Keyword Research কি? কিওয়ার্ড রিসার্চ কিভাবে করতে হয়

Keyword Research কি? Best keyword research tool দিয়ে কিওয়ার্ড রিসার্চ কিভাবে করতে হয়, কিওয়ার্ড কত প্রকার, কিওয়ার্ড রিসার্চ কেন এত গুরুত্বপূর্ণ, ৩০০ ওয়ার্ডের মধ্যে কীওয়ার্ড কতবার লেখা যেতে পারে? ইত্যাদি বিষয় নিয়ে আজকের আর্টিকেলে আলোচনা করবো।

তাই কীওয়ার্ড রিসার্চ (Keyword Research) সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে শেষ পর্যন্ত পড়ুন। 

বর্তমানের অনলাইনে ব্লগার পেশাকে অনেকেই বেছে নিয়েছেন এবং তাদের ক্যারিয়ার গঠনেও অনেক পরিবর্তন এনেছেন। আর এখন অনেকের কাছে ব্লগিং হচ্ছে একধরনের (business) প্লাটফর্ম।

তাছাড়াও নিত্যনতুন অনেক ব্লগার তৈরি হচ্ছেন বলে একই বিষয় বা niche নিয়ে অনেকেই লেখা লেখি করার কারণে আগের তুলনায় অনেক গুন বেশি প্রতিযোগিতা সৃষ্টি হয়েছে।

আপনি খেয়াল করলে দেখতে পাবেন যে, আজকাল যেকোনো কীওয়ার্ড (Keywords), বা বিষয় নিয়ে অনলাইনে সার্চ করলেই প্রথম পাতাতেই আপনার প্রশ্নের বা সার্চের উত্তর অনেকেই দিয়ে দিয়েছে।  

আরো পড়ুন, 

তাই একই ধরনের প্রশ্নের বা কীওয়ার্ড নিয়ে লেখা অনেকেই প্রকাশ করার ফলে গুগল তার চয়েস মোতাবেক সবচেয়ে সেরা বা পছন্দের SEO friendly, user friendly, high quality কনটেন্ট সার্চ পেজের প্রথমে তার সেরা ১০ রেজাল্ট (Top 10 Results) এ দেখিয়ে দিয়ে থাকে। 

আর বাকি সব  low quality, poor SEO optimization থাকা কন্টেন্টের ওয়েবসাইটগুলোকে দ্বিতীয় এবং তার পরের সিরিয়ালের পেজ গুলোতে দেখায়।

একারণে, গুগল এবং অন্যসব সার্চ ইঞ্জিন গুলির প্রথম পেজে থাকা ওয়েবসাইটগুলো অনেক বেশি ফ্রি ভিজিটর্স বা ট্রাফিক পেয়ে থাকে।

আপনি যদি আপনার ব্লগে বা ওয়েবসাইটে সার্চ ইঞ্জিনগুলো থেকে ট্রাফিক বা ভিজিটর্স না পান। তাহলে হয়তো আপনিব ভালো কোয়ালিটি সম্পন্ন আর্টিকেল লিখতে পারতেছেন না।

বা আপনার লেখা আর্টিকেল গুলি গুগল বা অন্যান্য সার্চ ইঞ্জিনের কাছে SEO friendly, user friendly, high quality সম্পন্ন হচ্ছে না।

আর আপনি যদি আপনার আর্টিকেলে সঠিক SEO optimization techniques ব্যবহার না করেন, তাহলেও আপনার সার্চ ইঞ্জিনগুলো থেকে ট্রাফিক বা ভিজিটর্স পাওয়া কঠিন হয়ে পড়বে।

কিন্তু আপনি যদি ভালো কোয়ালিটি সম্পন্ন আর্টিকেল লিখে ও SEO optimizations করেও সার্চ ইঞ্জিন থেকে ট্রাফিক বা ভিজিটর্স না পান, তাহলে হয়তো আপনার “কীওয়ার্ড রিসার্চ” সঠিকভাবে হচ্ছে না।

আপনি যদি, “keyword research কি?” এবং কীওয়ার্ড রিসার্চ ‍কিভাবে করতে হয় , তা না জেনে আর্টিকেল লিখে থাকেন, তা হলেও  SEO র দিক দিয়ে আপনার সবচেয়ে বর ভুল হচ্ছে।

Keyword research কী? এই প্রশ্নের উত্তর জানার জন্য আপনাকে সর্বপ্রথম জানতে হবে-  “কীওয়ার্ড মানে কি?” 

Keyword মানে কি?  (What is keyword)

কীওয়ার্ড (keywords) হলো এমন একটি বিষয় , যার মাধ্যমে গুগল বা অন্যান্য  search engine সমূহ আপনার ব্লগে লেখা আর্টিকেলের বিষয়বস্তু জানতে ও বুঝতে সক্ষম হয়।

একটি আর্টিকেলের বিষয়বস্তুর বা targeted keywords এর ওপরে নির্ভর করেই গুগল বা অন্যান্য সার্চ ইঞ্জিনগুলো আপনার ব্লগ বা ওয়েবসাইটে ভিজিটর্স বা ট্রাফিক পাঠিয়ে থাকে।

আমরা যখন গুগলে সার্চ বারে কিছু বিষয় নিয়ে লিখে সার্চ করি? যেমন-

 “কিওয়ার্ড রিসার্চ মানে কি”, “কোন মোবাইল ভালো?”, “সেরা এন্ড্রয়েড মোবাইল” এবং এরকম আরো প্রয়োজনীয় শব্দ বা বাক্য লিখে গুগলে সার্চ করে থাকি।

আর  গুগলে বা অন্যান্য সার্চ বারে “সার্চ  করা শব্দ বা বাক্য” গুলোকেই কীওয়ার্ড বলা হয়।  একটি কীওয়ার্ড একটি বা একাধিক শব্দের কোন বাক্যও হতে পারে।

যেমন- “অনলাইনে আয়” এবং “অনলাইনে ইনকাম করুন ঘরে বসে“ এই দুটোই কীওয়ার্ড। তবে, দুটি শব্দের বেশি কীওয়ার্ড গুলোকে  “key phrase” বলা হয়ে থাকে।

তবে, বেশিরভাগ “keywords” ৩ থেকে ৪ টি শব্দের একটি বাক্য হয়ে থাকে।  

সহজভাবে বললে, কীওয়ার্ড মানে হলো- আপনি Google Search, Bing search বা Yahoo search ইঞ্জিনে যা  লিখে সার্চ করে থাকেন সেই শব্দ বা বাক্য হলো কীওয়ার্ড।

আপনি যদি আমার লেখা এই আর্টিকেলের কীওয়ার্ড সম্পর্কে জানতে চান, তাহলে, এখানে আমি- “কীওয়ার্ড রিসার্চ কি?”, “Keywords কি“, “SEO“, “blog traffic“, “কীওয়ার্ড রিসার্চ করার নিয়ম”  এইসব কীওয়ার্ড গুলিকে টার্গেট করে আর্টিকেলটি লিখেছি।

আমার টার্গেটের keywords দিয়ে যদি কেউ সার্চ করে তাহলে তারা অবশ্যেই আমার ওয়েবসাইটকে বা আর্টিকেলটিকে গুগলের সার্চ রেজাল্টে দেখতে পাবেন।

আপনাকে মনে রাখতে হবে,  

লোকেরা গুগলে (সার্চ ইঞিজনে) কোন ধরনের keywords লিখে বেশি সার্চ করছে এবং আপনার লেখা আর্টিকেলে কোন keywords target করা হয়েছে।

এই দুটি কীওয়ার্ড এর মধ্যে মিল রাখতে পারলেই আপনি সার্চ ইঞ্জিন থেকে অধিক পরিমাণে ট্রাফিক বা ভিজিটর্স পাবেন।

এখন আপনার মনে প্রশ্ন আসতে পারে –কিভাবে বুঝবেন যে, লোকেরা গুগলে কোন কীওয়ার্ড লিখে বেশি সার্চ করছেন?”.

উত্তরটি হলো-keyword research এর মাধ্যমে।”

Keyword Research কি? (What Is Keyword Research)

কীওয়ার্ড রিসার্চ (keyword research) হলো, SEO (search engine optimization) এর এমন একটি  গুরুত্বপূর্ণ অংশ, যেখানে জনপ্রিয় এবং সার্চ ইঞ্জিন গুলিতে প্রচুর সার্চ হওয়া কীওয়ার্ড (keywords) এবং key phrase গুলিকে খুঁজে পেতে সাহার্য  করে থাকে।

কিওয়ার্ড রিসার্চ কিভাবে করতে হয় , কিওয়ার্ড রিসার্চ কি , Keyword অর্থ কি , কিওয়ার্ড কত প্রকার , কিওয়ার্ড রিসার্চ কেন এত গুরুত্বপূর্ণ , ৩০০ ওয়ার্ডের মধ্যে কীওয়ার্ড কতবার লেখা যেতে পারে?
কিওয়ার্ড রিসার্চ

এছাড়াও আমরা আমাদের ব্লগ বা ওয়েবসাইটের জন্য সেরা এবং রুচিসম্মত আর্টিকেলগুলো কীওয়ার্ড রিসার্চ এর সাহার্যে খুজে পেতে পারি। 

যেকোন আর্টিকেলকে “search engine” এর জন্য optimize করার প্রথম ধাপ হচ্ছে-(keyword research) কীওয়ার্ড রিসার্চ। 

এতেকরে আপনি ভালো ভালো এবং অধিক পরিমাণে গুগলে সার্চ হওয়া টপিক বা keyword কীওয়ার্ড খুজে পাবেন।

এরপর, খুজে পাওয়া লাভজনক এবং অধিক পরিমাণের ভিজিটর্স সম্পন্ন keywords target করে আর্টিকেল লিখে আপনি আপনার ব্লগ বা ওয়েবসাইটে অনেক ফ্রি ভিজিটর্স পেয়ে যাবেন।

কিওয়ার্ড রিসার্চ কেন এত গুরুত্বপূর্ণ- importance of keyword research

কিওয়ার্ড রিসার্চ এর গুরুত্ব মূলত দুটি কারণে। আর কারণ দুটি হলো-

১ম কারণ হলো- সবচেয়ে লাভজনক এবং গুগল বা অন্যান্য সার্চ বারে অধিক পরিমানে সার্চেবল keywords – কীওয়ার্ড গুলো খুঁজে পাওয়ার জন্য কিওয়ার্ড রিসার্চ করা জরুরি। 

২য় কারণ হলো- আপনি যেই বিষয় নিয়ে আর্টিকেল লিখতে চাচ্ছেন সেটি গুগল বা অন্যান্য সার্চ বারে কতবার সার্চ হচ্ছে বা আপনার লিখা keywords-কীওয়ার্ড লোকেরা সার্চ করছে কি না?

আপনার কিওয়ার্ড এর সিপিসি কত ই্ত্যাদি বিষয়ে আপনি জেনে নিতে পারবেন । তাই লোকেরা কিওয়ার্ড রিসার্চ কে গুরুত্ব দিয়ে থাকে । 

আপনি যেই keyword টার্গেট আর্টিকেল লিখছেন তা যদি মাসে ১০০ জন লোকেও সার্চ না করে তাহলে আপনার সেই লো-ভ্যালু keyword আর্টিকেল লিখার কোন দাম নেই।

তবে, অনেক বেশি ট্রাফিক বা ভিজিটর্স সম্পন্ন keyword নিয়ে আর্টিকেল লিখার চেয়ে প্রথম অবস্থায় কম পরিমানে ভিজিটর্স সম্পন্ন keyword নিয়ে আর্টিকেল লিখাটাই অনেক ভালো।

আরো জানুন, 

কেননা অনেক ভিজিটর্স সম্পন্ন keyword গুলোর প্রতিযোগিতও তুলনামূলক কম হয়ে থাকে।

আবার অনেক সময় দেখা যায় যে, অনেক ভালো ভালো কোয়ালিটি সম্পন্ন কন্টেন লেখার পরও ব্লগার রা তাদের ব্লগে বা ওয়েবসাইটে ট্রাফিক বা ভিজিটর্স পান না। এর প্রধান কারণ হলো  “কীওয়ার্ড রিসার্চ” না করে আর্টিকেল লিখা।

কিওয়ার্ড রিসার্চ কিভাবে করতে হয়? 

কিওয়ার্ড রিসার্চ করার নিয়ম নিচে ধাপে ধাপে আলোচনা করা হয়েছে। কেননা বর্তমানে আর্টিকেল লেখার জন্য প্রথমেই কীওয়ার্ড রিসার্চ  করাটা অনেক জরুরী।

একটি আর্টিকেল র‌্যাংক করে মূলত অনেকটাই কীওয়ার্ড রিসার্চ এর উপর। আর এটি একটি এসইও অপটিমাইজেশনের অংশ বিশেষ।

আর আপনি যদি ভালো মানের আর্টিকেল লিখেন এবং SEO optimization করার পরও আপনার ওয়েবসাইটে ট্রাফিক বা ভিজিটর্স না পান, তাহলে আপনাকে বুঝতে হবে আপনার টার্গেটের কিওয়ার্ড টি গুগলে সার্চ ভলিয়ম অনেক কম বা নেই বললেই চলে।

ব্লগে ট্রাফিক ও ভিজিটর্স আসছেনা” এর মূল কারণ হলো গুগলে সার্চ ভলিয়ম কম।

যত বেশি পরিমাণে আপনার টার্গেট করা keyword গুগল সার্চে সার্চ হবে, মাসে (৩০০ থেকে বেশি ) । আপনার সাইটে ততবেশি ট্রাফিক বা ভিজিটর্স আসার সম্ভাবনা থাকবে। 

আপনার ব্লগিং ক্যারিয়ারকে দ্রুত সফল করার জন্য “অধিক জনপ্রিয় এবং বেশি ট্রাফিক বা সার্চ ভলিয়ম কীওয়ার্ড টার্গেট করে আর্টিকেল লিখা প্রয়োজন।

আর সকল লাভজনক কীওয়ার্ড শুধুমাত্র “keyword research” করেই বের করা সম্ভব।

৩ টি সেরা কিওয়ার্ড রিসার্চ টুলস- best keyword research tool

বিভিন্ন সার্চ ইঞ্জিনের দ্বারা সার্চ করার মাধ্যমে লাভজনক, জনপ্রিয় এবং সবচেয়ে বেশি ভিজিটর্স সম্পন্ন সার্চ হওয়া কিওয়ার্ড বা বিষয় কে খুজে পেতে আমরা বিভিন্ন ধরনের “Keyword research tools” ব্যবহার করে থাকি।

বর্তমানে অনলাইনে অনেক ভালো ভালো “Keyword research tools” ব্যবহার আমরা দেখতে পায়, যেগুলোর জন্য আমাদেরকে টাকা দিতে হবে । বেশিরভাই “Keyword research tools” হচ্ছে (paid tools) পেইড যার জন্য অনেক টাকা খরচ হয়। 

অনলাইনে সবচেয়ে জনপ্রিয় এবং কার্যকরী কয়েকটি সেরা paid tools হচ্ছে-

  • ahrefs.com

  • Keyword Tool

  • Kwfinder

এই তিনটি হলো সবচেয়ে সেরা keyword research tools, যেগুলি অধিকাংশ ব্লগার বা ওয়েবসাইট ব্যবহারকারিরা ব্যবহার করে থাকে। এবং তাদের আর্টিকেলের জন্য লাভজনক কীওয়ার্ড খুঁজে বের করে থাকে।

আপনিও চাইলে এই তিনটি সেরা keyword research tools ব্যবহার করে আপনার আর্টিকেলের জন্য কিওয়ার্ড রিসার্চ করতে পারবেন টাকার বিনিময়ে।

ফ্রী কিওয়ার্ড রিসার্চ টুলস- Free keyword research tool 

বর্তমানে অনেক free keyword research tool রয়েছে, যেগুলো আপনি কোন প্রকার টাকা না দিয়েই একদম ফ্রীতে কিওয়ার্ড রিসার্চ করতে পারবেন ।

অবশ্যই পড়ুন, 

আমি আমার আর্টিকেল লেখার আগে profitable keyword ideas খোঁজতে নিচের ফ্রী কিওয়ার্ড রিসার্চ  ( free keyword research tool ) গুলো ব্যবহার করে থাকি ।

১. Google keyword planner টুলস

Google keyword planner টুল্স টি ব্যবহার করে আপনি আপনার আর্টিকেলের জন্য সবেচেয়ে বেশি সার্চ হওয়া এবং সিপিসি সম্পন্ন ভালো ভালো কিওয়ার্ড খুঁজে পাবেন।

কিওয়ার্ড রিসার্চ কিভাবে করতে হয় , কিওয়ার্ড রিসার্চ কি , Keyword অর্থ কি , কিওয়ার্ড কত প্রকার , কিওয়ার্ড রিসার্চ কেন এত গুরুত্বপূর্ণ , ৩০০ ওয়ার্ডের মধ্যে কীওয়ার্ড কতবার লেখা যেতে পারে?
Google keyword planner

যেমনটি ওপরের ছবিতে দেখতে পাচ্ছেন, Google keyword planner tool এর search box এ আমি একটি keyword দিয়ে সার্চ করতেই, টুলটি আমাকে রেজাল্টে শব্দ বা বাক্যটি গুগলে মাসে কতবার সার্চ করা হয়, এবং keyword এর প্রতিযোগীতা কেমন তাও দেখানো হচ্ছে।  

এই Google keyword planner টুল্স টি দিয়ে আপনি বাংলা, ইংরেজি, হিন্দিসহ গুগলের সাপোর্টিং সকল ভাষাগুলোর কিওয়ার্ড রিসার্চ করতে পারবেন।

এই টুল্সটি ব্যবহার করে আপনি যে কোন দেশ (Location) এবং ভাষা (language) সিলেক্ট করে কিওয়ার্ড রিসার্চ করে আর্টিকেল লিখতে পারবেন।

এছাড়াও আপনি আপনার সার্চ করা কিওয়ার্ডের সাথে সাথে আরো কিছু (related) আরো অন্যান্য keywords এর রেজাল্ট দেখতে পাবেন। এবং নতুন করে আর্টিকেল লেখার জন্য লাভজনক keyword ideas ও এখানে পাবেন।

এটি একটি গুগলের ফ্রি Google keyword planner টুল সার্ভিস ।

তাই Google keyword planner টুল্স টি ব্যবহারের জন্য আপনার একটি Google account থাকতে হবে।

Google keyword planner টুল্স টিতে যাওয়ার পর আপনাকে “Discover new keyword ideas” অপশনে ক্লিক করতে হবে।

এরপর আপনার কিওয়ার্ড এর ভাষা এবং দেশ নির্বাচন করে নিন।

তারপর, আপনি যে কিওয়ার্ড রিসার্চ (keyword research) করতে চাচ্ছেন সেটা লিখে নিচের “Get results” অপশনে ক্লিক করুন। 

২. Ubersuggest tool

আপনি Google keyword planner tool ব্যবহার করার মতোই আরেকটি কিওয়ার্ড রিসার্চ করার ফ্রি টুল্স টি “Ubersuggest tool” ব্যবহার করতে পারেন ।

কিওয়ার্ড রিসার্চ কিভাবে করতে হয় , কিওয়ার্ড রিসার্চ কি , Keyword অর্থ কি , কিওয়ার্ড কত প্রকার , কিওয়ার্ড রিসার্চ কেন এত গুরুত্বপূর্ণ , ৩০০ ওয়ার্ডের মধ্যে কীওয়ার্ড কতবার লেখা যেতে পারে?
Ubersuggest tool

ওপরে যেমন দেখতে পাচ্ছেন আমি সার্চ করেছি “how to start a blog” লিখে। সাথে সাথেই কিওয়ার্ডের রেজাল্টগুলো দেখানো হয়েছে।

এছাড়াও SEO difficulty score এর মাধ্যমে, কীওয়ার্ডটি ব্যবহার করে ট্রাফিক পাওয়ার সহজ বিষয়গুলোও জানতে পারবেন।

এখানে  SEO difficulty score যতটাই কম হবে (২০ থেকে কম হলে ভালো), সেই কীওয়ার্ড এর মাধ্যমে গুগলে আর্টিকেল রাংক (rank) করানোটা অনেকটাই সহজ হবে।

যেকোনো keyword কত সহজে গুগলে রাংক (rank) করানো যাবে সেটাও জেনেনিতে পারবেন SEO difficulty score এর দ্বারা।

৩. Keyword tool

ইংরেজি এবং বাংলা কীওয়ার্ড রিসার্চ করার আরো একটি ফ্রি এবং লাভজনক টুল হলো “Keyword tool”.

কিওয়ার্ড রিসার্চ কিভাবে করতে হয় , কিওয়ার্ড রিসার্চ কি , Keyword অর্থ কি , কিওয়ার্ড কত প্রকার , কিওয়ার্ড রিসার্চ কেন এত গুরুত্বপূর্ণ , ৩০০ ওয়ার্ডের মধ্যে কীওয়ার্ড কতবার লেখা যেতে পারে?
Keyword tool

এই ওয়েবসাইটে প্রবেশ করার পর কীওয়ার্ড সার্চ বক্সে আপনার কিওয়ার্ড টি দিয়ে দিন। তারপর আপনার ভাষা নির্বাচন করে সার্চ করুন।

এরপর আপনার সার্চ করা (keyword) কিওয়ার্ডের রেজাল্ট  তথা search volume, CPC competition ইত্যাদি দেখাবে। এটি ব্যবহার করার জন্য আপনাকে কোন টাকা দিতে হবে না। 

এটি আপনার আসল কিওয়ার্ডের পাশাপাশি related keywords খোঁজে দিবে। আপনি আপনার টার্গেট করা কি ওয়ার্ড এবং রিলেটেড কিওয়ার্ড ব্যবহার করে আর্টিকেল লিখতে পারবেন।

ফলে, খুব সহ জেই কিওয়ার্ড বা key phrases ব্যবহার করার জন্য আপনার আর্টিকেলটি Google এ rank করবে। 

Keyword tool টি ব্যবহার করে খুঁজে বের করা সব ধরণের keyword ideas গুলি লোকেরা গুগল সার্চে মাসে কতবার সার্চ করছে বা সার্চ ভলিয়ম কত, সেটা আপনি google keyword planner বা ubersuggest tool ব্যবহার করে জানতে পারবেন।

৪. Google Auto Suggest 

গুগল সার্চে যখন আমরা কোন শব্দ বা কিওয়ার্ড লিখি তখন গুগল আমাদেরকে সেই কীওয়ার্ড বা শব্দের সাথে জড়িত অন্যান্য রিলেটেড কিওয়ার্ড বা key phrases এর রেজাল্টট দিয়ে থাকে।

কিওয়ার্ড রিসার্চ কিভাবে করতে হয় , কিওয়ার্ড রিসার্চ কি , Keyword অর্থ কি , কিওয়ার্ড কত প্রকার , কিওয়ার্ড রিসার্চ কেন এত গুরুত্বপূর্ণ , ৩০০ ওয়ার্ডের মধ্যে কীওয়ার্ড কতবার লেখা যেতে পারে?
Google Auto Suggest

যেমনভাবে ছবিতে আমি “মোবাইল থেকে” কীওয়ার্ড টি লিখে সার্চ করার পর, গুগল সেই কীওয়ার্ড এর সাথে জরিত আরো অনেক শব্দ, বাক্য, প্রশ্ন বা key phrase এর রেজাল্ট দেখিয়েছে।

এখন আমি যদি এই ধরনের auto suggested key phrases গুলি টার্গেট করে আর্টিকেল লিখি। তবে, গুগল সার্চ থেকে প্রচুর ট্রাফিক ও ভিজিটর্স আমার ওয়েবসাইটে পাওয়ার সুযোগ রয়েছে।

যেসব বাক্য, শব্দ, প্রশ্ন বা key phrase গুগলে অনেক পরিমানে সার্চ করা হয়, গুগল সেসকল কিওয়ার্ড গুলোকে তার auto suggested keyword এ দেখায়।

তাছাড়াও, google keyword planner tool ব্যবহার করে, key phrase গুলির সঠিক সার্চ ভলিউম (search volume) আপনি খুব সহজেই জানতে পারেন।

৩০০ ওয়ার্ডের মধ্যে কীওয়ার্ড কতবার লেখা যেতে পারে?

৩০০ ওয়ার্ডের মধ্যে কীওয়ার্ড কতবার লেখা যেতে পারে? তা নির্ভর করবে আপনার লেখা আর্টিকেলটির উপর। আপনি যদি চান তা হলে ভিন্ন ভিন্ন প্যারা করে প্রতিটি প্যারাতেই আপনার আর্টিকেলের কীওয়ার্ড ব্যবহার করতে পারবেন।

আর যদি আপনি প্রতি প্যারয় কীওয়ার্ড ব্যবহার না করেন। তাহলে, আপনি মাঝে মধ্যে আপনার কী ওয়ার্ড এবং রিলেটেড কীওয়ার্ড গুলো ব্যবহার করতে পারেন ।

মনে রাখবেন, আপনি আপনার আর্টিকেলে অতিরিক্ত কীওয়ার্ড ব্যবহার করবেন না, যাতে গুগল স্প্যাম ধরে। তবে, খুব বেশিও না আবার অনেক কম ও না মাঝামাঝি কীওয়ার্ড এবং রিলেটেড কিওয়ার্ড ব্যবহার করুন।

৩০০ ওয়ার্ডের মধ্যে আপনি কীওয়ার্ড এবং রিলেটেড কী ওয়ার্ড-৬ টি ব্যবহার করুন

আর ফোকাস কী ওয়ার্ড ২-৩ বার ব্যবহার করুন।

১০০০ ওয়ার্ডের মধ্যে কীওয়ার্ড কতবার ব্যবহার করা যাবে?

আর ১০০০ ওয়ার্ডের আর্টিকেলের মধ্যে ৯ থেকে ১০ বার কিওয়ার্ড এবং রিলেটেড কিওয়ার্ড ব্যবহার করতে পারেন

আর ফোকাস কিওয়ার্ড ৪-৫ বার ব্যবহার করতে পারেন। 

অর্থাৎ যে কোন ১০০০ ওয়ার্ডের আর্টিকেলে আপনি ৫-৬ বার ফোকাস কিওয়ার্ড ব্যবহার করতে পারেনএর চেয়ে অতিরিক্ত না করা আবার কম ব্যবহারও না করা।

আজকের শেষ কথা,  

বন্ধুরা আজকের আর্টিকেলে আমি আপনাদের সাথে Keyword Research কি? Best keyword research tool দিয়ে কিওয়ার্ড রিসার্চ কিভাবে করতে হয়, কিওয়ার্ড কত প্রকার , কিওয়ার্ড রিসার্চ কেন এত গুরুত্বপূর্ণ , ৩০০ ওয়ার্ডের মধ্যে কীওয়ার্ড কতবার লেখা যেতে পারে? SEO optimization ইত্যাদি বিষয় নিয়ে আলোচনা করেছি।

আর্টিকেলটি কেমন লাগলো তা অবশ্যই কমেন্ট করে জানাবেন। আর যদি আর্টিকেলটি  ভালো লেগে থাকে তাহলে, অবশ্যই আপনার বন্ধুদের সাথে শেয়ার করবেন। ধন্যবাদ

Leave a Comment