ক্রেডিট কার্ড কি | ক্রেডিট কার্ড ব্যবহারের নিয়ম

“বাংলাদেশে এখন অনেকগুলি ব্যাংক এবং আর্থিক সেবাদাতা প্রতিষ্ঠান ক্রেডিট কার্ড সেবা প্রদান করছে। এই মুহূর্তে, আসুন জানা যাক ক্রেডিট কার্ড কি, এর কয়টি ধরণ, কিভাবে আমরা এটি পাতে পারি, এর ব্যবহারের খরচ, এবং অন্যান্য সম্পর্কিত বিষয়গুলি।”

ক্রেডিট কার্ড হলো একটি অনুমোদনপত্র বা বাণিজ্যিক দক্ষতা যোগানের একটি মাধ্যম, যা ব্যবসা, কেনাকাটা, বা অন্যান্য আর্থিক লেনদেনের জন্য ব্যবহৃত হয়। এটি হলো একটি ভৌগোলিক সীমানা থাকতে পারেনা, এবং প্রায়শই একটি ক্রেডিট কার্ড হলেই একজন ব্যক্তি এটি ব্যবহার করতে পারে।

বাংলাদেশে এখন প্রায় সকল প্রধান ব্যাংক এবং কিছু আর্থিক সেবাদাতা প্রতিষ্ঠান ক্রেডিট কার্ড সেবা প্রদান করছে। ক্রেডিট কার্ড ব্যবহার করে ব্যক্তি পুরস্কার, ছাড়, ক্যাশব্যাক, কিংবা অন্যান্য সুযোগের জন্য অনুরোধ করতে পারে, যা ব্যবহারকারীকে নির্দিষ্ট পরিমাণের মুল্যবান পয়েন্ট অর্জন করে। এছাড়া, ক্রেডিট কার্ডের মাধ্যমে সময়ের মধ্যে অসংখ্য সুবিধার সাথে বিভিন্ন আকর্ষণীয় অফারও পাওয়া যায়।

বাংলাদেশে ক্রেডিট কার্ড অর্থনৈতিক কার্যক্রমে বিনিয়োগ করতে চাইলে, আপনি আপনার প্রতিষ্ঠানিক ব্যাংকে আবেদন করতে পারেন অথবা সরাসরি ব্যাংকে একটি ক্রেডিট কার্ড অ্যাপ্লিকেশন ফরম পূরণ করতে পারেন। আপনি আপনার আয়ের উৎস, কাজের ধরণ, আবাসিক ঠিকানা, ইত্যাদি তথ্য প্রদান করতে হবে এবং এই তথ্যের উপর ভিত্তি করে ব্যাংক ক্রেডিট কার্ডের অর্থনৈতিক সীমা নির্ধারণ করতে পারে।

ক্রেডিট কার্ডের ব্যবহারের সাথে সাথে মাসিক স্টেটমেন্ট পরীক্ষা করা সহিত মোটামুটি নিয়মিতভাবে ব্যবহারকারী আপনার ব্যক্তিগত অর্থনৈতিক অবস্থার উপর নিয়ন্ত্রণ রাখতে পারেন।

এক নজরে দেখুন 👁‍🗨👁‍🗨

ক্রেডিট কার্ড কি?

ক্রেডিট কার্ড কি,কোন ব্যাংকের ক্রেডিট কার্ড ভালো,
ক্রেডিট কার্ড ব্যবহারের নিয়ম,
ক্রেডিট কার্ড খরচ,
ক্রেডিট কার্ড কি ভাবে পাবো,
ক্রেডিট কার্ড কি,

ক্রেডিট কার্ড হল এমন একটি পদ্ধতি, যার মাধ্যমে আপনি একটি ব্যাংক থেকে টাকা ধার করেন এবং তারপরে তা খরচ করতে পারেন। এই ধার করা টাকার পরিমাণটি হয় ক্রেডিট কার্ডের “ক্রেডিট লিমিট” বলা হয়ে থাকে। আপনার মাসিক আয়ের উপরে ভিত্তি করে ব্যাংক এই লিমিটটি দেয়।

ক্রেডিট কার্ড ব্যবহারের নিয়ম

ক্রেডিট কার্ড হলো এমন একটি পদ্ধতি, যার মাধ্যমে আপনি একটি ব্যাংক থেকে টাকা ধার করেন এবং তারপরে তা খরচ করতে পারেন। এই ধার করা টাকার পরিমাণটি হয় ক্রেডিট কার্ডের “ক্রেডিট লিমিট” বলা হয়ে থাকে।

আপনার মাসিক আয়ের উপরে ভিত্তি করে ব্যাংক এই লিমিটটি দেয়। যেমন- আপনার মাসিক ইনকাম যদি হয় ৫০ হাজার টাকা, তাহলে আপনি সাধারণভাবে ১ লক্ষ টাকা পর্যন্ত লিমিটের একটি ক্রেডিট কার্ড পেতে পারেন।

তবে ক্রেডিট লিমিট কম-বেশি হতে পারে আপনি যে ব্যাংক থেকে ক্রেডিট কার্ড নিচ্ছেন, সেই ব্যাংকের নীতি অনুযায়ী। তবে আপনি ক্রেডিট কার্ডের জন্য যেইটি যোগ্য তা বড় একটি প্রশ্ন।

কারণ, সাধারণভাবে আপনি যদি একজন মোটামুটি ভালো ইনকাম করা চাকুরিজীবী না হন, তাহলে ব্যাংক আপনাকে ক্রেডিট কার্ডের জন্য যোগ্য মনে করবে না। কারণ ক্রেডিট লিমিটটি আপনি প্রতি মাসে স্যালারি পান, তার উপরে ভিত্তি করেই দেওয়া হয়ে থাকে।

ক্রেডিট কার্ড পেয়ে পরে, আপনি সেটাকে যেকোনো জায়গায় পেমেন্ট করতে ব্যবহার করতে পারেন যেখানে ক্রেডিট কার্ড অ্যাকসেপ্ট করা হয় পেমেন্ট মেথড হিসেবে।

আপনি ক্রেডিট কার্ড ব্যবহার করে সারা মাসে যেকোনো জায়গায় কত অ্যামাউন্ট (অবশ্যই লিমিটের মধ্যে) পেমেন্ট করবেন, মাস শেষে সব অ্যামাউন্টটি একটি বিল হিসেবে ব্যাংক থেকে ইস্যু হবে।

পরবর্তীতে এই বিলটি নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে ব্যাংকে পরিশোধ করতে হবে। এই টাইম লিমিট বিভিন্ন ব্যাংকের নীতি অনুযায়ী বিভিন্ন হতে পারে, কিন্তু সাধারণভাবে ১০-১৫ দিন হয়ে থাকে।

এবং এই মাসিক বিল পরিশোধ করলেই আপনাকে আবার পরবর্তী মাসের ক্রেডিট লিমিট প্রদান করা হবে। উদাহরণস্বরূপ, আপনার ক্রেডিট লিমিট যদি ৫০ হাজার টাকা হয়।

এবং আপনি ৩৫ হাজার টাকা খরচ করেন, তাদের মধ্যে সম্প্রতি অর্থ বিমুক্ত হওয়ার নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে সেই ৩৫ হাজার টাকা পরিশোধ করলেই আপনি পরবর্তী মাসে আরও ৫০ হাজার টাকা ক্রেডিট লিমিট পেতে পারবেন।

ক্রেডিট কার্ড কত প্রকার?

ক্রেডিট কার্ডের প্রকারসমূহ:

ক্রেডিট কার্ড কিভাবে কাজ করে?

“ক্রেডিট কার্ডটি সাধারণভাবে অনলাইন এবং অফলাইন উভয় জায়গায় ব্যবহার করা যায়। তবে, আপনি যদি আপনার ক্রেডিট লিমিটটি বাংলাদেশের বাইরে ব্যবহার করতে ইচ্ছুক হন, অর্থাৎ ইন্টারন্যাশনাল লেনদেন করতে চান?

তাদের জন্য আপনার একটি ইন্টারন্যাশনাল পাসপোর্ট প্রয়োজন হবে। আপনি যদি পাসপোর্ট না থাকেন, তাদের মাধ্যমে বাংলাদেশের বাইরে কোন পেমেন্ট বা লেনদেন করতে পারবেন না, যতই আপনার ক্রেডিট লিমিট হোক।”

আপনি যদি আপনার পাসপোর্ট সহ ক্রেডিট কার্ডটি ইন্টারন্যাশনাল লেনদেনের জন্য চালু করে নিতে চান, তাদের মাধ্যমে আপনি আপনার ক্রেডিট লিমিটের একটি অংশ বিদেশী মুদ্রায় রূপান্তর করতে পারবেন।

যাতে আপনি বাংলাদেশের বাইরে যাওয়ার সময় বিদেশী মুদ্রায় পেমেন্ট করতে পারেন। এছাড়াও, অনলাইনে আপনি ইন্টারন্যাশনাল লেনদেন করতে পারবেন, যেমন- গুগল প্লে স্টোর থেকে কোন অ্যাপ/গেমস কেনা, বা ফরাসি ই-কমার্স সাইটগুলি থেকে পণ্য কেনা, অথবা ফেসবুক বুস্ট বা গুগল অ্যাডসে খরচ করা।

ক্রেডিট কার্ডের সুবিধাসমূহ-

আর্থিক লেনদেনে ক্রেডিট কার্ডের ব্যবহার দিন দিন বাড়ছে। বড় ধরনের কেনাকাটায় সঙ্গে থাকা ক্রেডিট কার্ডটি খুব কার্যকর হতে পারে। তবে অনেকের মধ্যে ক্রেডিট কার্ড নিয়ে একধরনের ভীতি আছে।

তারা ভাবে, এটা শেষে ব্যয়ের জালে পড়তে পারে কি না! ক্রেডিট কার্ড ব্যবহারের সুবিধাসমূহ সংক্ষেপে আলোচনা করা হলো-

দ্রুত লেনদেন-

ধরুন, আপনি একটি দামি জিনিস কিনতে চাচ্ছেন, কিন্তু একসঙ্গে এত অধিক টাকা প্রদান করতে সমর্থ নন। অন্যের কাছে ধারণ করতে পারছেন না বা কারও কাছে ধার নিতে পারছেন না।

এই সময়ে সবচেয়ে কার্যকর হতে পারে ক্রেডিট কার্ড ব্যবহার করা। এর মাধ্যমে আপনি পণ্যটি তাতক্ষণে কিনতে পারেন এবং কয়েক মাস ধরে মূল্য পরিশোধ করতে পারেন।

এটি দিয়ে ঋণের বোঝার জন্য মানবিক চাপ অনুভব করা হয় না। এই ক্ষেত্রেও নিজের মৌল্য-ন্যায্যবুদ্ধি ব্যবহার করতে হবে। সময় সীমা অনুযায়ী মূল্য পরিশোধ করতে হবে, না হলে জরিমানা হতে পারে।

ক্রেডিট স্কোর বাড়ানো-

আপনার লেনদেনের ইতিহাস যদি খুব সুখকর না হয়, তবে এটি মোটামুটি ঠিক করার একটি উপায় হতে পারে নিয়মিত ক্রেডিট কার্ড ব্যবহার করা। নিয়মিত ক্রেডিট কার্ড ব্যবহার করলে সময়ের সাথে সাথে বিল পরিশোধ করলে আপনার ক্রেডিট স্কোর দ্রুত বাড়তে থাকতে পারে।

অধিক নিরাপত্তা- 

প্রতারণা, চুরি বা একই খরচ একাধিকবার হতে নিরাপত্তার ক্ষেত্রে ক্রেডিট কার্ডের নিরাপত্তা ব্যবস্থা অনেক বেশী। এছাড়াও, যদি ক্রেডিট কার্ড চুরি হয়, এই কার্ডের মাধ্যমে কোন লেনদেন হয় তবে আপনার দায়দায়িত্ব একেবারেই নেই।

এমনভাবে বলা হয়, নগদ, ডেবিট কার্ড এবং চেক ব্যবহার করা একটি ক্রেডিট কার্ড ব্যবহার করার চেয়ে বেশি নিরাপদ। আপনার কার্ডে যেকোনো ভুলত্রুটি, জালিয়াতি বা চুরি হলে আপনি তার জন্য আপনার অর্থ পূর্বাভাস পেতে পারবেন।অর্থ ফেরত পাবেন।”

বিভিন্ন অফার-

ক্রেডিট কার্ডে বিভিন্ন অফার সহজেই পাওয়া যায়। ‘ক্যাশ ব্যাক অফার’ বা ‘স্পেশাল ডিসকাউন্ট’ হলে সহজেই সুবিধা নেওয়া যায়। এবং দেশের বাইরে ভ্রমণ করতে গেলে, হোটেলে ক্রেডিট কার্ডের ব্যবহারে সময়মত মূল্যছাড় পাওয়া যায়।

এছাড়া, প্লেনের টিকিট কাটতে অথবা বিশেষ মূল্যছাড় প্রাপ্ত করতে ক্রেডিট কার্ড একটি অত্যন্ত উপকারী সাধনা।

পুরস্কার পয়েন্ট-

মূল্য ফেরত পয়েন্ট এবং আকাশপথে বিনামূল্যে ভ্রমণ বা বৃদ্ধি পুরস্কার পয়েন্ট হলো ক্রেডিট কার্ডের একটি অত্যন্ত চমকপ্রদ বৈশিষ্ট্য, যা ক্রেডিট কার্ড ব্যবহার করতে অথবা লেনদেন করতে সমৃদ্ধ হতে পারে।

এই পয়েন্টগুলি চাইলে পরে ব্যবহার করা যেতে বা এটির মাধ্যমে বৃদ্ধি পাওয়া যেতে পারে।

ঋণের সুবিধা-

কিছু ক্রেডিট কার্ড, বিশেষভাবে বিদেশে, শূন্য শতাংশ সুদে ঋণ দেয়। এই প্রকার ক্ষেত্রে মাসে নির্দিষ্ট পরিমাণ মূল্য পরিশোধ করতে হয়, যা খুবই সুবিধাজনক।

আবার, কিছু কার্ডে ঋণে সুদের হার অনেক হতে পারে। এ সময়েও একটি সুবিধা আছে। বোঝার জন্য দ্রুত ঋণ পরিশোধ করা হয়। নিজস্ব ঋণ থাকে না।

পরিবর্তনযোগ্য-

আপনি যদি একটি অফারের ক্রেডিট কার্ড নিয়েছেন এবং মনে হয় কার্ডটি ব্যবহারে ঋণের বোঝা বেশি হয়েছে, তাদের বিনিময়ে এটি অন্য অফারের কার্ডে পরিবর্তন করা যায়। এই পরিবর্তনে কিছু সামান্য অর্থ লাগতে পারে, তবে এটি লাভজনক হয়ে থাকে।

ক্রেডিট কার্ডের অসুবিধাসমূহ-

নিম্নে ক্রেডিট কার্ডের অসুবিধাসমূহ তুলে ধরা হলো:

অতি খরচ-

ক্রেডিট কার্ড দিয়ে কেনাকাটা সম্পর্কে সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ হলো – খরচের দিকে মনোনিবেশ করা। হয়ত আপনি দেখতে পাচ্ছেন যে আপনি কেনাকাটা করার সময় অধিক খরচ করতে চলেছেন, এবং এই ভাবে পরবর্তী তারিখে পরিশোধ করতে হতে পারে – তবে ভুলে গিয়ে যে আপনাকে বাড়তি সুদ ও প্রদান করতে হতে পারে, সেটা মনে রাখা গুরুত্বপূর্ণ।

ঋণের ফাঁদ-

ক্রেডিট কার্ড ব্যবহার করা সব সময় একটি ঋণ নেওয়ার উপায়। আপনি এখন কিনছেন, এবং পরবর্তীতে অর্থ পরিশোধ করতে হবে। এটি একটি ঝুঁকির উৎস হতে পারে।

আপনি সময়ের মধ্যে ঋণ পরিশোধ না করলে ঋণটি বাড়তে থাকতে পারে।

লুক্কায়িত ব্যয়-

সুদের হার পরিশোধও ক্রেডিট কার্ড ব্যবহারের শূন্য ব্যয় নয়। সময়ের মধ্যে মাসিক মূল্য পরিশোধ না করলে জরিমানা দেওয়া হতে পারে।

ক্রেডিটের ব্যবহারের সীমা অতিক্রম করলেও নির্দিষ্ট অর্থ পরিশোধ করতে হবে। অর্থাৎ, সময়ের অভাবে ক্রেডিট কার্ড ব্যবহার করা সত্ত্বেও এটি খুবই জোখামজনক হতে পারে।

এটি ক্রেডিট কার্ড ব্যবহার করে নগদ অর্থ তুলতে এর নির্দিষ্ট হারে ফি প্রদান করতে হতে পারে।

বার্ষিক ফি ও অন্যান্য ফি-

হ্যাঁ, বেশিরভাগ ক্রেডিট কার্ডে বার্ষিক ফির সাথে অতিরিক্ত ফি ও চাঁদা আছে যা বিভিন্ন কারণে প্রযোজ্য হয়। কিছু উদাহরণঃ

দেরীতে পরিশোধের ফি: ক্রেডিট কার্ড বিলে নির্দিষ্ট তারিখের পরে পরিশোধ করতে গেলে এই ফি প্রযোজ্য হতে পারে। সাধারণভাবে এই ফি বিলের মিনিমাম ব্যালান্স বা পূর্ণ বিল পরিশোধের মধ্যে হয়।

ব্যালান্স ট্রান্সফার ফি: আপনি যদি একটি ক্রেডিট কার্ডের ব্যালান্স অন্য একটি কার্ডে ট্রান্সফার করতে চান, তাদের মধ্যে ব্যালান্স ট্রান্সফার ফি দিতে হতে পারে।

পুরাতন ল্যাপটপ কেনার আগে করণীয় | পুরাতন ল্যাপটপ ক্রয় বিক্রয় করার উপায়

ওভারড্রাফট ফি: ক্রেডিট কার্ডের লিমিটের বেশি ট্রান্সঅ্যাকশন করলে ওভারড্রাফট ফি প্রযোজ্য হতে পারে। এটি অতিরিক্ত টাকা অনুমোদনের জন্য একটি প্রকারের শূন্যব্যাজ বা সাধারণ ফি হতে পারে।

এই ফি ও চাঁদার ধরণগুলি ক্রেডিট কার্ড কোম্পানি এবং তাদের নীতির উপর ভিত্তি করে পরিবর্তন হতে পারে। এটি আপনার ক্রেডিট কার্ড এগ্রিমেন্টে উল্লেখ থাকতে পারে, তাই এটি সহজেই পরীক্ষা করতে হবে।

ক্রেডিট স্কোর সক্রান্ত জটিলতা-

ক্রেডিট কার্ড দিয়ে মাসিক কিস্তি পরিশোধে ব্যর্থ হওয়া আপনার ক্রেডিট স্কোরে নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে। এটা আমলে দেখা গিয়েছে যে, ক্রেডিট কার্ডে কোনো ধরনের অস্তিত্ব থাকলে এর ব্যবহার সহজ হয়ে থাকে এবং ক্রেডিট স্কোর বাড়ানো যায়।

যদি আপনি মাসিক কিস্তি পরিশোধে অসফল হন, তবে ক্রেডিট কার্ড কোম্পানি এটি রেকর্ড রাখতে পারে এবং এটি আপনার ক্রেডিট স্কোরে প্রভাব ফেলতে পারে।

এটি আপনার সঠিক সময়ে পরিশোধ না করা আপনার ক্রেডিট রেকর্ড দিকে অসুস্থতা প্রদান করতে পারে এবং পুরো কার্ডটি বন্ধ হতে পারে। এই ধরনের ব্যবহার ক্রেডিট স্কোরে নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে এবং আগামীতে ক্রেডিট প্রাপ্তির সৌভাগ্য কমাতে সহায় করতে পারে।

আপনি সমস্ত দেনাপাওনা পরিশোধ না করলে এটি আরও গভীর সমস্যা তৈরি করতে পারে, একইসাথে ক্রেডিট কার্ড বন্ধ করতে হতে পারে।

এটি আপনার ক্রেডিট রেকর্ড এবং স্কোরে একটি অসবাধীন ইতিহাস তৈরি করতে পারে, যা করতে পারে বিতর্কিত ক্রেডিট অনুমোদন প্রাপ্ত করতে হতে পারে।

এটি পুরোপুরি বন্ধ হতে পারে বা দেনা সমাপ্ত হতে পারে না, কিন্তু এটি আপনার অবস্থানটি কমজোর করতে পারে।

এই সমস্যাগুলি থেকে বাঁচার উপায় হল মাসিক কিস্তি সম্প্রদান করতে প্রয়োজনীয় অর্থ সহজে পাওয়া এবং সঠিক সময়ে পরিশোধ করা।

উচ্চমূল্যের লেনদেন ফি-

ডেবিট কার্ডে কেনাকাটা করার সময় এটি অসাধারণ যে কোনও অতিরিক্ত ফি নেই, যেমনটি ক্রেডিট কার্ডে দেখা যায় না। এখানে বিশেষভাবে উচ্চমূল্যের ফি প্রযোজ্য হয় না, যা ক্রেডিট কার্ড ব্যবহারের সময় দেখা যায়।

এটাই কারণে হতে পারে যে, ডেবিট কার্ড ব্যবহার করে কেনাকাটা করতে হলে ক্রেডিট কার্ড ব্যবহার করার চেয়ে আরও বেশি সেবা প্রদান করতে হবে।

সঠিক কার্ডটি চেনা-

সঠিক কার্ডটি বেছে নেওয়া গুরুত্বপূর্ণ। এটি আপনার জন্য কতটি সুবিধা নিয়ে আসবে, তা মনে রাখা গুরুত্বপূর্ণ। একটি ভুল কার্ড ব্যবহার করলে দিনের পর দিন ঋণের বোঝা শুধু বাড়তেই থাকতে পারে।

তবে, এটা বোঝতে হবে যে, এই সম্পর্কে পূর্ণ বোধশক্তি এবং করণীয় মনে রাখা গুরুত্বপূর্ণ। কোনটা আপনার আয়ের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ, তা বেছে নেওয়া হবে প্রয়োজন।

সত্যি বলতে, ক্রেডিট কার্ডের সুবিধা এবং অসুবিধা দুটিই রয়েছে। এটা এখন পূর্ণভাবে আপনার উপর নির্ভর করে, আপনি কীভাবে এটি ব্যবহার করতে চান তা উপর।

ব্যয়ের ব্যক্তিগত প্রকৃতি, মাসিক চাহিদা ইত্যাদি হোক না হোক, এটি আপনার জন্য উপযুক্ত কোনও কিছু হতে পারে, যা সঠিকভাবে ব্যবহার করা হতে পারে।

ক্রেডিট কার্ডে কত টাকা খরচ হয়?

বর্তমানে দেশে ক্রেডিট কার্ড ব্যবহারের হার ক্রমশই বাড়ছে। রেকর্ড সংখ্যক লোক এখন ক্রেডিট কার্ড ব্যবহার করছেন। তবে ক্রেডিট কার্ডের ব্যবহারের জন্য অনুমোদন প্রাপ্ত করতে হলে অ্যানুয়াল চার্জ বা বার্ষিক ফি প্রদান করতে হয়। সাধারণভাবে, 500 টাকা থেকে শুরু হতে পারে, এবং 1000-1200 টাকা পর্যন্ত ক্রেডিট কার্ডের জন্য অ্যানুয়াল চার্জ কাটা হতে পারে।

ক্রেডিট কার্ড খরচ-

Shimanto Bnk ক্রেডিট কার্ড খরচ/কার্ড-এর ফি ও চার্ড সমূহ 

ক্রেডিট কার্ড পাওয়ার যোগ্যতা-

ক্রেডিট কার্ড পাওয়ার জন্য যে কোনও চাকরিজীবী, ব্যবসায়ী, অথবা অন্য কোনও পেশাজীবী এমনকি যাদের টিআইএন আছে, তারা ক্রেডিট কার্ড জন্য আবেদন করতে পারবেন। এটির জন্য প্রধান শর্ত হলো তাদের আয় এবং কর শনাক্তকরণ নম্বর সঠিক এবং বৈধ থাকতে হবে।

ক্রেডিট কার্ড জন্য আবেদন করতে গুণগত প্রমাণপত্র হিসেবে নিম্নলিখিত কিছু দক্ষতা প্রদান করতে হবে:

  1. জাতীয় পরিচয় পত্র
  2. টিআইএন সার্টিফিকেট
  3. চাকরিজীবির ক্ষেত্রে অ্যাপয়েন্টমেন্ট লেটার বা স্যালারি সার্টিফিকেট এবং ৩ মাসের ব্যাংক স্টেটমেন্ট
  4. ব্যবসায়ীদের ক্ষেত্রে ট্রেড লাইসেন্স, Memorandum of Association এবং ৩ মাসের ব্যাংক ট্রানজেকশন স্টেটমেন্ট

এই সব দক্ষতা এবং প্রমাণপত্রগুলি নিয়ে ক্রেডিট কার্ড এর আবেদন পূর্ণ করতে হবে।

আপনি যদি কোন ব্যাংকে ফিক্সড ডিপোজিট ধারণ করছেন এবং তারা আপনার রাজী হয়, তাহলে আপনি সেই ব্যাংকে ক্রেডিট কার্ডের জন্য আবেদন করতে পারেন। আপনার ক্রেডিট কার্ডের ক্রেডিট লিমিট হবে তা ব্যাংক বা কার্ড সেবাদাতা প্রতিষ্ঠান আপনার তথ্য বিশ্লেষণ করে নির্ধারণ করবে।

ক্রেডিট কার্ড কিভাবে পাবো?

ক্রেডিট কার্ড পেতে হলে প্রথমে ক্রেডিট কার্ড পাওয়ার যোগ্যতা নিশ্চিত করতে হবে। যদি আপনার ক্রেডিট কার্ড পাওয়ার যোগ্যতা থাকে, তাদের জন্য আবেদন করতে খুব সহজ।

ব্যাংক অথবা অর্থিক সেবাদাতা প্রতিষ্ঠান (উদাহরণস্বরূপ, Shimanto Bank ) থেকে ক্রেডিট কার্ড পেতে হলে তাদের ক্রেডিট কার্ড বিভাগের প্রতিনিধির সাথে যোগাযোগ করতে হবে। তারপরে আপনি আপনার আয়ের উৎস, মাসিক আয়, ইত্যাদি তথ্য জমা দেওয়ার পর ক্রেডিট কার্ড বিভাগ থেকে আপনাকে পরবর্তী ধাপ সম্পর্কে অবহিত করবে।

ডাচ বাংলা ব্যাংক ক্রেডিট কার্ড-

ডাচ বাংলা ব্যাংক দ্বারা ২০০৮ সালে থেকে ভিসা ইএমভি ক্রেডিট কার্ড এবং ২০১০ সাল থেকে মাস্টারকার্ড ইএমভি ক্রেডিট কার্ড সেবা প্রদান করা হচ্ছে। বর্তমানে ডাচ বাংলা ব্যাংক প্রদত্ত ক্রেডিট কার্ড সমূহ হলোঃ

  1. মাস্টারকার্ড ক্লাসিক ইন্টারন্যাশনাল ক্রেডিট কার্ড
  2. মাস্টারকার্ড ক্লাসিক লোকাল ক্রেডিট কার্ড
  3. মাস্টারকার্ড গোল্ড ইন্টারন্যাশনাল ক্রেডিট কার্ড
  4. মাস্টারকার্ড টাইটেনিয়াম ক্রেডিট কার্ড
  5. ভিসা ক্লাসিক লোকাল ক্রেডিট কার্ড
  6. ভিসা গোল্ড ইন্টারন্যাশনাল ক্রেডিট কার্ড
  7. ভিসা প্ল্যাটিনাম ক্রেডিট কার্ড

উল্লিখিত ক্রেডিট কার্ড ছাড়াও, ডাচ বাংলা ব্যাংক অনেক ধরণের ক্রেডিট কার্ড প্রদান করে থাকে। সম্পর্কে আরও তথ্য জানতে, আপনি এখানে ক্লিক করতে পারেন: ডাচ বাংলা ব্যাংক ক্রেডিট কার্ড

FAQ-

ক্রেডিট কার্ডে কত টাকা খরচ হয়?

আদর্শভাবে, যদি প্রয়োজন হয়, আপনি যে কোনও ক্ষণে ফেরত দিতে পারেন, তা শুধুমাত্র প্রয়োজনমুলক সময়ে খরচ করা উচিত। তবে, 0% ইন্ট্রো এপিআর ক্রেডিট কার্ড ব্যবহারের সাথে আরও বেশি সুযোগ রয়েছে। একটি উচ্চ ক্রেডিট স্কোর অর্জন করতে, আপনার ক্রেডিট সীমার 30% এর বেশি ব্যয় করা উচিত নয় এবং এই ক্ষেত্রে আপনার অবশ্যই সতর্কতা অবলম্বন করা হচ্ছে।

ক্রেডিট কার্ড সারচার্জ এড়ানোর উপায়?

কিভাবে আপনি ক্রেডিট কার্ড সারচার্জ এড়াতে পারেন? একজন ভোক্তা হিসেবে, আপনি কতগুলি বিকল্প বিবেচনা করতে পারেন যেগুলি সারচার্জ এড়াতে সাহায্য করতে পারে। ক্রেডিট কার্ডের পরিবর্তে, নগদ অর্থ বা ডেবিট কার্ড ব্যবহার করে কেনাকাটা করলে কোনও সারচার্জ প্রয়োগ করা হয় না। এটা হলো সম্ভাব্য একটি বিকল্প যেখানে আপনি সারচার্জ এড়াতে হয়না। আপনি এমন ব্যবসায় কেনাকাটা করতে পারেন যেগুলি এই ফি চার্জ করে না, এবং এই বিকল্পগুলি বিবেচনা করতে অনুমতি দেয়।

ক্রেডিট কার্ড নিতে হলে কি করতে হবে?

এর জন্য আপনার নাশনাল আইডি কার্ড, দুইটি পাসপোর্ট সাইজ ছবি, পুরোনো ব্যাংক হিসাবপত্র, নমিনির পরিচয়পত্র এবং তার স্বাক্ষর ও ছবির দুটি কপির সাথে যোগাড় প্রয়োজন। এই সমস্ত তথ্যের সাথে ব্যাংক কর্তৃপক্ষে যাওয়া হবে এবং তাদের নির্দিষ্ট নিয়ম অনুযায়ী ক্রেডিট কার্ড প্রাপ্ত করার পদক্ষেপ নিতে হবে। তারা আপনার তথ্য যাচাই করবে এবং দেখবে যে আপনি ক্রেডিট কার্ড পেতে যোগ্য কি না।

ক্রেডিট কার্ড কত টাকা ব্যবহার করা যায়?

ক্রেডিট সীমা হল সর্বাধিক পরিমাণ, যা আপনি যেকোন সময়ে আপনার ক্রেডিট কার্ড ব্যবহার করে ব্যয় করতে পারেন। এই সীমা ক্রেডিট কার্ড প্রদানকারী দ্বারা নির্ধারণ করা হয়। আপনি চাইলে এটি প্রায় 30% এর মধ্যে ব্যয় করতে পারেন এবং এটির মাধ্যমে আপনি নির্ধারিত সীমা অতিক্রম করবেন না। এটি নিশ্চিত করবে যে আপনি একটি ভাল ক্রেডিট স্কোর বজায় রাখতে পারবেন।

আজকের শেষ কথা

বর্তমানে অধিকাংশ ব্যাংক ক্রেডিট কার্ড বিনামূল্যে ইস্যু করে থাকে। তবে, ব্যাংকের বিভিন্ন ধরণের ক্রেডিট কার্ডে বার্ষিক চার্জ ও আছে, ওটা ব্যাংক অথবা প্রতিষ্ঠানের নীতি অনুযায়ী ভিন্ন হতে পারে। অনেক ক্ষেত্রে, ক্রেডিট কার্ডের ব্যবহারের মাধ্যমে আপনি রিওয়ার্ড পয়েন্ট সংগ্রহ করে কিছু চার্জ মোকুফ করতে পারেন।

আমি ব্যাংকের ওয়েবসাইট থেকে সংগ্রহকৃত যাবতীয় তথ্যের আলোকে অথবা ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতা ভিত্তিক বলতে পারি যে, ব্যাংক স্থানীয় ও আন্তর্জাতিক বাজারে একেবারেই সবচেয়ে জনপ্রিয় ক্রেডিট কার্ড প্রদান করে এবং তাদের ধারকগণের জন্য বিভিন্ন ধরণের পুরস্কার এবং বড় সুযোগ প্রদান করে।

আমি আমার ক্রেডিট কার্ড ব্যবহার করি, এটি মোটামুটি প্রোজেক্ট ক্রয়ে, বিল পরিশোধে এবং অন্যান্য দৈহিক ক্রিয়াকলাপের জন্য ব্যবহার করি। ক্রেডিট কার্ড ব্যবহারের সাথে সাথে মাসিক স্টেটমেন্ট পরীক্ষা করি এবং আমার আয়ের মধ্যে রাখি যেন কোন প্রকারের বিশেষ চার্জ না হয়।

কোনো সাহায্য বা পরামর্শের প্রয়োজন হলে কমেন্টে জানাতে পারেন। ধন্যবাদ

Leave a Comment