কম্পিউটার কি? কম্পিউটারের জনক কে- কম্পিউটার পরিচিতি

আজকের আর্টিকেলে আমি আপনাদের সাথে- কম্পিউটার কি? কম্পিউটারের জনক কে? কম্পিউটার পরিচিতি এবং কম্পিউটার সম্পর্কে বেসিক ধারনা নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করতে চলেছি।

আপনি যদি কম্পিউটার কি? কম্পিউটার বিষয়ে বেসিক ধারনো পেতে বা কম্পিউটার এর পরিচিতি সম্পর্কে অজানা থাকেন।

তাহলে আজকের আর্টিকেলের মাধ্যমে কম্পিউটার বিষয়ে জানতে পারবেন। তাই আর্টিকেলটি শেষ পর্যন্ত মনোযোগ সহকারে পড়ুন।

বর্তমান যুগে কম্পিউটারের ব্যবহার বেড়েই চলছে। কম্পিউটার ছাড়া বর্তমান সভ্যতার মানুষগুলো যেন একেবারেই অচল হওয়ার মতো।

কম্পিউটার এর মাধ্যমে বিভিন্ন ধরনের হিসাব-নিকাশের কাজ থেকে শুরু করে মহাকাশযান গবেষণার কাজও করা হয়ে থাকে।

আপনিও যদি কম্পিউটার সম্পর্কে অজানা থাকেন তাহলে, এই আর্টিকেলের মাধ্যমে কম্পিউটার সম্পর্কে কিছু ধারনা বা কম্পিউটার পরিচিতি সম্পর্কে জানতে পারবেন।

এক নজরে দেখুন 👁‍🗨👁‍🗨

কম্পিউটার কি? (What Is Computer)

কম্পিউটারের বাংলা অর্থ হলো গণনা যন্ত্র বা হিসাব নির্ণয় করন মেশিন অর্থাৎ কম্পিউটার হচ্ছে একটি ইলেক্ট্রনিক যন্ত্র।

যার মাধ্যমে খুব সহজেই অনেক বড় বা কঠিন গাণিতিক সমস্যার সমাধান করা যায়।

কম্পিউটারের রয়েছে, মেমোরি, সিপিই, রেম, ইনপুট, আউটপুট ইত্যাদি।

বাংলায় কম্পিউটার কাকে বলে?

Compute শব্দের অর্থ হিসাব বা গণনা করা। আর কম্পিউটার (Computer) শব্দের অর্থ গণনাকারী যন্ত্র। কিন্তু বর্তমানে কম্পিউটারকে শুধু গণনাকারী যন্ত্র বলা যায় না।

কেননা, কম্পিউটার এমন এক যন্ত্র যা বিভিন্ন প্রকার তথ্য গ্রহণ থেকে শুরু করে এবং বিভিন্ন প্রক্রিয়ার মাধ্যমে তা বিশ্লেষণ ও উপস্থাপন করে দিয়ে থাকে।

কম্পিউটার মূলত একটি বৈদ্যুতিক বা ইলেকট্রনিক ডিভাইসটি এক ধরনের ডিজিটাল সার্কিট দিয়ে তৈরী।

এটি একটি পরিবর্তনশীল প্রোগ্রামের নির্দেশনা অনুযায়ী বাইনারি আকারে তথ্য সংরক্ষণ এবং প্রক্রিয়া করে।

আরো পড়ুন, 

কম্পিউটার এর মাধ্যমে আমরা বিভিন্ন জটিল হিসাব করতে ও ট্যাক্স, ফাইল, ডাটা তৈরি করতে পারি। এছাড়াও অডিও ভিডিও গান শুনতে পারি।

এছাড়াও কম্পিউটার আরো বিভিন্ন ধরনের কাজ করে থাকে।

কম্পিউটার- Computer শব্দের পূর্ণরূপ- 

আমরা যাকে কম্পিউটার নামে চিনি,মূলত Computer এর একটি পূর্ণ নাম রয়েছে। আর Computer এর সেই পূর্ণ নাম টি হলো-

  • C – Commonly
  • O – operated
  • M – Machine
  • P – Particularly
  • U – Used for
  • T – Technical
  • E- Education
  • R – Research

তা্ই, এই Computer শব্দের বাংলা অর্থ দাঁড়ায়, সাধারণ ভাবে পরিচালিত একটি যন্ত্র যা বিশেষ করে প্রযুক্তি, শিক্ষা ও অনুসন্ধান ইত্যাদি কাজে ব্যবহৃত হয়।

কম্পিউটারের জনক কে? কম্পিউটারের সংক্ষিপ্ত ইতিহাস- কম্পিউটার পরিচিতি

  1. কম্পিউটারের জনক বলা হয়- চার্লস ব্যাবেজ
  2. আধুনিক Computer এর মডেল প্রস্তাব করেন- অ্যালান টার্নিং (১৯৩৬ সালে )
  3. Computer এর ১ম Programmer হলেন লেডি অ্যাডা লাভলেস।
  4. Computer এর সাধারণ কাঠামোর নির্মান করেন- জন ভন নিউম্যান।
  5. সর্ব সাধারণের ব্যবহারের জন্য ১ম Computer তৈরী করেন- আইবিএম ১৯৮১ সালে ।

কম্পিউটার সম্পর্কে বেসিক ধারনা- কম্পিউটারের প্রধান অংশ সমূহ –

একটি কম্পিউটারের মূলত চারটি অংশ রয়েছে। যেমন-

  1. সিপিইউ
  2. মনিটর
  3. কী-বোর্ড
  4. মাউস

এই চারটির অংশের মাধ্যমেই কম্পিউটার পরিচালিত হয়। এগুলোর যে কোনে একটি ছাড়া কম্পিউটার অচল।

কম্পিউটার হার্ডওয়্যার কি?

কম্পিউটার হার্ডওয়্যার বা কম্পিউটারের শক্ত যন্ত্রাংশসামগ্রী যেগুলো যেগুলো স্পর্শ করা যায় ও দেখা যায়। যেমন- কি-বোর্ড, মাউস, মনিটর, কেসিং, মাদারবোর্ড, রম, সিডি, ডিভিডি, ইত্যাদি।

কম্পিউটার হার্ডওয়্যার যন্ত্রাংশসমূহ বিভিন্ন প্রকার যন্ত্রাংশ দিয়ে একটি পূর্ণ কম্পিউটার তৈরিতে সাহায্য করে এবং একটি কম্পিউটার তৈরি হয়।

কম্পিউটারের কয়েকটি ইনপুট ও আউটপুট ডিভাইসের নাম-

কম্পিউটার ব্যবহার করার জন্য আমাদেরকে ইনপুট এবং আউটপুট ডিভাইস এর মাধ্যমে বিভিন্ন তথ্য কম্পিউটারে প্রবেশ করানো এবং কম্পিউটার থেকে বের করার প্রয়োজন হয়।

তাই আজ আমরা কম্পিউটার এর ইনপুট এবং আউটপুট ডিভাইস সম্পর্কে জানব।

কম্পিউটার এর ৫ টি ইনপুট ডিভাইস এর নাম এবং ব্যবহার-

আমরা যখন কম্পিউটারে কাজ করার জন্য কোন কাজ করার নির্দেশ করি সেই ক্ষেত্রে আমরা ইনপুট ডিভাইস গুলোর মাধ্যমে করে থাকি।

কম্পিউটারের কয়েকটি ইনপুট ডিভাইসের নাম , কম্পিউটার কি , কম্পিউটার সম্পর্কে বেসিক ধারনা , কম্পিউটার পরিচিতি , কম্পিউটার সম্পর্কে কিভাবে জানবো , কম্পিউটার কি বাংলা , কম্পিউটার এর ব্যবহার , কম্পিউটার আবিষ্কার করেন কে ,

নিচে ৫ টি ইনপুট ডিভাইড এর নাম এবং কাজ সম্পর্কে আলোচনা করা হলো-

১. কীবোর্ড এর বর্ণনা-

কিবোর্ড হল কম্পিউটারের একটি ইনপুট ডিভাইস। কি-বোর্ড এর মাধ্যমে আমরা কম্পিউটারে বিভিন্ন লেখা লিখতে পারি।

কম্পিউটারের মধ্যে বিভিন্ন তথ্য নির্দেশ করতে বা সংযোজন, পরিবর্তন এবং বিয়োজন করতে কোবোর্ড এর ব্যবহার করা হয়।

বেশিরভাগ ক্ষেত্রে এটি টাইপিং এর কাজ এবং গণনার কাজের ক্ষেত্রে ব্যবহার হয়।

২. মাউস এর বর্ণনা-

মাউস হচ্ছে কম্পিউটারের আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ ইনপুট ডিভাইস। ডগলাস অ্যাঙ্গেলবার্গ ১৯৬৩ সালে কম্পিউটারের ইনপুট ডিভাইস মাউস আবিষ্কার করেন । এটি দেখতে অনেকটা ইঁদুরের মতো।

এই ইনপুট ডিভাইসের মাধ্যমে একজন ইউজার কম্পিউটার মনিটরের ডিসপ্লে বা স্কিনে কার্সার (ইংরেজি “I” অক্ষরের মতো দেখতে) দিয়ে কম্পিউটারকে নিয়ন্ত্রণ করে থাকেন।

যেকোনো কমান্ট করার জন্য মাউসের মাধ্যমে কমান্ট করতে হয়। মাউস ছাড়া কম্পিউটার চালানো অনেকটাই পানি ছাড়া মাছ বাঁচানোর মতোই।

৩. স্ক্যানার এর ব্যবহার-

স্ক্যানার হলো কম্পিউটারে গ্রাফিক্স, ছবি বা বিভিন্ন প্রয়োজনীয় ডকুমেন্ট স্কেন করে কম্পিউটারে ঢোকানোর একটি অন্যতম ইনপুট ডিভাইস।

আপনি স্ক্যানার ব্যবহার করে যেকোনো ছবি বা কোন বইয়ের পৃষ্ঠা ইত্যাদি স্ক্যান করে কম্পিউটারে ইমপোর্ট করতে পারবেন ।

৪. পেনড্রাইভ –

পেনড্রাইভ হল কম্পিউটারের আরেকটি ইনপুট ডিভাইস। এর মাধ্যমে আমরা বিভিন্ন তথ্য কম্পিউটারের ভিতরে ইনপুট করতে পারি।

তবে ইনপুট এবং আউটপুট উভয় ডিভাইস বলা হয়।

৫. জয়স্টিক এর ব্যবহার-

জয়স্টিক এক ধরনের ইনপুট ডিভাইস যা বিভিন্ন ধরনের ভিডিও গেমগুলোতে গতিবিধি নিয়ন্ত্রণ করতে সাহায্য করে।

কম্পিউটার ৫টি আউটপুট ডিভাইসের নাম এবং ব্যবহার-

এখন আমরা কম্পিউটারের পাঁচটি আউটপুট ডিভাইস সম্পর্কে আলোচনা করব-

১. মনিটর-

মনিটর হল কম্পিউটারের একটি গুরুত্বপূর্ণ আউটপুট ডিভাইস। মূলত মনিটরের মাধ্যমে কম্পিউটারের রক্ষণাবেক্ষণ বা কম্পিউটার পরিচালনার সকল তথ্য আমরা দেখতে পাই।

কম্পিউটার মধ্যে কি কাজ করা হচ্ছে এবং কি কি কমান্ড দেওয়া রয়েছে সবকিছুই মনিটরের মাধ্যমে আমরা দেখতে পাই। মনিটর ছাড়া কম্পিউটার পরিচালনা করা অসম্ভব।

২. প্রিন্টার-

প্রিন্টার হলো কম্পিউটারের আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ আউটপুট ডিভাইস। প্রিন্টারের সাহায্যে আমরা যে কোন তথ্য সম্পাদন করে কাগজে প্রিন্ট আউট করে নিতে পারে।

প্রিন্টার তারা আমরা কম্পিউটার থেকে কোন তথ্য কাগজে নিতে পারিনা।

৩. প্রজেক্টর-

প্রজেক্টর হল কম্পিউটারের আরেকটি অপটিক্যাল আউটপুট ডিভাইস।

প্রজেক্টর এর সাহায্যে কোন চিত্রকে একটি পর্দার ওপর দেখানো হয়ে থাকে।

৪.স্পিকার-

স্পিকার হল কম্পিউটারের সাউন্ড সিস্টেমের একটি গুরুত্বপূর্ণ আউটপুট ডিভাইস।

আপনি এই ডিভাইসটি ব্যবহার করে কম্পিউটারের সব রকমের সাউন্ড আউটপুট করতে পারবেন।

স্পিকারের মাধ্যমে আমরা বিভিন্ন ধরনের অডিও সাউন্ড আউটপুট করে থাকি।

আরো জানুন, 

৫. পেনড্রাইভ-

পেনড্রাইভ কম্পিউটারের ইনপুট এবং আউটপুট উভয় ডিভাইস হিসেবে ব্যবহার হয়।

Computer বা গণকযন্ত্রের সাধারণ পরিচিতি-

  1. এটি দ্বরা তথ্য সংরক্ষণ ও প্রক্রিয়া করা হয়।
  2. কম্পিউটারকে কমান্ড করার কিছু ডিভাইস রয়েছে । যেমন- মাউস, কী-বোর্ড।
  3. গণনাযন্ত্রের একটি মনিটর, ডিস্প্লে বা আউটপুট প্রদানের কাজে ব্যবহার হয়।
  4. গণনাযন্ত্রের নির্দিষ্ট মেমোরিতে তথ্য সমূহ সংরক্ষণ হয়ে থাকে।
  5. গণননাযন্ত্রের একটি Central Processing unit (CPU ) বা কেন্দ্রীয় প্রক্রিয়াকরণ ইউনিট রয়েছে। এই CPU মূলত কম্পিউটারের প্রক্রিয়া করণের কাজ করে থাকে।

কম্পিউটারের বৈশিষ্ট্য-

  • কম্পিউটার একদম নির্ভুলভাবে কাজ করতে পারে।
  • কম্পিউটার স্বয়ক্রিয়ভাবে বিভিন্ন ধরনের কাজ করতে পারে।
  • একটি কম্পিউটার একসাথে অনেক ধরনের কাজ করতে পারে।
  • কম্পিউটার খুব পরপর সময়ের মধ্যেই অনেক জটিল গণনার সমস্যার সমাধান দিতে পারে।
  • কম্পিউটারের হার্ড ডিস্ক বা মেমরি কমানো বাড়ানো যায়, তাই এর ধারণক্ষমতাও কম বেশি করা যায়।

Computer এর কাজের ধরন বা পদ্ধতি-

কম্পিউটার ইনপুট এবং আউটপুট এই দুই পদ্ধতিতে কাজ করে।

আমরা যখন কোন কাজ করানোর জন্য কম্পিউটারকে কোন তথ্য ইনপুট করি।

তখন আমাদের সেই ইনপুট করা তথ্যগুলো কম্পিউটার প্রক্রিয়াজাত করে সম্পন্ন করে আউটপুটের মাধ্যমে আমাদেরকে দিয়ে থাকে।

কম্পিউটার মেমোরি সম্পর্কে ধারনা-

আমাদের মস্তিষ্কের মতোই কম্পিউটার মেমোরি কাজ করে থাকে।

আমরা কোন কাজ করার আগে যেমন চিন্তা ভাবনা করি বা মস্তিষ্কের সাহায্যে মনে রাখার চেষ্টা করি।

ঠিক একই রকম ভাবে কম্পিউটার মেমোরি কম্পিউটারের সকল তথ্য সংরক্ষণ করে রাখে।

কম্পিউটার মেমোরি ৩ প্রকার। যথা-

১. ক্যাশ মেমোরি (Cache Memory)

ক্যাশ মেমোরি হল খুব উচ্চগতির সেমি কন্ডাক্টর মেমোরি।

CPU-এর গতি বৃদ্ধি করতে ক্যাশ মেমোরি সাহায্য করে।

ক্যাশ মেমোরি প্রাইমারি মেমোরি ও সিপিইউ এর মধ্যে রেফারি হিসেবে কাজ করে।

২. প্রাইমারী মেমোরি (Primary Memory)

প্রাইমারি মেমোরিতে কম্পিউটার নির্মাতা এমন কিছু আদেশ কমান্ড আকারে যোগ করে দেন কম্পিউটারের মধ্যে যেগুলো কম্পিউটারের ভাষায় বোধগম্য।

এই মেমোরিতে শুধুমাত্র যেসব নির্দেশ আমলের মাধ্যমে কম্পিউটার চলে সেগুলোই থাকে।

কোন কারণবশত কম্পিউটারের বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন হলে তাৎক্ষণিকভাবে এর তথ্যগুলো ফেলে।

প্রাইমারি মেমোরির প্রধান দুটি ভাগ হলো- (ROM) এবং RAM।

# RAM- রেম হল কম্পিউটারের এমন একটি মেমোরি যার মধ্যে অপারেটিং সিস্টেম, অ্যাপলিকেশন প্রোগ্রাম এবং বর্তমান ব্যবহারের তথ্যগুলো জমা থাকে।

কিন্তু কম্পিউটার বন্ধ করে দিয়ে আর এই তথ্যগুলো থাকে না।

এ ধরনের মেমোরি অন্য মেমোরিগুলোর তুলনায় খুব দ্রুত কাজ করে এবং খুব সহজেই এগুলো তথ্য পড়ানো লেখানো যায়।

# ROM-

শুধুমাত্র পড়া যায় এমন তথ্য সংগ্রহ করে যে মেমোরি তাকে রম বলা হয়। কম্পিউটার বন্ধ হয়ে গেলেও এই মেমোরিতে তথ্য থেকেই যায় এবং খুব সহজেই খুজে পাওয়া যায়।

রম তিন প্রকার-

  • PROM
  • EPROM
  • EEPROM

৩. সেকেন্ডারি মেমরি (Secondary Memory)

সেকেন্ডারি মেমরিকে বাহ্যিক বা এক্সটার্নাল মেমোরিও বলা হয়, এটি হলো ভেরাইটিজ স্টোরেজ মিডিয়া।

এই মেমোরি সাহায্যে আপনি বিভিন্ন তথ্য প্রোগ্রাম কম্পিউটারে সংরক্ষণ করতে পারবেন । এরকম মেমোরি নির্ধারিত বা নিষ্ক্রিয় করা যায়।

এই মেমোরি হার্ডডিক্স এর মতই একটি অভ্যন্তরিন স্টোরেজ । যা কম্পিউটার মধ্যে লাগানো থাকে।

কিছু রিমু রিমুভেবল মেমোরি যেমন- হার্ড ড্রাইভ, অপটিক্যাল ড্রাইভ, এসএসডি, সিডি, ইউএসবি ড্রাইভ ইত্যাদি।

কম্পিউটারের CPU বা সেন্ট্রাল প্রসেসিং ইউনিট-

CPU বা সেন্ট্রাল প্রসেসিং ইউনিট হলো কম্পিউটারের প্রধান কেন্দ্রীয় প্রক্রিয়াজাতকরণ ইউনিট বা অংশ।

মূলত CPU হল একটি কম্পিউটার সিস্টেমের মস্তিষ্ক। কম্পিউটারের সকল প্রসেসিং বা প্রক্রিয়া করণের কাজ সিপিআই এর মাঝেও হয়ে থাকে।

সিপিইউ একটি গাণিতিক এবং লজিক ইউনিট, কন্ট্রোল বা নিয়ন্ত্রণ ইউনিট ইত্যাদি সহ আর কিছু যন্ত্রাংশ নিয়ে গঠিত হয়।

অনেকেই সিপিইউকে প্রসেসর বলে থাকেন।

সফটওয়্যার কাকে বলে?

সাধারণত সফটওয়্যার বলতে আমরা কম্পিউটারের প্রোগ্রাম সমূহের সমষ্টিকে বুঝি।

অর্থাৎ সফটওয়্যার হলো কম্পিউটারের এমন কতগুলো প্রোগ্রাম বা প্রোগ্রামের সমষ্টি।

যা হার্ডওয়্যারকে কর্মক্ষম করে প্রক্রিয়াকরণের মাধ্যমে ব্যবহারকারীদের কাঙ্ক্ষিত ফলাফল প্রদান করে থাকে।

সফটওয়্যারের মাধ্যমে কম্পিউটারের হার্ডওয়্যারকে কাজের উপযোগী করে তুলা হয়।

সফ্টওয়্যার প্রধানত দুই প্রকার । যথা-

  1. সিস্টেম সফ্টওয়্যার
  2.  এপ্লিকেশন সফ্টওয়্যার

টাকা ইনকাম, 

FAQ –

কম্পিউটারে জনক কে?

হাওয়ার্ড অ্যাইকন হচ্ছেন কম্পিউটার এর জনক।

কারণ , তিনিই সর্বপ্রথম কম্পিউটার আবিষ্কার করেছিলেন।

পরবর্তীতে চার্লস ব্যাবেজ ১৮১০ সালে প্রথম যান্ত্রিক উপায় ব্যবহার করে সংখ্যা ও সারণী গণনা করার মাধ্যমে কম্পিউটারের আধুনিক ভার্সন আবিষ্কার করেন।

তাই আধুনিক কম্পিউটারের জনক হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়া হয় চার্লস ব্যবেজ কে।

আধুনিক কম্পিউটারের প্রধান অংশ কয়টি ও কি কি?

আধুনিক কম্পিউটারের কয়টি মূল অংশ হলো ৪টি । কম্পিউটারের চারটি মূল অংশের নাম হলো- সিপিইউ, মনিটর, কিবোর্ড, মাউস।

হার্ডওয়্যার ও সফটওয়্যার কি?

একটি কম্পিউটার সিস্টেম প্রধানত দুই ভাগে বিভক্ত । হার্ডওয়্যার এবং সফ্টওয়্যার।

হার্ডওয়্যার বলতে সিস্টেমের শারীরিক এবং দৃশ্যমান অর্থাৎ যেগুলোকে খালি চোখে দেখা যায় সেগুলোকে বোঝায়।

যেমন- একটি মনিটর, CPU, কীবোর্ড এবং মাউস ইত্যাদি।

অন্যদিকে, সফ্টওয়্যার বলতে বোঝায় যা হার্ডওয়্যারকে একটি নির্দিষ্ট সেট কাজ সম্পাদন করতে সক্ষম করে করে তুলে এবং এগুলো হাত দিয়ে ধরা ছোয়া যায় না।

যেমন-  এডোবি ফটোশপ, মাইকো্রাসফ্ট অফিস।

কম্পিউটার কত প্রকার?

কম্পিউটার এর কয়েকটি প্রকার । যেমন-

সুপার কম্পিউটার, মেইনফ্রেম , ইক্রোকন্ট্রোলার , সার্ভার কম্পিউটার , পার্সোনাল কম্পিউটার , ওয়ার্কস্টেশন কম্পিউটার।

আজকের শেষ কথা,

আজকের আর্টিকেলে আমি আপনাদের সাথে- কম্পিউটার কি ? কম্পিউটারের জনক কে? কম্পিউটার পরিচিতি এবং কম্পিউটার সম্পর্কে বেসিক ধারনা নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেছি।

কম্পিউটার পরিচিতি সম্পর্কে আপনাদের যদি কোনো প্রশ্ন বা মতামত থাকে । তাহলে অবশ্যই কমেন্ট করে জানাবেন।

আর যদি কম্পিউটার কী বাংলা আর্টিকেলটি আপনাদের ভালো লাগে, তাহলে অবশ্যই আপনার বন্ধুদের সাথে শেয়ার করবেন। বিনিময় এর সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ

Leave a Comment