ফ্রিল্যান্সিং কি? ফ্রিল্যান্সিং এর কাজ সমূহ- ফ্রিল্যান্সিং করে আয় করন

ফ্রিল্যান্সিং কি? (What Is Freelancing?): বত্যমানে অনলাইনে আয় করার অনেক মাধ্যম রয়েছে। আজ আমি আপনাদের সাথে অনলাইনে ইনকাম করার গুরুত্বপূর্ণ একটি ক্যারিয়ার নিয়ে কথা বলবো।

যে ক্যারিয়ার গঠনের মাধ্যমে আপনারা ঘরে বসে মাসে ৫০,০০০ + টাকা আয় করতে পারবেন।

আর সেই ক্যারিয়ারটি হলো “ফ্রিল্যান্সিং-Freelancing” অর্থাৎ,  ঘরে বসে ফ্রিল্যান্সিং করে আয় করুন মাসে ৫০,০০০ টাকা কথা শুনেঅবাক হওয়ার কিছু নেই।

বর্তমানে অনলাইনে ফ্রিলান্সিং করে অনেকে নিজেদের ক্যারিয়ার গড়ে তুলেছে। তারা অনেকেই মাসে লাখ লাখ টাকা ইনকাম করছেন।

তাই আজ আমি আপনাদের সাথে “ফ্রিল্যান্সি” মানে কি? (What is Freelancing?) ফ্রিল্যান্সিং এর কাজ সমূহ-  কিভাবে ঘরে বসে ফ্রিলান্সিং করে মাসে ৫০০০০ টাকার উপরে ইনকাম করতে পারবেন? সেই ব্যপারে বিস্তারিত আলোচনা করবো। 

ফ্রিল্যান্সিং (Freelancing) করে অনেকেই প্রচুর টাকা ইনকাম করতেছেন, যা কোনো চাকুরি বা অন্যকোনো মাধ্যমে অসম্ভব।

আর বর্তমানে ফ্রিলান্সারদের অনেক চাহিদাও রয়েছে অনলাইনে।

তবে, এই মুক্ত বা স্বাধীন পেশা ফ্রিলান্সিং করার জন্য আপনাদের কিছু জরুরি বিষয়ের জ্ঞান থাকতে হবে। যেমন-

  1. ফ্রিল্যান্সিং কি?
  2. ফ্রিল্যান্সিং এর কাজ সমূহ কি?
  3. ফ্রিল্যান্সিং কিভাবে শিখবো?
  4. ফ্রিল্যান্সিং কোন কাজের চাহিদা বেশি?
  5. ফ্রিল্যান্সিং কীভাবে শুরু করব?
  6. ফ্রিল্যান্সিং এর ভবিষ্যৎ কি?
  7. ফ্রিল্যান্সিং করতে কি কি প্রয়োজন?
  8. ফ্রিল্যান্সার হতে কি প্রয়োজন?
  9. ফ্রিল্যান্সিং শিখতে কত টাকা লাগে?
  10. ফ্রিল্যান্সিং হালাল কি না?
  11. কিভাবে ফ্রিল্যান্সিং করে টাকা আয় করবো?
  12. Freelancing করে কত টাকা আয় করা যাবে?
  13. নতুনদের জন্য কিছু সেরা ফ্রিল্যান্সিং সাইট কোনগুলি?
  14. মোবাইল দিয়ে ফ্রিল্যান্সিং কীভাবে শিখবো?

ওপরে বর্ণিত বিষয় গুলির সম্পর্কে জানার পর আপনি freelancing এর ব্যাপারে সুস্পষ্ট ধারণা পেয়ে যাবেন।

আর সবকিছু জানার পর আপনি নিজেই বুঝতে পারবেন যে,  freelancing কি বা ফ্রিল্যান্সিং বলতে কি বুঝায়, ফ্রিল্যান্সিং কোন কাজের চাহিদা বেশি? এবং ফ্রিলান্সিং করে অনলাইনে টাকা আয় করতে আপনি কতটা উপযোক্ত বা নিজেকে তৈরি করতে পেরেছেন।

এক নজরে দেখুন 👁‍🗨👁‍🗨

ফ্রিল্যান্সিং কি? – What is Freelancing? 

ফ্রিলান্সিং বলতে মূলত মুক্ত, স্বাধীন পেশা কে বুঝায়। অর্থাৎ কোন প্রতিষ্ঠানের অধীনে স্থায়ী কাজ না করে কন্টাকে কাজ করাকে বুঝায়।

ফ্রিলান্সিং এর ক্ষেত্রে একজন ফ্রিলান্সার নিজেই তার দক্ষতা ও অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগিয়ে কোনো একটি সার্ভিস বা সেবা প্রদান করে থাকে।

সহজভাবে বলতে গেলে, যখন কোনো ব্যক্তি তার নিজের শিক্ষা, অভিজ্ঞতা ও দক্ষতাকে কাজে লাগিয়ে কোনো প্রতিষ্ঠানের অধিনে না থেকে নিজের ঘরে বসেই বা যে কোনো যায়গা থেকে একাধিক ক্লায়েন্টের কাজ করে, তখন সেই কাজকে ফ্রিলান্সিং বলে। কাজ সম্পন্নকারীকে বলা হয় ফ্রিলান্সার

অধিকাংশ ফ্রিলান্সিং কাজগুলো ঘরে বসেই করা যায়। তবে, কিছু কিছু কাজ ক্লায়েন্টের অফিসে গিয়েও করা প্রয়োজন হতে পারে ।

আরো জানুন,

অধিকাংশ ক্লায়েন্টরা তাদের তাদের কাজগুলো আউটসোর্সিং করিয়ে থাকেন।

সহজ কথায়, ফ্রিল্যান্সিং এমন পেশা, যার দ্বারা আপনারা ঘরে বাসে অনলাইন কাজ করে টাকা আয় করতে পারবেন।

একজন চাকুরী জীবিকে যেমন ৯ টা থেকে ৫ অফিসে গিয়ে ডিউটি করতে হয়, কিন্তু ফ্রিলান্সিং এ এরকম কোনে টাইম ফিক্সড করা নেই । আপনার সুবিধা বা মনমতো আপনি কাজ করতে পারবেন।

ফ্রিল্যান্সিং করতে কি কি প্রয়োজন?

ফ্রিল্যান্সিং করতে কি কি প্রয়োজন? এ বিষয়টি নিয়ে বিভিন্ন মতামত রয়েছে।

অনেকেই মনে করেন যে, আপনার যদি কোনো কাজের দক্ষতা থাকে এবং আপনি যদি সেটাকে সম্পন্ন করতে পারেন  তবেই ফ্রিলান্সিং করা আপনার জন্য সম্ভব।

বর্তমানে বেশিরভাগ ফ্রিলান্সিং কাজ করার জন্য আপনার যেসব জিনিসের প্রয়োজন হবে।  অথ্যাৎ ফ্রিলান্সিং করতে প্রয়োজনীয় বিষয়গুলো হলো-

  • কম্পিউটার বা ল্যাপটপ
  • ইন্টারনেট কানেকশন
  • কাজের দক্ষতা
  • অনলাইনে কাজ করার মনমানষিকতা
  • অনলাইনে কাজ করার জন্য সময় প্রদান

ফ্রিল্যান্সিং এর ভবিষ্যৎ কি?

বর্তমান ডিজিটাল যুগে ৯ টা থেকে ৫ টা পর্যন্ত অফিসে গিয়ে কাজ করে মাসিক যে পরিমাণ বেতন পাওয়া যায় তা কিন্তু যথেষ্ট নয়।

কেননা, এখন অনলাইনে এমনও Digital work platforms এবং online talent marketplaces গুলো রয়েছে যেগুলোর দ্বারা ঘরে বসে অনলাইনে কাজ পাওয়াটা এবং সম্পাদন করার প্রচুর সুবিধাজনক হয়ে দাঁড়িয়েছে।

একজন ফ্রিলান্সার মাসে লাখ লাখ টাকা আয় করছেন প্রতি মাসে। তাও আবার প্রতিদিন ৩-৪ ঘন্টা সময় ব্যয় করে নিজের ঘরে বসেই । যা চাকুরী থেকে কখনোই সম্ভব না।

তাই আগের চেয়ে এখন freelancer – দের সংখ্যা দিন দিন বেড়েই চলেছে।

ঘরে বসে একটি laptop বা computer এবং সাথে internet connection করে নিজের দক্ষতাকে কাজে লাগিয়ে নির্দিষ্ট পরিমাণ সময় ব্যয় করে কাজ করে extra income করার trend এবং কৌশল বৃদ্ধি পাওয়াটা স্বাভাবিক।

শুধু আপনার আপনার প্রয়োজন হবে কাজের অভিজ্ঞতা এবং কৌশল িবা চিকন বুদ্ধির।

বিশ্বের অনেক মানুষ এখন অনলাইনে কাজ করে প্রচুর টাকা ইনকাম করছেন।

তাছাড়াও বর্তমানে প্রচুর মানুষ ফ্রিল্যান্সিং বা ফ্রিল্যান্সিং মানে কি, এই বিষয়ে জানার জন্য আগ্রহী হয়ে উঠেছেন।

তাই বলা যায় যে, ফ্রিল্যান্সিং এর একটি সুন্দর এবং উজ্জল ভবিষ্যৎ রয়েছে।

ফ্রিল্যান্সিং কি হালাল? 

বর্তমান ডিজিটাল যুগে ঘরে বসে বিদেশের অনেক কাজ করে ফ্রিল্যান্সাররা অনেক টাকা ইনকাম করতেছেন।

অনেকের মনে একটা প্রশ্ন থাকে যে, ফ্যিল্যান্সিং কি হালাল? এক্ষেত্রে ইসলামের দৃষ্টিভঙ্গি হলো, কাজের ওপর নির্ভর করে ফ্রিল্যান্সিং এর ইনকাম কিছু ক্ষেত্রে বৈধ আবার কিছু ক্ষেত্রে অবৈধ রয়েছে।

ইসলামের মূলনীতি হলো, আপনি যদি এমন কাজ করেন যেটা ইসলামে হালাল এবং যেখানে হারামের সংস্পর্শও নেই তাহলে সেখান থেকে উপার্জিত অর্থ বা সম্পদও হালাল। 

আর যদি আপনার কাজটি হারাম হয়, তাহলে সেখান থেকে অর্জিত অর্থ বা সম্পদও হারাম।

তাই উপার্জনের সময় অবশ্যই হালাল-হারামের বিষয়টিকে মাথায় রাখতে হবে। আর যদি সন্দেহজনক হয় তাহলে তা থেকে দূরে থাকতে হবে।

রাসূল (সাঃ) এরশাদ করেছেন,  ‘অবশ্যই হালাল স্পষ্ট এবং হারামও স্পষ্ট। আর এ দুটির মাঝখানে আছে কিছু সন্দেহপূর্ণ বস্তু, যা অনেক লোকেই জানে না।

অতএব যে ব্যক্তি এই সন্দেহপূর্ণ বিষয় থেকে দূরে থাকবে, সে তার দ্বিন ও মর্যাদা রক্ষা করবে এবং যে সন্দেহপূর্ণ বিষয়ে পতিত হবে সে হারামে পতিত হবে।’ (বুখারি, হাদিস : ২০৫১, মুসলিম, হাদিস : ১৫৯৯)

এমন অনেক জিনিস রয়েছে, যেগুলোর ব্যবসা করা ইসলামে হারাম। যেমন- মৃত প্রাণীর ব্যবসা, শুকর কেনাবেচা করা, নেশাজাতীয় বস্তু, মূর্তি ইত্যাদি।

এসব কাজের সঙ্গে জড়িত থেকে ফ্রিল্যান্সিং করা অর্জিত টাকাও হারাম।

সুদ, ঘুষ ও প্রতারণা ব্যাতিত কার্য করে ফ্রিল্যান্সিং করতে হবে। সততা ও দায়িত্ববোধের জায়গা থেকে নিষ্ঠাবান হয়ে ফ্রিল্যান্সিং করে অথ্য উপার্জন হালাল হবে।

তাছাড়াও শতভাগ উপার্জন হালাল হওয়ার জন্য নিচের বিষয়গুলো খেয়াল রাখতে হবে, যেমন- কাজটি দেশের প্রচলিত আইন পরিপন্থী কি না? মানুষ, সমাজ ও দেশের জন্য ক্ষতিকারক না হওয়া, অধিকার খর্ব না করা।

(যেমন- অনে্যর লেখা চুরি করা বা কপিরাইট ) মিথ্য, ওয়াদা ভঙ্গ ও প্রতারনার আশ্রয় না নেওয়া ইত্যাদি বিষয়ে খেয়াল রেখে ফ্রিল্যান্সিং করে ইনকাম করা।

ফ্রিল্যান্সার হতে কি প্রয়োজন?

আমি আপনাদেরকে আগেও বলেছি যে, freelancing হলো কাজের মাধ্যম যেখানে আপনাকে অন্যের কাজগুলোকে চুক্তিভিত্তিক করতে হবে।

কোন ব্যক্তি বা কোম্পানি ঠিক তখনই আপনাকে কোনো কাজের জন্য চুক্তি করবে যখন আপনার মধ্যে সেই কাজের অভিজ্ঞতা, কৌশল, এবং সম্পুর্ণ জ্ঞান থাকবে।

তাই ফ্রিল্যান্সার হতে কি প্রয়োজন? এর সরাসরি উত্তর হলো- এক বা একাধিক কাজের অভিজ্ঞতা এবং কৌশল এর প্রয়োজন। যেমন –

আপনি খুব ভালো লোগো ডিজাইন করতে পারেন। তাই আপনি একজন freelancer হিসেবে লোগো ডিজাইজন রিলেটেড  project বা work গুলো করতে পারবেন।

আরো পড়ুন,

তাই, আপনি যদি  freelancing করে অনলাইনে ইনকাম করতে চান, তাহলে সবার আগে অবশ্যই আপনাকে আপনার skills এবং knowledge বাড়ানোর উপরে জোর দিতে হবে।

আর কাজ পাওয়ার জন্যে আপনাকে বিভিন্ন freelancing platform গুলোতে account তৈরি করতে হবে।

ফ্রিল্যান্সিং কীভাবে শুরু করব- How to start Freelancing?

বর্তমানে ইন্টারনেটের ব্যবহার দিন দিন বেড়ে চলেছে । সকল ক্ষেত্রেই ইন্টারনেট এর বিস্তার রয়েছে।

আর ফ্রিল্যান্সিং কাজ করার জন্য সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ যে বিষয় , তা হচ্ছে “Internet“ সংযোগ।

কেননা, বিভিন্ন প্লাটফর্ম থেকে কাজ পাওয়া থেকে শুরু করে, কাজ কমপ্লিট করে ক্লাইন্টকে জমা দেওয়া পর্যন্ত অলটিইম ইন্টার্নের প্রয়োজন।

ইন্টারনেটের মাধ্যমে আপনাকে আপনার নিজের কাজ, দক্ষতার (skills) এবং অভিজ্ঞতা এবং বিভিন্ন প্লাটফর্মে এবং সোশ্যাল মিডিয়াতে (social media websites, social media groups, freelancing marketplace ) প্রচার – প্রসার করার জন্যও ইন্টারনে সবচেয়ে আগে প্রয়োজন। 

নিজের দক্ষতা (skills) প্রচারের ফলে লোকেরা আপনার বিষয়ে জানতে জানতে পারবে এবং তারা আপনার দক্ষতার ওপর নির্ভর করে আপনাকে কাজ দিয়ে থাকবে।

উদাহরণ স্বরূপ, আপনি যদি- লোগো ডিজাইন অথবা bloggingSEO এবং Website তৈরি করতে পারেন। তাহলে, আপনার সেই ব্যাপারে লোকদেরকে জানাতে পারেন।

যখন অনলাইনের মাধ্যমে কোনো লোক আপনার কাজের দক্ষতা ও অভিজ্ঞতা সম্পর্কে জানতে পারবে। তখন তারা আপনাকে ভরসা করেই কাজটা দিয়ে থাকবে।

তাই আপনার কাজের ভালো নাম, অভিজ্ঞতা এবং দক্ষতা এসবকিছুই হবে আপনার এক একটি ব্যান্ড (brand) বা আলাদা নামেরপরিচয়।

আপনার ফ্রিলান্সিং ক্যারিয়ার গঠনে ভালো নামের (brand) তৈরি করতে পারলেই আপনি অনেক কাজ পেতে পারেন (client) লোকদের কাছ থেকে।

নতুনদের জন্য ফ্রিল্যান্সিং- ফ্রিল্যান্সিং করে আয় করবেন যেভাবে

ফ্রিল্যান্সিং এর হাতেখড়ি
নতুনদের জন্য ফ্রিল্যান্সিং

নতুনদের জন্য ফ্রিল্যান্সিং বা ফ্রিলান্সিং শুরু করবো কিভাবে? ফ্রিল্যান্সিং করে আয় করবেন কিভাবে? তার জন্য চিন্তার কিছু নেই।

আজ আমি আপনাদের সাথে ফ্রিলান্সিং শুরু করার জন্য প্রয়োজনীয় বিষয়গুলো নিচে আলোচনা করছি।

নিচের দেওয়া বিষয়গুলো জানতে পারলে আপনি ফ্রিল্যান্সিং শুরু করতে পারবেন এবং ফ্রিল্যান্সিং করে আয় করতে পারবেন।

১. নিজের লক্ষ্য ঠিক করুন-

ফ্রিল্যান্সিং করে আয় করবেন যেভাবে তা নিয়ে চিন্তায় থাকেন, তাহলে ফ্রিলান্সিং শুরু করার জন্য সবার প্রথমে আপনার নিজের লক্ষ্য ঠিক করুন।

আপনি কি কাজ করবেন ? কতটুকু সময় দিতে পারবেন? কোন কাজে অভিজ্ঞতা বা দক্ষতা আছে ইত্যাদি বিষয়ে নিজেকে স্থীর করে নিন।

আপনি কি চাকুরীর পাশা পাশি ফ্রিলান্সিং করবেন? নাকি ফুল টাইম ফ্রিলান্সিং করতে চান তাও স্থীর করে নিন

এসব কিছু ঠিক করে নেওয়ার পরই আপনি আপনার ফ্রিল্যান্সিং এর কাজ সমূহ শূরু করুন।

২. নিশ সিলেকশন করুন-

নিশ সিলেকশন করা আপনার ফ্রিলান্সিং করার ক্ষেত্রে অনেকটাই জরুরী। নতুনদের জন্য ফ্রিল্যান্সিং বা  ফ্রিলান্সিং শুরু করার জন্য ২য় ধাপে আপনি কোন বিষয় বা নিশ নিয়ে কাজ করতে চান ?

অথবা আপনি কোন বিষয়ে ভালো দক্ষতা বা অভিজ্ঞতার অধিকারী তা নির্বাচন করুন। অর্থাৎ নিশ সিলেকশন করে নিন। 

যেমন, Web designing, Content Writing, Coding, Logo Designing, SEO Services, Video Creating, Video Editing, Content Marketing ইত্যাদি সহ আরো অনেক বিষয় বা নিশ রয়েছে।

যেগুলোর থেকে আপনার পছন্দের নিশ নিয়ে আপনি আপনার দক্ষতা অনুযায়ী কাজ করতে পারেন।

তবে, ফ্রিলান্সিং এর হাতেখড়ি দিতে আপনার নিশ সিলেকশন করার আগে  নিচের ৪ টি জিনিষের খেয়াল অবশ্যই রাখতে হবে।

যেমন- 

  • আপনি সেই নিশ সিলেকশন করুন যার উপর আপনার পুরো জ্ঞান, অভিজ্ঞতা বা দক্ষতা রয়েছে।
  • আপনি যেই কাজ করতে ও নতুন নতুন বিষয় শিখতে আপনার ভালো লাগে সেই বিষয়ে নিশ সিলেকশন করুন।
  • আপনি যে নিশ নিয়ে কাজ করতে চান সেটার মার্কেটে কেমন চাহিদা এবং মূল্য রয়েছে সেটাও নিশ নির্বাচনের আগে জানাট আপনার জন্য জরুরী।
  • নিশ সিলেকশন করার আগে আপনি যে বিষয়ে কাজ করতে আপনার বিরক্ত হবেন না বা আপনার প্রচুর আগ্রহ থাকবে সেই বিষয়ে নিশ ( niche ) সিলেকশন করুন।

বন্ধুরা আপনারা অবশ্যই freelancing business বা ফ্রিলান্সিং শুরু করার জন্য নিশ সিলেকশন করতে উপরের চারটি বিষয়ে অবশ্যই খেয়াল রাখবেন। 

৩. ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেস তালিকা করুন- freelancing platform বা site

ফ্রিল্যান্সিং শুরু করার আগে আপনি ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেস তালিকা তৈরি করে নিন। যেখানে আপনি কাজ করতে চান freelancing platform বা site। 

আপনি বিভিনন্ ধরনের অনলািইন ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেস পাবেন যেখানে গিয়ে আপনি আপনার ফ্রিল্যান্সিং কাজ শুরু করতে পারবেন।

মনে রাখবেন, বিভিন্ন employer বা clients তাদের কাজ গুলো করানোর জন্য এসব ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেসগুলোতে ফ্রিল্যান্সারদের কে খুঁজে থাকেন।

আর ফ্রিল্যান্সাররা তাদের নতুন কাজ পাওয়ার জন্য এসব ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেসগুলোতে কাজ খুঁজে থাকেন।

এসব ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেসগুলোতে হাজার হাজার  employer বা clients রা তাদের কাজ করানোর জন্য বিশ্বাসী ফ্রিল্যান্সারদেরকে খুঁজে থাকেন।

প্রথম যে কাজটি পাবেন সেই কাজটি সম্পূর্ণ সঠিকভাবে করে, সঠিক সময়ে  client কে জমাদানের মাধ্যমে আপনি আরো অনেক বেশি কাজ পেতে পারেন এবং আপনার ফ্রিল্যান্সিং ক্যারিয়ারও ডেভলপ হতে থাকবে।

আপনার কম্প্লিট করে দেওয়া কাজটি পেয়ে client আপনাকে আবার দ্বিতীয়বার কাজ দিয়ে দিবে খুব সহজেই।

আমরা নিচের ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেস তালিকা থেকে কোন সাইট টি ব্যবহার করতে পারি সেটা দেখে নেওয়া যাক-

সেরা ৫ টি ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেস তালিকা – 

১. ফাইভার-

অনেক পুরাতন, বিশ্বাসী এবং জনপ্রিয় একটি ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেস হচ্ছে Fiverr যেখানে আপনি প্রায় সকল ধরনের কাজ করতে পারবেন।

এখানে প্রতিটি কাজ কমপক্ষে ৫ ডলারের বিনিময়ে শুরু হয়।

Graphic designing, লোগো ডিজাইন, ব্যানার ডিজাইন, ক্যাপচা টাইপিং, ডাটা এন্ট্রি, Digital marketing, content writing, programming বা video & animation ইত্যাদি বিভিন্ন ধরনের কাজ এখানে আপনি করতে পারবেন।

২. আপওয়ার্ক- 

বর্তমানের অনেক নামকরা ও জনপ্রিয় একটি ফ্রিল্যান্সিং সাইট হচ্ছে – Upwork.

upwork এ প্রায় বারো মিলিয়ন ফ্রিল্যান্সাররা নিয়মিত কাজ করে টাকা ইনকাম করতেছেন।

প্রতি বছরে এখানে তিন মিলিয়নের বেশি কাজ পোস্ট করা হয়ে থাকে।

এখানে প্রায় সব ধরনের কাজের জন্যই employer বা clients রা ( freelancer ) ফ্রিল্যান্সারদেরকে খুঁজে থাকেন।

৩. পিপলপার-hour

peopleperhour একটি শুধূমাত্র নামে পিপল পার আওয়ার ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেস হলেও এখানে ঘন্টা ভিত্তিক ও কাজ ভিত্তিক টাকা ইনকামের সুযোগ রয়েছে।

এখান থেকে ইনকাম করা টাকা আপনি পেপাল, স্ক্রিল, পেওনিয়ার এবং ব্যাংক এ্যাকাউন্টে ট্রান্সফারের মাধ্যমেও তুলতে পারবেন।

৪. ফ্রিল্যান্সার- 

এখানেও আপনি প্রায় সব ধরনের কাজ করানোর জন্য ক্লায়েন্ট (clients) দের পেয়ে যাবেন।

১৩৫০ টিরও বেশি ভিন্ন ক্যাটাগরির কাজ এখানে রয়েছে।

কিছু উল্লেখযেগ্য কাজের মধ্যে- graphic designing, web design, accounting , finance , internet marketing , PHOTOSHOP , mobile app সহ অনেক ক্যাটাগরির কাজ এখানে আপনি করতে পারবেন।

৫. Guru-

এখানে আপনি প্রায় সব বিষয়ের কাজ করতে পারবেন। এই ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেস টিতে প্রায় ত্রিশ লক্ষ লোক কাজ করছে।

এখানে কাজ করার জন্য আপনাকে আপনার একটি প্রোফাইল তৈরি করতে হবে । এরপর সেখানে আপনার জ্ঞান, কাজের অভিজ্ঞতা এবং দক্ষতার বর্ণনা প্রোফাইলে দিয়ে দিন।

যখন লোকেরা আপনার প্রোফাইল দেখবে তখন তারা আপনার বিষয়ে জানতে পারবে এবং আপনাকে কাজ দিয়ে থাকবে।

ফ্রি্ল্যান্সিং শুরু করার জন্য আপনি উপরের – Fiverr, Upwork, Peopleperhour, Freelancer, Guru ইত্যাদি ওয়েবসাট ভিজিট করে কাজের ধরন দেখতে পারেন।

তাছাড়াও আপনি সেখান থেকে কি ধরনের কাজ করতে পারবেন তার একটি প্রাথমিক ধারনা পেতে পারেন।

এরপর এসব ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেস এর মধ্য থেকে আপনার যেটা পছন্দ হয় সেই মার্কেটপ্লেসে আপনি কাজ করতে পারবেন আপনার কাজের দক্ষতা ও অভিজ্ঞতার আলোকে।

৪. ফ্রিল্যান্সিং সাইটে প্রোফাইল তৈরি করুন-

ফ্রিলান্সিং শুরু করার জন্য উপরের ধাপগুলো সম্পন্ন করার পর আপনাকে ফ্রিল্যান্সিং ওয়েবসাইটগুলোতে গিয়ে প্রথমেই আপনার নামে একটি প্রোফাইল (profile) বা একাউন্ট তৈরি করে নিতে হবে।

আপনার তৈরি করা একাউন্টের প্রোফাইলে আপনার জ্ঞান, কাজের অভিজ্ঞতা (work experience), দক্ষতা (skills) এবং আপনার social profiles, ইত্যাদি সবকিছুই দিয়ে দিন।

আপনি আপনার প্রোফাইলে  আপনার clients বা employer দেড় কি কি সুবিধা বা কাজ এবং কিভাবে করে দিতে পারবেন সেটাও দিয়ে দিন।

এছাড়াও আপনি কেন অন্যদের চেয়ে বেস্ট বা তারা কেন আপনাকে বেছে নিবে তার একটি গুনাগুন দিয়ে দিন।

সবশেষে আপনার সাথে কন্টাক্ট বা যোগাযোগ করার জন্য মোবাইল নম্বর বা ইমেইল দিয়ে দিন।

যেন clients বা employer খুব সহজেই আপনার সাথে যোগাযোগ করতে পারে এবং আপনিও সবসময় যোগাযোগের বিষয়ে তৎপর থাকুন।

যেন আপনাকে সঠিক সময়ে পাওয়া যায়। এতে আপনারই লাভ হবে।

এতে করে আপনার প্রোফাইল ভিজিট করে employers বা clients রা আপনার সম্পর্কে জানতে পারবে, তখন তাদের কাজের জন্য আপনার সাথে যোগাযোগ করবে।

এরপর আপনার সাথে যোগাযোগ করে কাজ দেওয়ার পর আপনি সঠিকভাবে এবং সঠিক সময়ে কাজটি ক্লায়েন্ট বা employer কে জমা বা সম্পন্ন করে দিন।

তারসাথে আপনার সাথে কাজের বিনিময়ে যে চুক্তি হয়েছে সেই টাকাটাও আপনি পেয়ে যাবেন।

মূলত, এভাবেই ফ্রিল্যান্সাররা ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেস গুলোতে অনলাইনের মাধ্যমে নিজের interest, অভিজ্ঞতা বা দক্ষতার সাথে জড়িত কাজ খুঁজে বের করে সেগুলো করে দেওয়ার মাধ্যমে ঘরে বসে টাকা আয় করে থাকেন।

আপনিও চাইলে উপরের ধাপগুলো অনুসরণ করে আপনার অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগিয়ে আপনিও হয়ে উঠতে পারেন একজন সফল ফ্রিল্যান্সার এবং ঘরে বসে অনলাইনে আয় করতে পারেন লাখ লাখ টাকা ।

১০ টি সেরা ফ্রিল্যান্সিং স্কিল-

ফ্রিল্যান্সিং সেক্টরে বিভিন্ন ধরনের কাজ রয়েছে। তবে, বর্তমানে কিছু দক্ষতা বা স্কিল অনেক জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে।

আর সবেচেয়ে জনপ্রিয় ফ্রিল্যান্সিং স্কিলসমূহ হলো-

  • ডিজাইনার
  • ডেভলপার / কোডার / প্রোগ্রামার
  • ভিডিওগ্রাফার
  • রাইটার বা কপিরাইটার
  • মার্কেটিং প্রফেশনাল
  • এসইও প্রফেশনাল
  • একাউন্ট্যান্ট
  • ডাটা এন্ট্রি
  • ট্রান্সলেটর
  • এইচআর ম্যানেজার

ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেসগুলোতে অসংখ্য কাজ থাকলেও উপরোল্লেখিত দক্ষতার কাজগুলো বর্তমান ফ্রিল্যান্সারগণ ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেসগুলোতে বেশি কাজ পেয়ে থাকেন।

এসব স্কিল এর কাজ আপনাকে অন্যকোথাও থেকে শিখে নিতে হবে । আর শিখে নেওয়া হয় জন্যই এসব কাজের ডিমান্ড ও রয়েছে।

এসব ক্যাটাগরির কাজ অনেক জনপ্রিয় হওয়ায় দক্ষতা ও অভিজ্ঞতা ছাড়া সহজেই কাজ পাওয়া মুশকিল।

ফ্রিল্যান্সিং করে কত টাকা ইনকাম করা যাবে?

ফ্রিল্যান্সিং করে কত টাকা ইনকাম করা যাবে এর কোন নির্দিষ্ট হিসাব নেই। তবে, এখানে আপনি যত কাজ পাবেন এবং করে দিবেন ততো বেশি টাকা ইনকাম করতে পারবেন।

PayPal এর একটি report হিসেবে, ইন্ডিয়ান ২৩% ফ্রিল্যান্সার রয়েছেন যারা ৬০ লক্ষ টাকা প্রতি বছরে ইনকাম করেন।

এবং বাকি ২৩% রয়েছেন যারা আড়াই লক্ষ থেকে ৫ লক্ষ টাকার ভেতরে প্রতি বছর ইনকাম করছেন।

বাদ বাকি ৫৪ % ফ্রিল্যান্সাররা আড়াই লাখেরও কম টাকা বছরে ইনকাম করছেন।

তাই বলা যায়, ফ্রিল্যান্সিং এ ক্যারিয়ার গরার মাধ্যেমে লাভ রয়েছে। যেখান থেকে আপনি লাখ লাখ টাকা ঘরে বসেই ইনকাম করতে পারবেন।

তবে ইনকামের বিষয়টা সম্পূর্ণ আপনার উপর নির্ভর করবে।

আপনি কেমন কাজ পাচ্ছেন, কাজের বিনিময়ে কেমন পেমেন্ট নিচ্ছেন, আপনার কাজের ডিমান্ড কেমন ইত্যাদি বিষয়ের উপর।

তবে, অনলাইনে কাজের বিনিময়ে টাকা ইনকামের সুযোগ অনেক রয়েছে।

যেকোনো কাজে যত বেশি আপনার অভিজ্ঞতা থাকবে ততো বেশি চার্জ করে নিতে পারবেন সেই কাজের বিনিময়ে ক্লাইন্টের কাছ থেকে।

কোন ফ্রিল্যান্সিং কোর্স শিখতে হবে?

ফ্রিল্যান্সিং করার জন্য মূলত আমাদের তেমন কোনো কোর্স (course) শেখার প্রয়োজন হয় না। 

তবে, কিছু সাধারণ বিষয়গুলোর জ্ঞান যেমন- কিভাবে ফ্রিল্যান্সিং শুরু করবো? কোন ওয়েবসাইটের মাধ্যমে কাজ খুঁজবো? এবং প্রথমেই আমাদের কি কি কাজ করতে হবে? ইত্যাদি বিষয়ে জানতে হবে।

যেগুলোর বিষয়ে আমি ওপরে আলোচনা করেছি।

তবে, ফ্রিল্যান্সিং কাজ করার জন্য কিছু বিশেষ কোর্স করতে পারেন, যেগুলো শেখার মাধ্যমে আপনি ফ্রিল্যান্সিং ওয়েবসাইট গুলোতে ফ্রিল্যান্সিং এর কাজ শুরু করতে পারবেন।

নতুনদের জন্য ফ্রিল্যান্সিং কোর্স-

১. ওয়েবসাইট তৈরির কাজ-

ওয়েবসাইট বানানোর কাজ বর্তমানে একটি জনপ্রিয় এবং লাভজনক কাজ।

তাই আপনি চাইলে ওয়েবসাইট বানানো শিখতে পারেন এবং লোকদেরকে ওয়েবসাইট বানিয়ে দিয়ে অনেক টাকা ইনকাম করতে পারেন।

২. কোডিং শিখন-Coding (PHP/Java/CSS)-

বর্তমানে web development বা application building  এর বিভিন্ন ধরনের কোডিং ভাষার প্রয়োজন হয়। তাই কোডিং ভাষাগুলো শিখে নিতে পারেন।

আর যদি কোডিং ভাষার দক্ষতা থাকে তাহলে আপনি কোডিং ভাষা দক্ষতার সাথে জড়িত কাজ করে অনলাইনে অনেক টাকা ইনকাম করতে পারবেন।

৩. আর্টিকেল রাইটিং-

আপনি চাইলে আর্টিকেল রাইটার হতে পারেন প্রশিক্ষনের মাধ্যমে।

কেননা একজন ভালো আর্টিকেল রাইটার তার লেখার মাধ্যমে বিভিন্ন ব্লগ ওয়েবসাইটে বা বা কোম্পানির ওয়েবসাইটে জন্য লিখে অনেক টাকা ইনকাম করতে পারেন।

৪. গ্রাফিক্স ডিজাইন-

বর্তমানে গ্রাফিক ডিজাইনের প্রচুর চাহিদা রয়েছে। আপনি চাইলে গ্রাফিক ডিজাইন কোর্স করে শিখে নিতে পারেন।

অতপর আপনার শেখা গ্রাফিক ডিজাইনকে কাজে লাগিয়ে অনলাইনে অনেক টাকা ইনকাম করতে পারেন।

গ্রাফিক ডিজাইনের সাড়া দুনিয়ার প্রচুর চাহিদা রয়েছে।

৫. ভিডিও এডিটিং-

আপনি ভিডিও এডিটিং শিখেও অনলাইনে ইনকাম করতে পারেন । ভালো কোয়ালিটি সম্পন্ন ভিডিও এডিটিংদের প্রচুর চাহিদা রয়েছে।

তাছাড়া আপনি ইউটিউব চ্যানেল তৈরি করেও ভিডিও এডিটিং এর কাজ করে ভিডিও তৈরি করে অনলাইনে টাকা ইনকাম করতে পারেন।

৬. ট্রানস্লেট কোর্স শিখন-

বর্তমানে বিভিন্ন ভাষায় ট্রান্সেলেট করা ব্যক্তিদের বা ট্রান্সেলেটরদের প্রচুর চাহিদা রয়েছে।

আপনি যদি বিভিন্ন ভাষা শিখতে পারেন বা জানেন তাহলে আপনিও অনলাইন থেকে translator এর কাজ করে অনেক টাকা টাকা ইনকাম করতে পারবেন।

এছাড়াও আরো অনেক লাভজনক কোর্স রয়েছে, যেগুলো শিখে আপনি একজন অভিজ্ঞতা সম্পন্ন হয়ে ফ্রিল্যান্সিং কাজ করে একজন সফল ফ্রিল্যান্সার হতে পারেন।

অবশ্যই পড়ুন,

ফ্রিল্যান্সিং করে কত টাকা আয় করা যায়?

সাধারণভাবে, একজন ফ্রিল্যান্সারের যত বেশি বিশেষ জ্ঞান, দক্ষতা এবং অভিজ্ঞতা থাকে, তার ইনকামও তত বেশি হতে পারে।

দুই থেকে চার বছরের অভিজ্ঞতা সম্পন্ন একজন পেশাদার ফ্রিল্যান্সার ৩৪,০০০ ডলার থেকে ৫০,০০০ ডলার উপার্জন করে থাকেন।

আর একজন ৫-১০ বছরের অভিজ্ঞতা সম্পন্ন ৬০,০০০ ডলার থেকে ৯০,০০০ ডলার বেতনে ফ্রিল্যান্সিং জব করতে পারেন।

আমাদের বাংলাদেশের ক্ষেত্রে একজন পেশাদার ফ্রিল্যান্সার মাসে ৪-৫ লাখ টাকা আয় করে থাকেন।

তবে কাজের ভিন্নতার কারণে টাকার পরিমাণও কম-বেশি হতে পারে।

বাংলাদেশে ফ্রিল্যান্সিং ক্যারিয়ার কেমন– Freelancing Career in Bangladesh

বর্তমান ডিজিটাল বাংলাদেশে খুব সহজেই ইন্টারনেটের সাহায্যে বিভিন্ন ডিজিটাল সেবা পাওয়া যাচ্ছে।

সেই সুবাদে যে কেউ ঘরে বসেই ইন্টারনেটের মাধ্যমে ঘরে বসেই শুরু করতে পারেন ফ্রিল্যান্সিং।

সঠিকভাবে জ্ঞান, দক্ষতা ও অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগিয়ে আপনিও বিভিন্ন ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেস গুলোথেকে ফ্রিল্যান্সিং করে ইনকাম করতে পারেন লাখ লাখ টাকা।

যা ইতিমধ্যেই অনেক বাংলাদেশী তরুণ- তরুনী গ্রামে থেকেও ঘরে বসেই ফ্রিল্যান্সিং করে লাখ লাখ টাকা ইনকাম করেছেন এবং করতেছেন।

তাই বলা যায় বাংলাদেশে ফ্রিল্যান্সিং ক্যারিয়ার একটি সম্ভাবনাময় এবং রেমিটেন্স আয়ের সেক্টর।

প্রশ্ন-উত্তর:

কিভাবে ফ্রিল্যান্সিং শিখবো?

ফ্রিল্যান্সিং হচ্ছে বর্তমান ডিজিটাল যুগে অনলাইনে কাজ করে টাকা ইনকাম করা সর্বাধুনিক কৌশল বা উপায়।

এ জন্য আপনাকে এক বা একাধিক কাজ যেমন, website development, SEO,  coding, video editing, app development, accounts ইত্যাদির কাজ গুলো শিখতে হয় । যেগুলোর চাহিদা অনলাইনে প্রচুর রয়েছে। 

এসব কাজ আপনি চাইলে কঠোর পরিশ্রমের মাধ্যমে ইউটিউবে ঘাটাঘাটি করে বা ভিডিও দেখেও শিখতে পারেন।

অথবা আপনি কোনো আইট ট্রেনিং সেন্টারে ভর্তি হয়েও ফ্রিল্যান্সিং শিখতে পারেন

ফ্রিল্যান্সিং কোথায় শিখব?

বর্তমানে অনলাইনে বিনামূল্যে ফ্রিল্যান্সিং কোর্স চালু করা হয়েছে তথ্য-প্রযুক্তিভিত্তিক অনলাইন সংগঠন ইনফোনেট।

এতে ইংরেজিতে দক্ষ থাকা যেকেউ ইন্টারনেটের মাধ্যমে পিসি বা ল্যাপটপ দিয়ে ঘরে বসে দেশের যেকোনো প্রান্ত থেকে কোর্স করতে পারবেন।

ইনফোনেটের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে যে, তরুণদের মাঝে ফ্রিল্যান্সিং ছড়িয়ে দিতেই এই উদ্যোগটি নেওয়া হয়েছে।

তাছাড়াও আপনার নিকটস্থ বিভিন্ন আইটি সেক্টর থেকেও আপনি ফ্রিল্যান্সিং কোর্স শিখতে পারেন।

ফ্রিল্যান্সিং কি মোবাইলে করা যায়?

হ্যা, অবশ্যেই ফ্রিল্যান্সিং মোবাইলে করা যায়। তবে, মোবাইলে ফ্রিল্যান্সিং করা অনেকটাই কঠিন। কারণ সব কাজ মোবাইলে করা যায় না।

তাই  Professional ভাবে freelancing করার জন্য আপনার একটি laptop বা computer অবশ্যই থাকা প্রয়োজন।

ফিল্যান্সিং করতে কী কী দরকার?

ফ্রিল্যান্সিং করার জন্য আপনার থাকতে হবে, এক বা একাধিক কাজের জ্ঞান, দক্ষতা এবং অভিজ্ঞতা।

একটি কম্পিউটার বা ল্যাপটপ এবং ইন্টারনেট সংযোগ আর ধৈর্যসহকারে কাজ করার মানষিকতা।

ফ্রিল্যান্সিং কোন কাজের চাহিদা বেশি?

সবচেয়ে চাহিদা-সম্পন্ন ও জনপ্রিয় কাজ হলো ওয়েব ডিজাইন।

বর্তমানে অধিকাংশ কোম্পানি এবং সাধারণ মানুষ তাদের কোম্পানির পরিচয়, নিউজ এবং তথ্য ওয়েবসাইটের মাধ্যমে মানুষের কাছে তুলে ধরে থাকেন।

যার ফলে, তাদের ওয়েবসাইট ডিজাইনের প্রয়োজন পরে থাকে।

মূলত এই কাজের জন্য  তারা ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেস গুলোতে website designer দের খুঁজে থাকেন।

এছাড়াও বর্তমানে- graphics designing,  website development, digital marketing, SEO, app এবং  content writing, translating, ইত্যাদি কাজের চাহিদা প্রচুর রয়েছে। 

কিভাবে ফ্রিল্যান্সিং একাউন্ট খুলব?

আপনি চাইলেই খুব সহজেই আপনার ই-মেইল এবং মোবাইল নম্বর ব্যবহার করে Freelancer.com, Fiver.com, Guru.com, এই ধরণের freelancing marketplace ওয়েবসাইট গুলোতে গিয়ে নিজের  নামে একটি ফ্রীল্যাংসিং একাউন্ট খুলতে পারবেন।

আজকের শেষ কথা,

তাহলে বন্ধুরা, ফ্রিল্যান্সিং কি? ফ্রিলান্সিং শুরু করবো কিভাবে? ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেস তালিকা, ফ্রিল্যান্সিং করে আয় করবেন যেভাবে ইত্যাদি সম্পর্কে বুঝতে পেরেছেন।

আপনাদের ফ্রিল্যান্সিং সম্পর্কে কোনো প্রশ্ন বা মতামত থাকে, তাহলে অবশ্যই কমেন্ট বক্সে কমেন্ট করে জানাতে পারেন।

আর যদি আপনাদের আর্টিকেলটি ভালো লেগে থাকে তাহলে অবশ্যই আপনার বন্ধুদের সাথে শেয়ার করবেন। ধন্যবাদ

Leave a Comment