টুইটার কি? টুইটার কিভাবে কাজ করে- টুইটারের জনক কে

আজ আমি আপনাদের সাথে টুইটার কি?  টুইটার এর কাজ কি? কিভাবে টুইটার ব্যবহার করতে হয়, টুইটারের জনক কে? বা টুইটার এর মালিক কে ইত্যাদি টুইটার সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করবো।

অনলাইনে সোশ্যাল মিডিয়া গুলোর মধ্যে আমরা ফেসবুক সকলেই কমবেশি চিনি। কিন্তু ফেসবুক ছাড়াও আরো বিভিন্ন ধরনের সোশ্যাল মিডিয়া রয়েছে, যেগুলো সম্পর্কে অনেকেই জানেন না।

ফেসবুকের মতো আরো কিছু সোশ্যাল মিডিয়া যেমন-

  1. Facebook
  2. Twitter
  3. What’sApp
  4. Tumblr
  5. Instagram
  6. Telegram
  7. Skype
  8. Fiber
  9. SnapChat
  10. Pinterest
  11. LinkedIn
  12. Reddit
  13. VKontakte (VK)

আজ আমরা আলোচনা করবো টুইটার সম্পর্কে।

তাই, টুইটার মানে কি ? টুইটার এর কাজ কিকিভাবে টুইটার ব্যবহার করতে হয় ইত্যাদি সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে শেষ পর্যন্ত পড়ুন।

ফেসবুকের পর সোশ্যাল মিডিয়া জনপ্রিয় মাধ্যম হল টুইটার।

টুইটার হচ্ছে আমেরিকান “social networking service“ এবং “micro-blogging” যেখানে ইউজার তার পোস্ট এর মাধ্যমে বিভিন্ন তথ্য প্রদান বা মনের কথা লিখে প্রকাশ করতে পারে।

ফেসবুকে যেমন আমরা বিভিন্ন ধরনের পোস্ট করে থাকি । ঠিক সেরকমই টুইটারেও পোষ্ট করা যায়। তবে টুইটারের পোস্টগুলোকে বলা হয় (Tweets) টুইট।

আরো পড়ুন, 

আপনার টুইটার অ্যাকাউন্ট না থাকলেও আপনি অন্যদের টুইট বা পোস্ট গুলো দেখতে পারবেন।

তবে আপনি যদি টুইটারে টুইট, লাইক, মেসেজ, শেয়ার করতে চান তাহলে আপনাকে অবশ্যই একটি টুইটার একাউন্ট খুলে নিতে হবে।

তবে, টুইটার অন্যান্য সোশ্যাল মিডিয়ার চেয়ে কিছুটা ভিন্ন ধরনের।

টুইটার কি? টুইটার কিভাবে কাজ করে-

টুইটার হল একটি মার্কিন মাইক্রোব্লগিং এবং সোশ্যাল নেটওয়ার্কিং প্লাটফর্ম পরিসেবা । যেখানে ব্যবহারকারীরা “টুইট” নামে পরিচিত বার্তা পোস্ট করে এবং যোগাযোগ করে থাকে। নিবন্ধিত ব্যবহারকারীরা টুইট পোস্ট, লাইক এবং পুনঃটুইট করতে পারে।

কিন্তু অনিবন্ধিত ব্যবহারকারীরা শুধুমাত্র সেই টুইটগুলিই পড়তে পারে যা সকলের জন্য উম্মোক্ত। কিন্তু তারা কোনো লাইক বা ফলো, কমেন্ট বা মেসেজ করতে পারবে না।

আপনারা হয়তোবা অনেকেই টুইটারের নাম শুনেছেন। কিন্তু এটি সঠিকভাবে ব্যবহার না জানার কারণে অনেকেই টুইটার ব্যবহার করতে পারেন না।

কিন্তু আপনি যদি টুইটার একাউন্ট ব্যবহার না করে থাকেন। তাহলে, জেনে রাখুন টুইটার অ্যাকাউন্ট থাকা আপনার জন্য অনেকটাই জরুরি।

কেননা টুইটার ফেসবুকের চেয়ে অনেকটাই সোজা এবং এখানের ইউজার ফেসবুকের চেয়ে অনেক ভালো।

পুরাতন ল্যাপটপ কেনার আগে করণীয় | পুরাতন ল্যাপটপ ক্রয় বিক্রয় করার উপায়

তো বন্ধুরা চলুন, টুইটার অর্থ কি ?  (what is twitter ) এবং Twitter সম্পর্কে  বিস্তারিত তথ্য জেনে নেয়।

টুইটার মানে কি? (What is twitter)

Twitter হলো একটি অনলাইন সোশ্যাল মিডিয়া প্লাটফর্ম যার মাধ্যেমে আমরা কোনো লেখা পোস্ট, মেসেজ, স্টোরিজ , ইনফোরমেশন ইত্যাদি অন্যলোকদের সাথে শেয়ার করতে পারি।

এখানে প্রকাশিত পোস্ট গুলোকে বলা হয় Tweets , আর একটি টুইট ৪০ শব্দের বেশি লেখা যাবে না ।

টুইটার হলো এমন একটি সোশ্যাল মিডিয়া প্লাটফর্ম যেখানে খুব শর্টকাট ভাবে লেখাগুলো পাবলিশ করতে হয় । ফেসবুক বা অন্যান্য প্লাটফর্মের মতো বড় ধরনের লেখা এখানে প্রকাশ করা হয় না ।

Twitter এমন একটি জনপ্রিয় প্লাটফর্ম যেখানে বেশিরভাগ অভিনেতা, অভিনেত্রী, রাজনৈতিক ব্যক্তি সমাজকর্মী, এবং বিখ্যাত ব্যক্তিত্বরা অ্যাকাউন্ট তৈরি করে নিজেদের মনের কথাগুলো টুইট বা শর্ট পোস্টের মাধ্যমে প্রকাশ করে থাকেন।

আপনি চাইলে একটি ইমেইল আইডি এবং মোবাইল নাম্বারের মাধ্যমে টুইটার একাউন্ট খুলে বিশ্বের বিভিন্ন ব্যক্তি, আপনার পছন্দের অভিনেত্রী অভিনেতা সমাজকর্মী বা অন্যান্য জনপ্রিয় ব্যাক্তিদের সাথে টুইটের মাধ্যমে নিজেকে সংযুক্ত করতে পারবেন।

বিশ্বের জনপ্রিয় ব্যক্তিরা বা বিখ্যাত ব্যক্তিগণ কোন বিষয় নিয়ে আলোচনা করছেন? বা কোন বিষয়টিকে কোন সময় প্রাধান্য দিচ্ছেন এসব তথ্য আপনি একমাত্র টুইটারের মাধ্যমে জানতে পাবেন।

টুইটার ছাড়া অন্য কোন মাধ্যমে বিখ্যাত ব্যক্তিদের বিষয়ে তেমন কিছু জানতে পারবেন না।

আপনি আপনার পছন্দের টুইটার ইউজারকে ফলো করার মাধ্যমে তার প্রত্যেকটি টুইট আপনি দেখে নিতে পারবেন এবং আপনি টুইটারের মাধ্যমে ইমেজ, ভিডিও, এবং গিফ্ট শেয়ার করতে পারবেন।

টুইটার এর পূর্ণরূপ কি?

বিশ্বের অনেকেই টুইটারের সম্পূর্ণ নাম সম্পর্কে অজানা রয়েছে।

টুইটারের একটি পূর্ণ নাম রয়েছে, যে নাম আজ আমি আপনাদের সাথে শেয়ার করছি।

টুইটারের সম্পূর্ণ নাম বা ফুল নাম হচ্ছে- Typing What I’m Thinking That Everyone’s Reading

টুইটারের জনক কে/ টুইটার এর প্রতিষ্ঠাতা (founder) কে?

বর্তমানে অনেকেই টুইটারের প্রতিষ্ঠাতা কে? তা জানতে চান। আপনারও যদি টুইটারের প্রতিষ্ঠাতা কে তা জানার ইচ্ছা বা আগ্রহ থাকে তাহলে আজ এই আর্টিকেলের মাধ্যমে twitter এর প্রতিষ্ঠাতার নাম জানতে পারবেন।

টুইটারের প্রতিষ্ঠাতা কে
টুইটারের প্রতিষ্ঠাতা

২০০৬ সালে “jack Dorsey, Noah Glass, Biz Stone, এবং Evan Williams” এই চার ব্যক্তিদের সমন্বয়ে টুইটার প্রথম যাত্রা শুরু করে।

আস্তে আস্তে এর জনপ্রিয়তা বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে পড়ে এবং সারা বিশ্বে প্রায় প্রতিষ্ঠির অধিক টুইটারের অফিস রয়েছে।

২০০৯ সালে  “compete.com” ওয়েবসাইটের অনুসারে টুইটারের জনপ্রিয়তা এতটাই বৃদ্ধি পায় যা সোশ্যাল নেটওয়ার্কিং হিসেবে ৩য় স্থান অর্জন করে।

২০১০ সালে টুইটার হিসেব অনযায়ী প্রতিদিন প্রায় ৬৫ মিলিয়ন টুইট প্রকাশ হয়।

এবং ২০১২ সালের দিকে টুইটারে ১৪০ মিলিয়ন ইউজার হয় এবং প্রতিদিন প্রতিদিন প্রায় ৩৪০ মিলিয়ন টুইট প্রকাশিত হয়।

টুইটারের বর্তমান মালিক কে/ টুইটার এর সিইও (CEO) কে?

টুইটারের বর্তমান মালিক বা টুইটারের সিইও হলেন “Jack Patrick Dorsey” । যাকে Twitter এর “CEO” এবং “Co-founder” বলা হয়।

টুইটার এর কাজ কি?

সাধারণত Twitter হলো একটি micro-blogging সোশ্যাল নেটওয়ার্কিং প্লাটফ্রম।

যেখানে আমরা বিশ্বের বিভিন্ন celebrities, famous persons, individuals, actors এবং actresses দের সাথে সরাসরি টুইট এর মাধ্যমে  সংযুক্ত হতে পারি।

টুইটার এর কাজ কি? এই প্রশ্নের সাধারণত উত্তর হলো- টুইটার এমন একটি জনপ্রিয় মাধ্যম যা ব্যবহার করে আমরা আমাদের মনের কথা, অভিজ্ঞতা জ্ঞান একটি কত পরামর্শ বা বিভিন্ন খবর অন্যান্য ইউজারদের সাথে শেয়ার করার মাধ্যমে জানিয়ে দিতে পারি।

এভাবেই বিশ্বের অন্যান্য লোকের সাথে অনলাইনের মাধ্যমে আমাদের সংযুক্ত করানোই হলো মূলত টুইটারের কাজ

প্রতিদিন লক্ষ লক্ষ user বিভিন্ন বিষয়ে টুইটারে নতুন নতুন টুইট বার্তা দিচ্ছেন ফলে ফলোয়াররা নতুন নতুন তথ্য পাচ্ছেন।

প্রতিদিন লাখ লাখ মানুষ বিভিন্ন ইউজারদের টুইট বার্তা গুলো পড়ে থাকেন।

তাই, টুইটার এর কাজ হলো-একজনের তথ্য সবার কাছে বা বিশ্বের কাছে প্রচার করা।

Twitter  এর কিছু জরুরী শব্দ-

আপনি যখন টুইটার এর একজন নতুন ব্যবহারকারী বা ইউসার হবেন, তখন আপনাকে টুইটার এর কিছু শব্দের সম্মুখিন হতে হবে।

যেগুলো সম্পর্কে ধারণা থাকলে আপনার টুইটার ব্যবহার করা অনেকটাই সহজ হবে।

আরো জানুন, 

তাই টুইটার ব্যবহার সহজ করার জন্য নিচে আমি টুইটারের সাথে জড়িত কিছু শব্দ উল্লেখ করছি। যেমন-

  • টুইটার ইউসার নেম (@)
  • টুইট (Tweets)
  • হেসট্যাগ- HashTags (#)
  • ডাইরেক্ট মেসেজ- Direct messaging (DM)
  • ফলোয়ার্স- Followers এবং ফলোইং- Following
  • রিটুইট- Retweets

তো চলুন, টুইটার এর সাথে জড়িত শব্দগুলোর বিস্তারিত জেনে নেয়।

টুইটার ইউসার নেম -Twitter user name (@)

আপনি যখন একটি twitter একাউন্ট খুলতে যাবেন, তখন আপনাকে একটি ইউনিক নাম (unique name) দিতে হবে।

টুইটারের ভাষায় এটিকে বলা হয় ইউজার নেম (unique name) এবং ইউজার নেম এর শেষে (@) চিহ্ন দেওয়া থাকবে।

আপনি যখন আপনার টুইটার একাউন্টে লগইন করবেন, ঠিক তখন আপনাকে এই ইউজার নেমটি ব্যবহার করতে হবে।

এছাড়াও আপনি যখন কোন টুইট পাবলিশ বা কোন টুইটে এসএমএস করবেন, তখন সবকিছুই আপনার ইউজার নেম এর দ্বারা প্রকাশিত হবে।

যখন কেউ আপনার টুইট বা এসএমএস দেখে ইন্টারেস্টিং হবে, তখন তারা আপনার ইউজার নেম এর সাহায্যে আপনাকে ফলো করবে।

টুইট -Tweets কি?

টুইটার এ যে সকল পোস্ট করা হয় তাকে টুইটারের ভাষায় টুইট বলে।

ফেসবুকে যেমন আমরা পোস্ট করি, কোন লেখা, কোন ছবি ইত্যাদি। ঠিক সেরকমই টুইটারে কোন কিছু পোস্ট করে পাবলিশ করাকে বলা হয়।

টুইটের উপরের দিকে আপনার ইউজারনেম থাকবে। আর নিচের দিকে আপনাকে লাইক, মেসেজ, ফলো করার অপশনও রয়েছে। টু্ইটারের ক্ষেত্রে আপনি শুধু নির্দিষ্ট শব্দ ব্যবহার করতে পারবেন।

হ্যাশট্যাগ- HashTags কি (#)

টুইটারে post বা tweet করার সময় হ্যাশট্যাগ- HashTag (#) এর ব্যবহার করা হয়।

# চিহ্ন দ্বারা এই ট্যাগটি তৈরি করতে হয়।

যেমন- #twitter, #টুইট #ওয়েবসাইট ইত্যাদি।

যখন নতুন একটি হ্যাশট্যাগ (#) তৈরি করা হয়, তখন এটি একটি গ্রুপের মতো কাজ করে থাকে।

যেকোনো গুরুত্বপূর্ণ বিষয়কে খুজতে সোশ্যাল মিডিয়ার সাথে সংযুক্ত করতে হ্যাশট্যাগ (#) ব্যবহার করা হয়।

ফলোয়ার্স- Followers এন্ড ফলোইং- Following

টুইটারে প্রতিটি ইউজার প্রোফাইলে পাশে একটি ফলো বাটন রয়েছে। এই ফলো বাটন টি ক্লিক করার ফলে যাকে ফলো করা হলো তার সকল টুইট বা পোস্ট দেখা যাবে এবং পরবর্র্তী টুইটগুলোর নোটিফিকেশন পাওয়া যাবে।

এভাবেই মূলত যার যাকে পছন্দ হয় সে তাকে খোলো বাটনে ক্লিক করে followers- ফলোয়ার হতে পারে।

যে ব্যক্তিটিকে সকলেই ফলো করলেন তারা সকলে হলেন followers ফলোয়ার । কেননা তারা সকলেই তাকে ফলো “follow” করছে।

আর যাদের প্রোফাইলে গিয়ে আপনি follow বাটন ক্লিক করবেন, তাহলে এক্ষেত্রে এটা  following, কেননা আপনি তাদেরকে follow ফলো করলেন।

ডাইরেক্ট মেসেজ- Direct messag (DM)

আপনার যখন একটি টুইটার একাউন্ট থাকবে তখন আপনি পার্সোনাল বা প্রাইভেট মেসেজ করতে পারবেন আপনার পছন্দের টুইটার ইউজার কে।

টুইটারের ভাষায় এই পার্সোনাল বা প্রাইভেট মেসেজ করাকেই “Direct message” বা “DM“ বলা হয়।

রিটুইট- Retweets কি?

ফেসবুকে যেমন আমরা কোন কিছু ভালোলাগার মত পোস্ট দেখি তখন সেগুলো আমরা শেয়ার করেছি।

আর যখনই আমরা অন্যের পোস্টগুলো শেয়ার করি তখনই সেগুলো আমাদের প্রোফাইলে চলে আসে।

ঠিক এরকম ভাবে টুইটারে আপনার যে বিষয়টি বা যে পোস্টটি দেখে পছন্দ হবে সেটি আপনি “retweet button” ক্লিক করার মাধ্যমে শেয়ার করতে পারবেন।

এতে করে সেই পোস্টটি আপনার প্রোফাইলে দেখানো হবে। মূলত এটাই টুইটারের ভাষাই Retweets রিটুইট, ফেসবুকের ভাষায় যাকে শেয়ার বলা হয় ।

বন্ধুরা এতক্ষণ আমরা টুইটারের সাথে জড়িত শব্দগুলো সম্পর্কে জানলাম। এখন আমরা টুইটারের ব্যবহার সম্পর্কে জানবো।

কিভাবে টুইটার ব্যবহার করতে হয়?

টুইটার এর ব্যবহার অনেকটাই সোজা।

আ পনার একটি twitter account আপনি খুব সহজেই “twitter mobile app” অথবা “twitter website” এর দ্বারা twitter account ব্যবহার করতে পারবেন।

বন্ধুরা চলুন, এবার টুইটার এর ব্যবহারের নিয়মগুলো জেনে নেই।

টুইটার ব্যবহার করার নিয়ম-

টুইটার একাউন্টে প্রবেশ করার জন্য আপনি কিছু অপশন দেখতে পাবেন, যেগুলোর মাধ্যমে আপনাকে টুইটার একাউন্টে টুইট বার্তা পাঠানো বা টুইট সম্পর্কিত সকল কাজ সম্পাদন করতে হবে।

লগইন করার পর এই অপশনগুলো কি কি কাজে লাগবে তা ধাপে ধাপে আলোচনা করছি-

১. Home অপশন

Home অপশনটি আপনারা সবার আগে দেখতে পাবেন।

Home অপশনে click করলে, আপনারা টুইটার এর প্রথম বা মূল পেজে  চলে যাবেন।

টুইটার এর এই মূল পেজে আপনারা আপনাদের  twitter এ follow করা প্রতিটি টুইট (tweets) দেখতে পাবেন।

২. Search অপশন

Search অপশনে আপনি আপনার সার্চ করা টুইটার ইউজারদের খুজে বের করতে পারবেন।

নতুন ইউজারদের সার্চ করে খুজে তাদের সাথে সংযুক্ত হতে পারবেন।

৩. Notification bell অপশন

notification হলো টুইটার এর সকল টুইট প্রচারের সংকেত।

notification অপশনে ক্লিক করে আপনি টুইট আপডেট সম্পর্কে জানতে পারবেন।

উদাহরণস্বরূপে-

কেউ আপনাকে টুইট করলে, বা ফলো করলে , লাইক করলে, সেই সংকেত আপনি নোটিফিকেশন এর মাধ্যমে পাবেন।

৪. Message request অপশন

আপনার টুইটার একাউন্টে যতগুলো এসএমএস রয়েছে সবকিছু আপনি মেসেজ রিকোয়েস্টের মাধ্যমে দেখে নিতে পারবেন।

আর আপনি যদি কোন টুইটার ইউজারের সাথে ডাইরেক্ট এসএমএস এর মাধ্যমে কিছু আদান-প্রদান করতে চান তাহলে মেসেজ রিকোয়েস্ট অপশনটি ব্যবহার করতে পারবেন।

৫. Tweet button অপশন

টুইটারে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বাটন হচ্ছে “tweet button” অপশনটি। এই টুইট বাটন অপশনে ক্লিক করে আপনি আপনার টুইট গুলো প্রকাশ বা পোস্ট করতে পারবেন।

৬. Edit profile অপশন

Edit profile twitter এ আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ অপশন।

এই অপশনের মাধ্যমে আপনি আপনার প্রোফাইল এডিট করে নিতে পারবেন।

প্রোফাইলে এডিট করার সময় আপনি আপনার তথ্যগুলো পরিবর্তন বা আপডেট করতে পারবেন।

যেমন- Username , Bio , Location  ইত্যাদি পরিবর্তন বা সংযোজন করতে পারবেন।

অবশ্যই পড়ুন, 

Twitter ব্যবহারের উপকারিতা-

সাধারণত সোশ্যাল মিডিয়া প্লাটফর্ম গুলোকে যে সমস্ত কাজে ব্যবহার করা হয়। ঠিক তেমনি টুইটার কেউ সেরকম কাজেই ব্যবহার করা হয়।

টুইটার এর সবচেয়ে সেরা ব্যবহার এবং উপকারিতা সমূহ-

টুইটার ব্যবহারের কিছু সেরা দিক বা উপকারিতা রয়েছে। যেমন-

  • blog, website, business ও brand এর অনলাইনে প্রচার করার সেরা মাধ্যম হলো টুইটার।
  • বিশ্বের যেকোনো জায়গায় থাকা নতুন নতুন লোকেদের সাথে সংযুক্ত হওয়া যায় টুইটার এর মাধ্যমে।
  • যেকোনো দেশের বিখ্যাত ও জনপ্রিয় লোক যেমন – actors, actresses, politicians, social workers ইত্যাদি মানুষের সাথে সংযুক্ত হওয়া যায় টুইটারের সাহায্যে।
  • ঘরে বসেই বিশ্বের যে কোনো বিষয়ে জানতে পারবেন খুব তাড়াতারি tweets এর মাধ্যমে।
  • ঘরে বসেই অনলাইনে বিশ্বের বিভিন্ন বিশেষজ্ঞদের কাছ থেকে অনেক কিছু শেখার সুযোগ রয়েছে টুইটারে।
  • নিজের মনের ভাব,  টুইট বার্তার মাধ্যমে মানুষদের কাছে প্রকাশ করা ক্ষেত্রে টুইটার এর প্রচুর ব্যবহার হয়ে থাকে।

এসব ছাড়াও আরো কিছু টুইটার এর ব্যবহার বা উপকারিত রয়েছে।

তবে, ওপরে দেওয়া বিষয়গুলো টুইটার প্রচুর ব্যবহার হয়ে থাকে।

আজকের শেষ কথা,

আজ আমি আপনাদের সাথে টুইটার কি? টুইটারের জনক কে? টুইটার এর কাজ কি? টুইটার কিভাবে কাজ করে? টুইটারের প্রতিষ্ঠাতা কে? টুইটার ব্যবহার করার নিয়ম ইত্যাদি টুইটার সম্পর্কে বিস্তারিত করেছি।

আজকের আর্টিকেল সম্পর্কে কোনো প্রশ্ন বা মতামত থাকলে অবশ্যই কমেন্ট করে জানাবেন।

আর যদি আর্টিকেলটি ভালো লেগে থাকে, তাহলে অবশ্যেই শেয়ার করবেন। বিনিময় এর সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ

 

Leave a Comment