SEO কি? এবং এটি কিভাবে কাজ করে- ব্লগের আর্টিকেলে SEO র ব্যবহার করার নিয়ম

আমরা সকলেই SEO বা Search engine optimization শব্দটি শুনেছি। কিন্তু SEO কি এবং এটি কিভাবে কাজ করে? এর কাজ বা ব্লগের আর্টিকেলে SEO র ব্যবহার করার নিয়ম তা সম্পর্কে অনেকেই জানি না।

আমাদের সকলেরই জানা উচিত আমরা যখন ব্লগে কোন আর্টিকেল লিখি তখন আমাদের আর্টিকেল টিকে গুগলে র্যাংক করানোর জন্য অন পেজ এস ই ও (On page SEO)” করতে হয়।

কেননা আর্টিকেলে SEO না করলে কখনো আপনার লেখা আর্টিকেলটিকে Google বা অন্য search engine গুলির প্রথম পেজে দেখানো হবে না।

যার ফলে আপনি আপার ব্লগে search engine গুলো থেকে আসা একদম ফ্রি অসংখক ট্রাফিক বা ভিসিটর পাওয়ার সুযোগ হারাবেন।

আমি আপনাদেরকে আমার অন্য আরেকটি আর্টিকেলে ‍“SEO মানে কি এবং কিভাবে করবেন” বিষয়টি ভালোকরে বুঝিয়ে দিয়েছি।

এখানে আমি আপনার ব্লগে আর্টিকেল লেখার সময় তাতে ON PAGE SEO র ব্যবহার কিভাবে করবেন তা ভালো করে বুঝিয়ে দেব।

SEO কিভাবে কাজ করে?

SEO কাকে বলে এবং ব্লগের আর্টিকেলে এটি কিভাবে ব্যবহাার করা হয় তা আজকের আর্টিকেলের মাধ্যমে আপনারা স্পষ্ট বুঝতে পারবেন।

বন্ধুরা চলুন, আর দেরি না করে এসইও কিভাবে কাজ করে তা বিস্তারিত জানি।

ব্লগে আর্টিকেলে search engine optimization অনেকটাই কিওয়ার্ড এর ব্যবহারের উপর নির্ভর করে।

তাই আর্টিকেলে “অন পেজ এস ই ও (On page SEO)” করার আগে আপনার নিচেরে আলোচিত বিষয় সম্পর্কে  ধারণা থাকতে হবে।

আরো জানুন, 

এসইও কি? 

এসইও বা search engine optimization হচ্ছে এমন এক প্রক্রিয়া বা নিয়ম যার ব্যবহারের মাধ্যমে আমরা আমাদের লেখা ব্লগ বা ওয়েবসাইটের আর্টিকেল গুলোকে গুগল সার্চ ইঞ্জিনের প্রথম পেজে নিয়ে যেতে পারি।

অর্থৎ যখন কোনো মানুষ আমাদের ব্লগের সাথে জড়িত কোন কিওয়ার্ড বা কোন বিষয় সম্পর্কে লিখে গুগলে সার্চ করবে তখন তখন আমাদের ওয়েবসাইটকে গুগল তার প্রথম পেজে দেখাবে।

যার ফলে গুগল বা অন্যসব সার্চ  ইঞ্জিন  Yahoo বা Bing  ইত্যাদি থেকে অনেক পরিমানে ফ্রি ভিজিটর্স বা ট্রাফিক পাওয়ার সম্ভাবনা থাকবে। 

তাই শুধু মাত্র গুগল সার্চ ইঞ্জিন নয়, অন্যসব সার্চ  ইঞ্জিন  Yahoo বা Bing ইত্যাদির জন্য আপনি Seo করতে পারবেন।

কিভাবে ফেসবুক থেকে টাকা আয় করা যায়? (ফেসবুক থেকে আয় করার সেরা উপায়)

কিওয়ার্ড কি? 

কিওয়ার্ড হচ্ছে যে কোন একটি ব্লগ বা ওয়েবসাইটের আর্টিকেলের টপিক বা বিষয়ের সাথে জড়িত শব্দ।

সহজ কথায়, আমরা যখন কোন আর্টিকেল লিখি তখন এর মূল বিষয় যা থাকে তার সাথে জড়িত শব্দ বা বাক্য গুলোকে কিওয়ার্ড বলা হয়।

একমাত্র কিওয়ার্ড রিসার্চ এর মাধ্যমেই কোন ওয়েবসাইটের আর্টিকেলকে গুগল সার্চ ইঞ্জিনে র‌্যাংক করানো অনেকটাই সহজ।

যখন আপনার লেখা আর্টিকেলের সাথে জড়িত কোন কিওয়ার্ড গুগল সার্চ ইঞ্জিনে কেউ সার্চ করবে।

তখন গুগল সার্চ ইঞ্জিন তার সার্চ রেজাল্টের প্রথম পেজে আপনার লেখা ওয়েবসাইটর আর্টিকেলটিকে দেখাবে।

যার ফলে আপনি খুব সহজেই গুগল সার্চ ইঞ্জিন থেকে ফ্রিতে ভিজিটর্স বা ট্রাফিক পেয়ে যাবেন।

মনে, রাখবেন, গুগল সার্চ ইঞ্জিন থেকে ফ্রিতে ট্রাফিক বা ভিজিটর্স পাওয়ার জন্য কিওয়ার্ড এবং কিওয়ার্ড এর ব্যবহার খুবই গুরুত্বপূর্ণ।

কীওয়ার্ড ডেনসিটি মানে কি?  Keyword density 

আপনারা keyword কি তা ভালো করে বুঝতে পেরেছেন । চলুন, এখন আমরা keyword density মানে কি? তা জেনে নেওয়া যাক।

keyword density মানে হলো “কীওয়ার্ড এর ঘনত্ব বা পরিমাণ।”

কোনো একটি আর্টিকেলের টার্গেট করা keyword বা বাক্য গুলো সম্পূর্ণ আর্টিকেলে কতবার ব্যবহার করা যায়, সেই কিওয়ার্ড ব্যবহারের পরিমান বা সংখ্যাকেই “কীওয়ার্ড ডেনসিটি” বলা হয়।

আপনাকে আপনার ওয়েবসাইটে আর্টিকেল লিখার সময় অবশ্যই Keywords density মেনে কিওয়ার্ড ব্যবহার করে আর্টিকেলে লিখতে হবে।

আরো দেখুন,

কেননা, আপনি যদি Keywords density মেনে আর্টিকেলে কিওয়ার্ড ব্যবহার না করেন বা নিজের মনমতো কিওয়ার্ড ব্যবহার করেন।

তাহলে, Google search algorithm দ্বারা আপনার লেখা আর্টিকেলটিকে panalize করার সম্ভাবনা রয়েছে।

যার ফলে আপনার আর্টিকেলটিকে আর Google search দেখানো হবে না।

তাই, আর্টিকেলে কিওয়ার্ড যতবার ব্যবহার করা জরুরি, ঠিক ততবারই ব্যবহার করবেন এবং keywords density মিনিমাম এক থেকে দের পার্সেন অব্দি রেখে কিওয়ার্ড ব্যবহার করতে চেষ্টা করবেন করবেন।

Seo এর কাজ কি? 

*ইংরেজি শব্দ এসইও (SEOএর সম্পূর্ণ রূপ হলো search engine optimization (সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন) যা সার্চ ইঞ্জিনের কিছু নিয়ন্ত্রিত ও পরিকল্পিত নিয়ম/ পদ্ধতি বা মেথড।

যেসব নিয়মগুলো আপনার লেখা আর্টিকেলে যথাযথভাবে প্রয়োগ করে আপনি আপনার কাঙ্ক্ষিত ওয়েবসাইটকে সার্চ ইঞ্জিনের রেজাল্টের প্রথম পেজে দেখাতে পারবেন।

আরো পড়ুন, 

ব্লগের আর্টিকেলে এসইও’র ব্যবহার করার নিয়ম

আমি আপনাদেরকে উপরেই বলেছি যে, ব্লগে আর্টিকেল লিখার সময় এসইও বা On page Seo এর সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো কিওয়ার্ড এবং কিওয়ার্ডের ব্যবহার।

আপনি যদি সঠিকভাবে SEO র ব্যবহার আর্টিকেল লেখার সময়েই করেন তাহলে আপনার ৭০ এসইওর কাজ বা on page seo করা হয়ে যাবে।

বন্ধুরা চলুন তাহলে এখন আমরা কিওয়ার্ড (keywords) দ্বারা আর্টিকেলের ভিতরে SEO র ব্যবহার এবং keywords এর বাইরে আর কি ধরনের বা কি কি এসইও করতে হয় তা জেনে নেই।

১. আর্টিকেলের টাইটেল- এ keyword ব্যবহার 

আপনি যখন কোন বিষয়ে আর্টিকেল লিখবেন তখন খুব সহজ ভাবে বুঝানোর জন্য আর্টিকেলের টাইটেল বা শিরোনামে বিষয়টির কিওয়ার্ড ব্যবহার করুন।

যাতে করে আপনার আর্টিকেলের টাইটেল বুঝেই ভিজিটর্স রা বুঝতে পারেন যে, আপনি আপনার আর্টিকেলের মাধ্যমে মানুষদেরকে কি বুঝাতে চাচ্ছেন।

তাছাড়াও টাইটেল এর বাইরেও আপনার টার্গেটের কিওয়ার্ডগুলো কমপক্ষে একবার দিবেন।

আপনি এই আর্টিকেলের শেষে “SEO কি? এবং এটি কিভাবে কাজ করে” লেখাটি দেখতে পাবেন। কারণ এটি আমার টার্গেট করা তাই আমি এটি আমার টাইটেলে লিখেছি।

গুগল সার্চবারে যারাই উক্ত কিওয়ার্ডটি লিখে সার্চ করবে তখন গুগল আমার ওয়েবসাইটটিকে তাদের সার্চ রেজাল্টে দেখাবে।

২. আর্টিকেলের URL Address এ keyword ব্যবহার- 

আপনি যখন আর্টিকেল লিখবেন তখন আপনি আপনার URL Address এডিট (edit) করার অপশন পাবেন।

আপনার আর্টিকেলের URL address সবসময় ছোট্ট দিবেন এবং এতে আপনার টার্গেটেড কিওয়ার্ড ব্যবহার করবেন।

৩. টার্গেট করা কিওয়ার্ড এর সঠিক ব্যবহার- 

আপনাদেরকে আমি আগেই বলেছি যে, অনপেজ এসইও ( on page seo ) বা আর্টিকেল লেখার সময় এসইও করার ক্ষেত্রে keywords এর  সঠিক ব্যবহার করাটা অনেক জরুরি।

মনে রাখবেন, আপনার টার্গেটের কিওয়ার্ড টি আর্টিকেলের প্রথম প্যারাতে, শেষ প্যারাতে এবং মাঝে মধ্যে দুই-একবার অবশ্যই ব্যবহার করুন।

যার ফলে, গুগল বা অন্যান্য সার্চ ইঞ্জিনগুলো খুব সহজেই আপনার আর্টিকেলের বিষয়বস্তু বুঝতে পারবে এবং আর্টিকেলটিকে সার্চ রেজাল্টে র‌্যাংক করাতে পারবেন।

৪. কমপক্ষে ১৫০০ শব্দের (words) মধ্যে আর্টিকেল লিখবেন- 

আপনার ব্লগে বা ওয়েবসাইটের জন্য সবসময় ২ হাজার থেকে ৩ হাজার বা তারও বেশি শব্দের মধ্যে আর্টিকেল লিখবেন। তা না হলেও কমপক্ষে ১৫০০ শব্দের মধ্যে আর্টিকেল লিখবেন।

একটি আর্টিকেলে যতটা বিস্তারিত ভাবে বর্ণনা করা থাকবে ততটাই গুগল আপনার আর্টিকেলটিকে ভালো বুঝবে। অনেক বেশি শব্দের এবং লম্বা আর্টিকেলে অনেক কিছুই ভালোভাবে বিশ্লেষন করা থাকে।

যাহা গুগল খুব ভালো করেই বুঝতে সক্ষম হয় এবং গুগলের কাছে ভ্যালু পেয়ে থাকে।  এতে করে সার্চ রেজাল্টের প্রথমে র‌্যাংক হওয়ার সম্ভাবনা এবং ফ্রি ভিজিটর্স পাওয়া যায়।

তাই যখন আর্টিকেল লিখবেন তখন খুব ভালো করে এবং মূলবিষয়গুলো ঠিক রেখে বাড়তি কথা না লিখে বিষয়বস্তুগুলো ভালোভাবে বিশ্লেষন করে কমপক্ষে ১৫০০ শব্দের মধ্যে আর্টিকেল লিখার চেষ্টা করবেন।

অবশ্যই পড়ুন, 

৫. আর্টিকেলে ছবির ব্যবহার-

মনে রাখবেন, একটি ছবি বা ইমেজ ১০০০ শব্দের চেয়েও লাভজনক।

তাই আপনার আর্টিকেলে কমপক্ষে একটি ছবি ব্যবহার করুন।

ছবিতে আপনি আপনার আর্টিকেলের বিষয়বস্তুর সাথে মিল রেখে ব্যবহার করুন।

SEO কি এবং এটি কিভাবে কাজ করে
search engine optimization

কেননা এসইওর দিকে দিয়ে আর্টিকেলে ছবির ব্যবহার অনেকটাই জরুরী এবং লাভ জনক।

মনে রাখবেন নিজের লেখা আর্টিকেলে minimum একটি হলেও ছবির ব্যবহার অবশই করবেন। এটি seo দিকদিয়ে অনেক জরুরি এবং লাভজনক।

ছবি বা ইমেজ আপলোড করার সময় “ALT TAG” এ আপনার টার্গেটের কিওয়ার্ড অবশই যুক্ত করুন।

৬. আর্টিকেলে H tag এর ব্যবহার-

আপনার আর্টিকেলে একটি H1 TAG একটি H2 TAG এবং কয়েকটি H3 আর H4 TAG ব্যবহার অবশ্যই করবেন।

কেননা, H TAG আমাদের আর্টিকেল পড়তে আসা ভিসিটর্স দেরকে অনেক সহজ করে এবং দেখতেও সুন্দর করে তোলে।

মনে রাখবে, আপনার আর্টিকেলের কমপক্ষে কটি h tag এ নিজের টার্গেট করা keyword ব্যবহার করতে হবে।

এতে সার্চ ইঞ্জিন সহজেই আপনার আর্টিকেলের বিষয় বুঝতে সক্ষম হবে।

৭. Inter linking করন-

আপনার আর্টিকেলের জন্য inter linking অনেকটাই দরকারি এবং এসইও ( seo ) র দিক দিয়ে অনেকটাই জরুরী।

Interlinking Seo র জন্য অনেকটাই জরুরি এবং ৭০% লোকেরা এর ব্যবহার করতে যানে না। যে কারণে তাদের আর্টিকেল Google এবং অন্য search engine রেজাল্ট গুলোতে rank করাতে পারেনা।

তাই আজকের পর থেকে আপনি যদি আপনার আর্টিকেলটিকে সঠিকভাবে search engine optimize (seo) করতে চান? তাহলে আপনার আর্টিকেলে interlinking এর ব্যবহার অবশই করবেন।

Inter linking কি? কিভাবে করবেন?

Interlinking হচ্ছে এমন একটি লিংকিং বা কাজ যার দ্বারা আমরা আমাদের ব্লগের একটি আর্টিকেলকে আরেকটি আর্টিকেলের URL link এর মাধ্যমে সংযুক্ত করতে পারি।

যেমন উপরে দেখতে পারবেন আমি কিছু Interlinking এর ব্যবহার করেছি। সেগুলোতে ক্লিক করলে আপনি আমার লেখা আরেকটি আর্টিকেলে চলে যেতে পারবেন।

আপনি যে বিষয় নিয়ে আর্টিকেল লিখছেন সেই বিষয়ের বা সমজাতীয় কোন আর্টিকেল যদি আপনার লেখা থাকে তাহলে আপনি সেই আর্টিকেলের লিংক এখানে করে দিতে পারেন।

মূলত এটাই হলো, inter linking এবং যা SEO র জন্য অনেকটাই জরুরি।

প্রশ্ন-উত্তর:

এসইও কি?

search engine optimization -SEO হলো সার্চ ইঞ্জিনের এমন কিছু সুনিয়ন্ত্রিত ও পরিকল্পিত নিয়ম/পদ্ধতি, যেগুলো যথাযথভাবে প্রয়োগ করে আপনি আপনার ব্লগ বা য়েবসাইটকে সার্চ ইঞ্জিনের রেজালেটর প্রথম পেজে লোকদেরকে দেখাতে পারবেন।

এসইওর কাজ কি?

এস‌ইও এর কাজ কোনো ওয়েবসাইটের আর্টিকেল বা কন্টেন্টকে গুগল, ইয়াহু, বিং ইত্যাদি সার্চ ইঞ্জিনের প্রথম পাতায় দেখানোর চেষ্টা করা।

মানে, আপনার একটি বিষয়ে সার্চ ইঞ্জিনে লিখে সার্চ করার পর যে ওয়েবসাইটগুলো প্রথমেই দেখতে পান সেগুলো মূলত অন্যান্য পেজের তুলনায় ভালো মানের এসইও করা।

ওয়েবসাইট মালিকরা তাদের আর্টিকেলকে সার্চ ইঞিনের প্রথম পেজে দেখানোর জন্য মূলত এসইও কাজ করে থাকে।

আজকের শেষ কথা,

বন্ধুরা, আপনারা “ SEO কি? এবং এটি কিভাবে কাজ করে ” এবং ব্লগে আর্টিকেল লেখার সময় seo (এসইও) কিভাবে করবেন বা on page seo র নিয়ম কি? ইত্যাদি বিষয় সম্পর্কে বুঝতে পেরেছেন।

আপনারা যদি উপরে বলা seo ব্যবহার করে আর্টিকেল লিখেন তাহলে অবশ্যই আপনাদের আর্টিকেলগুলো গুগলে র্যাংক করবে।

যদি কোনো প্রশ্ন থাকে seo র সাথে জড়িত তাহলে আমাকে নিচে অবশই comment করবেন।

আর যদি আর্টিকেলটি ভালো লেগে থাকে তাহলে আপনার বন্ধুদের সাথে শেয়ার করতে ভুলবেন না। ধন্যবাদ

Leave a Comment