দিতে হবে।
তাছাড়াও বর্তমান অনলাইন জগতে ইংলিশে আর্টিকেল লিখলে ভালো পরিমাণে টাকা ইনকাম করতে পারবেন।
এছাড়াও আপনি যদি অন্যের কোন ওয়েবসাইটে কন্টেন লিখতে না চান সে ক্ষেত্রে আপনি নিজেই একটি ওয়েবসাইট তৈরি করে সেখানে আর্টিকেল লিখে প্রবেশ করতে পারেন।
যেমন ধরুন আমি আমার নিজের ওয়েবসাইটে আর্টিকেল লিখে পাবলিশ করছি, যেটি আপনারা এখন পড়তেছেন্।
মেয়েদের অনলাইন এ টাকা ইনকাম করার জন্য সবচেয়ে সহজ এবং সেরা উপায় গুলোর মধ্যে আর্টিকেল লিখে ইনকাম করা অথবা নিজস্ব ওয়েবসাইট তৈরি করে সেখানে নিজের আর্টিকেল পাবলিশ করা খুবই সহজ।
৯. বিউটি পার্লার দিয়ে ইনকাম
বর্তমান আধুনিক যুগের মেয়েরা তাদের সৌন্দর্য বৃদ্ধি করতে বিভিন্ন বিউটি পার্লারে ভিড় জমায়।
আপনি যদি একজন শহরের বাসিন্দা হয়ে থাকেন। অথবা আপনার বাসা যদি গ্রামের কোন বাজারের মধ্যে হয়ে থাকে তাহলে এই উপায়টি আপনার জন্য।
আপনি লক্ষ্য করলে দেখতে পাবেন যে শহরের বিভিন্ন অলিতে গুলিতে মেয়েদের বিউটি পার্লার রয়েছে। যেগুলো অনেক মেয়েরা তাদের বাসায় অন্যান্য সকল কাজ করার পাশাপাশি বিউটি পার্লার সেবাও পরিচালনা করে আসছে এবং প্রতি মাসে ভালো পরিমানে টাকা ইনকাম করছে।
আপনিও চাইলে আপনার ইচ্ছানুযায়ী আপনার বাসায় বিউটি পার্লার খুলো এই বিউটি পার্লার ব্যবসাটি পরিচালনা করতে পারেন।
তবে সবসময় চেষ্টা করবেন যেন লোকালয়ের পাশে বিউটি পার্লার পরিচালনা করার। এতে করে অনেক কাস্টমার আপনি সচরাচর খুব সহজেই পেয়ে যাবেন।
১০. রান্নার ভিডিও বানিয়ে আয় করন
সকল মেয়েদেরই রান্না শেষার প্রতি আলাদা একটি দুর্বলতা বা আগ্রহ থাকে। তাছাড়াও অনেক মেয়ে রয়েছে যারা বিয়ের বয়স হয়ে যায় কিন্তু ঠিক মতো রান্না করতে পারে না।
তাই তাদের রান্না শেখাটা অনেকটাই জরুরী হয়ে পরে। অনেকেই বিয়ের পর রান্নার কাজ বিভিন্ন ভিডিও দেখে শিখে থাকেন।
তাছাড়াও যারা রান্না জানেন তারা আরো নিত্য নতুন বিভিন্ন ধরনের মজাদার খাবার তাদের বাচ্চা এবং জামাইকে রান্না করে খাওয়ানোর জন্য অনলাইনে ভিডিও দেখে শিখে শিখে রান্না করে থাকেন।
তাই আপনি যদি একজন ভালো মানের রাধুনী হয়ে থাকেন। তাহলে বিভিন্ন ধরনের খাবার রান্না করার নিয়ম বা পদ্ধতিগুলো ভিডিও করে ইউটিউবে বা ফেসবুকে প্রচার করেও আয় করতে পারেন।
যেহেতু রান্না করাটা মেয়েদের নিতদিনের সঙ্গী। তাই আমি মনে করি যে মেয়েদের ঘরে বসে টাকা ইনকাম করার সবচেয়ে সেরা উপায় হলো এটি। একদিকে রান্না করা হলো অপরদিকে টাকাও আয় করা হলো।
যখন যে খাবার আপনি রান্না করলেন সাথে সাথে সেই রান্নার ভিডিও মোবাইলের মাধ্যমে ধারন করে নিলেন। এতে করে আপনাকে আর নতুন করে ভিডিও বানানোর জন্য আলাদা সময় অপচয় করতে হবে না।
আপনি লক্ষ করলে দেখতে পাবেন যে, ফেসবুকে অনেক ধরনের রান্নার ভিডিও আমাদের সামনে আসে। মূলত এই ভিডিও গুলো আপনার মতো কোনো মেয়ে তৈরি করে আপলোড করে দিয়ে। আপনি আমি যে এই ভিডিওগুলো দেখছি এতে করে তার ইনকাম হচ্ছে।
১১. দর্জি কাজ করে আয় করন
মেয়েদের ঘরে বসে আয় করার আরেকটি জনপ্রিয় উপায় হচ্ছে দর্জি বা সেলাই কাজ। বর্তমান সময়ে অনলাইনে এবং অফলাইনের মাধ্যমে বিভিন্ন ধরনের সেলাই কাজের চাহিদা লক্ষ্য করা যায়।
আপনি যদি একজন সেলাই কাজে আগ্রহী হয়ে থাকেন । এবং সেলাই কাজ সম্পর্কে আপনার জানা থাকে। তাহলে আপনি ঘরে বসে কাপড় সেলাই করে ভালো পরিমানে টাকা ইনকাম করতে পারবেন।
তাছাড়াও আমাদের নিজেদের কাপড় সেলাই করার জন্য দর্জির কাছে যেতে হয়। তাই নিজে নিজেই সেলাই কাজ করতে পারলে দর্জির কাছে যেতেও হবে না এবং সেলাই করার টাকাও খরচা করতে হবে না।
আর যদি আপনি সেলাই কাজ না জেনে থাকেন, তাহলে আপনি বিভিন্ন সময়ে অনলাইনে বা অফলাইনে দেখবেন যে “দর্জি ট্রেনিং করানো হয়” বা “দর্জি কাজ শেখানো হয়” আপনি সেখানে যোগাযোগ করে দর্জি সেলাই কাজটি শিখে নিতে পারবেন।
তাছাড়াও যুব উন্নয়ন অধীদপ্তর, সমাজ সেবা অধীদপ্ত, মহিলা অধীদপ্তর থেকেও সেলাই কাজ শিখতে পারবেন।
সেলাই কাজ শেখার পর আপনি আপনার বাসার আসে পাশের লোকদের কাপর শেলাই করেও মাসে ভালো পরিমানে টাকা ইনকাম করতে পারবেন। তাও আবার নিজের বাসায় বা ঘরে বসেই ।
১২. ডাটা এন্ট্রি (Data Entry) করে আয় করন
ডাটা এন্ট্রি হলো স্মার্ট ফোন বা কম্পিউটারের মাধ্যমে নির্দিষ্ট কোনো ডাটা এক স্থান থেকে আরেক স্থানে স্থানান্তর করার প্রক্রিয়া।
যা হতে পারে হাতের লেখা কোনো তথ্য মোবাইল বা কম্পিউটারের সাহায্য টাইপিং করা কিংবা কম্পিউটারের কোনো ফাইল Spreadsheet ফাইল এ সংরক্ষণ করা।
তবে নতুন অবস্থায় মেয়েদের ঘরে বসে ডাটা এন্ট্রি করে আয় করতে হলে অবশ্যই ডাটা এন্ট্রি সম্পর্কে প্রশিক্ষন নিতে হবে বা বিস্তারিত জানা থাকতে হবে।
এছাড়াও ডাটা এন্ট্রি করার জন্য মেয়েদেরকে টাইপিং জানতে হবে এবং অনলাইনের ব্যবহার জানা থাকতে হবে।
আপনি যদি ডাটা এন্ট্রি সম্পর্কে কোর্স করে শিখেন তাহলেই ডাটা এন্ট্রি হতে পারে আপনার মতো মেয়েদের ঘরে বসে আয় করার উপায়।
ডাটা এন্ট্রির কাজ গুলো হলো- ডাটা মাইনিং, ডাটা কপি পেষ্ট করা, ইমেইল সংগ্রহ, পিডিএফ থেকে ওয়ার্ড/এক্সেল ফাইলে রূপান্তর, প্রডাক্ট লিষ্টিং, ওয়েব স্ক্রাপিং, ওয়েব রিসার্চ ইত্যাদি।
১৩. ফেসবুক গ্রুপ থেকে আয়
আজকাল অনেক মেয়েরাই ফেসবুক গ্রুপ খুলে সেখানে বিশাল আকারে কমিউনিটি তৈরি করছেন। আপনিও চাইলে একটি ফেসবুক গ্রুপ খুলে এতে বিভিন্ন ধরনের আকর্শনীয় প্রচার প্রচারনা চালিয়ে লোকদের গ্রুপের মেম্বার বানিয়ে গ্রুপটি বড় করে তুলতে পারেন।
তবে এর নিয়ন্ত্রণ করার সঠিক ধারণা আপনার থাকতে হবে। কোনো ভাবেই নিয়ন্ত্রন আপনি এডমিন ব্যাতিত অন্যকারো হাতে দেওয়া যাবে না।
এতে করে যখন আপনার ফেসবুক গ্রুপের হাজার হাজার মেম্বার হয়ে যাবে তখন আপনি এই গ্রুপের মাধ্যমে বিভিন্ন ভাবে টাকা ইনকাম করতে পারবেন। যেমন- অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং, ই-কমার্স পন্য বিক্রি ইত্যাদি।
আর এটি হতে পারে ছেলেদের মতো মেয়েদের ঘরে বসে আয় করার উপায়। এছাড়াও আপনি চাইলে আপনার অধিক মেম্বার সম্পন্ন ফেসবুক গ্রুপটি বিক্রি করে ভালো পরিমানে টাকা ইনকাম করতে পারবেন।
১৪. গৃহপালিত পশু পালন করে আয়
গৃহপালিত পশু পালন মেয়েদের ঘরে বসে আয় করার উপায় গুলোর মধ্যে সু-পরিচিত একটি উপায়।
অতীতের মতো বর্তমানেও অনেক নারী রয়েছেন যারা দৈনন্দিন জীবনে সকল কাজ কর্মের পাশাপাশি গৃহপালিত পশু পালন করে থাকেন।
তারা গৃহপালিত পশুর সঠিক যত্ন নিয়ে পালন করে স্বাবলম্বীও হয়েছেন।
গৃহপালিত পশু যেমন- হাঁস, মুরগি, গরু, ছাগল রাখার জন্য বাড়ির পাশে একটি ছোট খামার তৈরির প্রয়োজন হয়। গৃহ পালিত পশু থেকে তারা ডিম,দুধ এবং মাংসও বিক্র করে ভালো পরিমানে টাকা ইনকাম করছেন।
আপনি যদি একজন গৃহিনী অথবা মেয়ে হয়ে থাকেন তাহলে, আপনিও চাইলে আপনার সংসারের কাজকর্ম করার পাশাপাশি গৃহপালিত পশু পালন করে ঘরে বসে বাড়তি ইনকাম করতে পারবেন।
১৫. গ্রাফিক্স ডিজাইন করে আয়
আপনি যদি একজন মেয়ে হয়ে থাকেন তাহলে গ্রাফিক ডিজাইন করে আয় করতে পারেন। কেননা গ্রাফিক ডিজাইন মেয়েদের ঘরে বসে আয় করার উপায়গুলোর মধ্য অন্যতম একটি কাজ।
তবে এই কাজটি করার জন্য গ্রাফিক ডিজাইন সম্পর্কে ভালো ধারণা থাকতে হবে এবং গ্রাফিক ডিজাইন কাজ করার দক্ষতা থাকতে হবে। গ্রাফিক ডিজাইন করার জন্য অবশ্যই আপনার একটি কম্পিউটার এবং ইন্টারনেট সংযোগ থাকতে হবে।
গ্রাফিক ডিজাইনের কাজগুলোর মধ্যে- থাম্বনেইল ডিজাইন, বিভিন্ন কোম্পানির লোগো ডিজাইন, সোশ্যাল মিডিয়ার পোষ্ট ও স্টোরি ডিজাইন, ভিজিটিং কার্ড, আইডি কার্ড, হালখাতা, ক্যাশ মেমো, ভর্তি ফরম, বিবাহের কার্ড, ক্রেষ্ট ডিজাইন, রাজনৈতিক ব্যানার পোষ্টার ডিজাইন, জন্ম স্মরণিকা, মাহফিলের ব্যানার পোষ্টার ডিজাইন, ১৫ আগষ্ট ১৬, ডিসেম্বর, ২৬ শে মার্চ, ২১ শে ফেব্রুয়ারির ব্যানার পোষ্টার ডিজাইন ইত্যাদি।
গ্রাফিক ডিজাইন কাজ শিখার পর আপনি বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়ায়, ইউটিউব এবং বিভিন্ন ফ্রিল্যান্সিং ওয়েবসাইটে ক্লায়েন্ট খুজার জন্য আপনার অভিজ্ঞতা সম্পর্কে বর্ণনা দিয়ে প্রচার করুন।
ক্লায়েন্ট যখন কোনো কাজের অর্ডার করবে তখন আপনি তাদের কাছে কাজের বিনিময়ে ভালো পরিমানে টাকা চার্জ করতে পারবেন।
এভাবে কাজ করে আপনি প্রতি মাসে ভালো পরিমানে টাকা ইনকাম করতে পারবেন।
অবশ্যই পড়ুন,
- এড দেখে টাকা ইনকাম করার সেরা ১৪ টি অ্যাপ /ওয়েবসাইটসমূহ
- অনলাইন থেকে আনলিমিটেড টাকা ইনকাম করার সহজ উপায়- ঘরে বসে ফ্রি টাকা ইনকাম
- কিভাবে ফেসবুক থেকে টাকা আয় করা যায়? (ফেসবুক থেকে আয় করার সেরা উপায়)
প্রশ্ন উত্তর:
কিভাবে ঘরে বসে টাকা আয় করা যায়?
ঘরে বসে আয় করার উপায় গুলো হলো- ফ্রিল্যান্সিং করে আয়, ব্লগিং করে আয়, গুগল অ্যাডসেন্স থেকে আয়, অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করে আয়, ভার্চুয়াল অ্যাসিস্টেন্ট করে আয়, ইউটিউব থেকে আয়, সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং করে আয়, কন্টেন্ট রাইটার/ আর্টিকেল লিখে আয় করন, ওয়েবসাইট এর মাধ্যমে আয় করা, গ্রাফিকস ডিজাইন করে অনলাইনে আয় ইত্যাদি।
ঘরে বসে আয় করার (Work from home) চাকরি কোথায় পাবেন?
গুগল প্লে স্টোর বা অ্যাপল স্টোরে অনলাইন বা অফলাইন মোড ভিত্তিক Work from home চাকরির জন্য আবেদন করার একাধিক বৈধ অ্যাপ এবং ওয়েবসাইট পাবেন। এখানে কয়েকটি ওয়েবসাইট ও অ্যাপ এর নাম দেওয়া হলো:
- Naukri
- Indeed
- TimesJobs
- Shine
- Upwork
- Hirect.
- Fiverr,
- Guru,
আজকের শেষ কথা,
বন্ধুরা, আশা করি মেয়েদের ঘরে বসে আয় করার উপায় গুলো সম্পর্কে আপনারা বুঝতে পেরেছেন। এছাড়াও, আর্টিকেলের সাথে জড়িত কোনো প্রশ্ন বা মতামত থাকলে কমেন্ট করুন।
আমাদের আজকের আর্টিকেল, ঘরে বসে মহিলাদের আয় করার ১৫টি উপায় গুলোর মধ্যে যদি আপনাদের কোনো একটি সত্যি সত্যি উপকারে আসে তাহলে, আর্টিকেলটি শেয়ার করবেন। ধন্যবাদ