বাংলাদেশে সবচেয়ে লাভজনক ব্যবসা কোনটি | বর্তমানে সবচেয়ে লাভজনক ব্যবসা ২০২৪

বর্তমানে সবচেয়ে লাভজনক ব্যবসা ২০২৪: বন্ধুরা আজকের আর্টিকেলে আমি আপনাদের সাথে বাংলাদেশে সবচেয়ে লাভজনক ব্যবসা কোনটি? এবং কিভাবে করবেন সে বিষয়ে ৩০ টি ব্যবসার আইডিয়া সম্পর্কে আলোচনা করবো।

আপনি কি বর্তমান সময়ে বাংলাদেশের সবচেয়ে লাভজনক ব্যবসা সম্পর্কে জানতে চান?

আপনার উত্তর যদি হ্যা হয় তাহলে আজকের আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে শেষ পর্যন্ত পড়ুন।

কেননা আজকের আর্টিকেলে আমি আপনাদের জন্য বর্তমানের সবচেয়ে লাভজনক ব্যবসা যেগুলো করে সবেয়েছে বেশি লাভবান হতে পারবেন তা নিয়ে ৩০ টি ব্যবসার আইডিয়া সম্পর্কে আলোচনা করেছি।

তো বন্ধুরা চলুন, বাংলাদেশের বর্তমান সময়ে সবচেয়ে লাভজনক ব্যবসা গুলো সম্পর্কে জেনে নেই।

এক নজরে দেখুন 👁‍🗨👁‍🗨

ব্যবসা কাকে বলে?

একজন ব্যক্তি কোনো পন্য বা সেবা উৎপাদন করে অথবা উপযোগ সৃষ্টি করে মানুষের বস্তুগত বা অবুস্তগত অভাব পুরন করার লক্ষে সেগুলো ব্যবহার এবং সহায়ক সকল বৈধ এবং ঝুঁকিপূর্ণ নিয়মিত কার্যক্রমকে ব্যবসা বলা হয়।

ব্যবসা কত প্রকার ও কি কি- Types of business

বন্ধুরা এতক্ষন আপনারা ব্যবসার পরিচয় সম্পর্কে জেনেছেন। এখন ব্যবসার প্রকারভেদ সম্পর্কে আপনাদের জানাবো। কারন আপনি  যদি একজন পেশাদার ব্যবসায়ী হতে চান তাহলে আপনাকে অবশ্যই ব্যবসার প্রকার গুলো সম্পর্কে ভালোভাবে জেনে নিতে হবে।

তাহলে আপনি কোন ধরনের ব্যবসা করে বেশি লাভ করতে পারবেন সেগুলোর বিষয়ে জানতে পারবেন। তাই ব্যবসার প্রয়োগ সম্পর্কে এখন আমরা বিস্তারিত জানব।

ব্যবসা মূলত চার প্রকার।

এখন ব্যবসার প্রকার সমূহ সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করা হলো-

১. খুচরা ব্যবসা- Retail business

খুচরা ব্যবসার জনপ্রিয়তা অনেক বেশি । কেননা খুচরা ব্যবসা যে কেউ শুরু করতে পারেন । এছাড়াও খুচরা ব্যবসা শুরু করার জন্য তুলনামূলকভাবে মূলধন অনেক কম লাগে।

আপনি চাইলে অল্প মূলধন বিনিয়োগ করেও নিজে নিজেই একটি যেকোনো ধরনের পন্যের খুচড়া ব্যবসা দাঁর করাতে পারেন।

আপনি চাইলে একটি কাপড়েরর দোকান, মুদি দোকান বা বইয়ের দোকান ইত্যাদি দিয়ে কম দামে কোন পণ্য ক্রয় করে তা খুব বেশি ভাবে বিক্রয় করে অধিক মুনাফা আয় করতে পারেন আপনার খুচরা ব্যবসা মাধ্যমে।

২. ডিলারশিপ ব্যবসা-

ডিলারশিপ ব্যবসা বর্তমানের একটি খুবই জনপ্রিয় স্থানীয় ব্যবসা হিসেবে পরিচিতি লাভ করেছে।

এই ডিলারশিপ ব্যবসার মাধ্যমে আপনি অধিক পরিমাণে পরিমাণে টাকা ইনকাম করতে পারবেন।

আপনি যদি নির্দিষ্ট কোন এলাকায় অবস্থান করেন তাহলে আপনি নিঃসন্দেহে ব্যবসা শুরু করে দিতে পারেন।

এতে প্রচুর লাভ রয়েছে।

আপনার এলাকায় পণ্য বিক্রয়ের ক্ষেত্রে শুধুমাত্র আপনি নিজেই যে কোম্পানির পণ্যগুলো ডিলারশিপ হিসেবে নিয়েছেন।

সেগুলো আপনি একাই আপনার নির্দিষ্ট জায়গাতে বিক্রয় করতে পারবেন ।সেখানে অন্য কোন ডিলারের পণ্য বিক্রয় করার সুযোগ নেই।

এর জন্য আপনাকে নিজের কোম্পানির ডিলার নিয়েছেন। সেই কোম্পানির পণ্যগুলো সঠিকভাবে সার্ভিস দিতে হবে এবং পণ্যগুলো নিয়মিত আপনার গোডাউনে মজুদ রাখতে হবে।

আপনি যদি নির্দিষ্ট কোন এরিয়া নিয়ে কাজ করতে চান তাহলে আপনি ব্যবসা নির্দ্বিধায় করতে পারেন।

৩. উৎপাদন ব্যবসা- Manufacturing business

উৎপাদন ব্যবসা বলতে তেমনটাই যেখানে নিজস্ব পণ্য বা সেবা উৎপাদন করা হয় । এবং উৎপাদিত পণ্য ভাষাভা গুলোকে বাজারজাত করা হয়।

এর জন্য প্রচুর দক্ষ জনবলের প্রয়োজন রয়েছে । আর উৎপাদিত পণ্য যে কোন ধরনের পণ্য হতে পারে।

এছাড়াও উৎপাদন ব্যবসা পরিচালনার জন্য আপনাকে অনেক বেশি মূলধন বিনিয়োগ করতে হবে।

৪. হাইব্রিড ব্যবসা- Hybrid business

হাইব্রিড ব্যবসা হল মূলত এক ধরনের বিশেষ ব্যবসা প্রক্রিয়া । যেখানে সকল ব্যবসার ধরন গুলোই বিদ্যমান রয়েছে।

যেমন-

পণ্য উৎপাদন, উৎপাদিত পণ্য বিক্রয়, এবং উৎপাদিত্যের পণ্য বিক্রি করার মাধ্যমে গ্রাহকদের সেবা প্রদান করা।

এই সকল সার্ভিসের সমন্বয়ে গঠিত মূলত হাইবিড ব্যবসা।

হাইব্রিড ব্যবসা করার জন্য আপনাকে উপরের গুণাগুণ গুলি থাকতে হবে।

তবে উপরের তিনটি গুণ যদি আপনার ব্যবসার মধ্যে না থাকে তাহলে আপনি হাইড্র ব্যবসা করতে পারবেন।

যেমন ধরুন-

আপনি কোন পুরাতন ফার্নিচারের ব্যবসা শুরু করলেন এখানে শুধু আপনি সেগুলো শুধুমাত্র রিটেল বিক্রি এবং সেবা প্রদান দুই ধরনের সার্ভিস পেয়ে যাচ্ছেন।

তাই এটিও হাইব্রিড ব্যবসার আওতাধীন রয়েছে।

৫. সেবা ব্যবসা- Service business

সার্ভিস বিজনেস হলো এমন ধরনের একটি বিজনেস যেখানে মূলত গ্রাহকদের সেবা বিক্রয় করা হয়।

এই ধরনের ব্যবসাগুলোতে মূলত গ্রাহকদের চাহিদা অনুযায়ী সেবা তৈরি করা হয়ে থাকে এবং গ্রাহকদের রুচিসম্মত সেবাগুলো তাদের কাছে বিক্রয় করা হয়ে থাকে।

এই ধরনের ব্যবসা যেমন- ইভেন্ট প্লানিং, উবের রাইড, কোচিং ক্লাস, রিয়েল এস্টেট ইত্যাদিতে প্রচুর লাভ করা যায়।

প্রকৃতি এবং গঠন এর উপর ভিত্তি করে ব্যবসার প্রকারভেদ সমূহ-

আমরা উপরে ব্যবসার কিছু প্রকারভেদ সম্পর্কে জানতে পেরেছি।

এখন আমরা ব্যবসার প্রকৃত এবং গঠনের উপর লক্ষ বা ভিত্তি করে এর প্রকারভেদ গুলো যেমন-

ব্যবসায়ীর যোগ্যতা, জ্ঞান, ব্যবসার আকার, বিজনেসের এলাকা, ব্যবসায়ী দের সংগঠন, ব্যবসায়ীর রিস্ক নেওয়ার ক্ষমতা ইত্যাদি বিষয় সম্পর্কে বিস্তারিত জানব।

ব্যবসার প্রকৃত এবং গঠন এর ওপর নির্ভর করে ব্যবসাকে মূলত তিনভাবে ভাগ করা যায়। যেমন-

  1. একক মালিকানা (Sole-proprietorship)
  2. অংশীদারিত্ব (Partnership)
  3. কোম্পানি (Company)

১. একক মালিকানা- Sole-proprietorship

একক মালিকানা এমন এক ধরনের ব্যবসা যার নিয়ন্ত্রন শুধুমাত্র একজন মালিকের উপর নির্ভর করে। অর্থাৎ একক মালিকানার একজন মালিক হয়ে থাকেন।

ব্যবসার সকল সিদ্ধান্ত তিনি একাই গ্রহণ করে থাকেন। ব্যবসার সকল লাভ এবং ক্ষতির অংশিদারও তিনি একই হয়ে থাকেন।

আইনের দৃষ্টিতেও একক ব্যবসা এবং ব্যবসায়ী উভয় একই ব্যক্তিকেই ধরা হয়ে থাকে।

২. অংশীদারিত্ব- Partnership

যখন কোনো ব্যবসায় দুই বা ততোধিক ব্যক্তির মাধ্যমে প্রতিষ্ঠিত বা পরিচালিত হয় সেই তখন ব্যবসাকে অংশীদারিত্ব বা যৌথ ব্যবসা বলা হয়।

সহজ কথায়, যে ব্যবসার একাধিক অংশীদার রয়েছে তাকেই অংশীদাত্বি বা পার্টনারশীপ ব্যবসা বলা হয়।

এই ধরণের পার্টনারশীপ ব্যবসার প্রতিষ্ঠার জন্য কমপক্ষে দুজন ব্যক্তির প্রয়োজন হয়।

অংশীদারিত্ব ব্যবসাতে লাভ-লস এর সমান ভাবে বন্টন হয় সকল অংশীদারদের মাঝে।

৩. কোম্পানি- Company

অধিকপরিমাণে লাভের আশায় মূলত একটি কোম্পানি প্রতিষ্ঠিত হয়ে থাকে। একটি প্রতিষ্ঠানে সম্পূর্ণ মূলধন হস্তান্তরযোগ্য।

যেখানে রেজিস্ট্রেশন করার জন্য একজন কৃত্তিম বৃক্তি হিসেবে কোম্পানি আইনের অধীনে হয়।

কোম্পানি বিভিন্ন ধলনের হতে পারে। যেমন-

এক মালিকানা কোম্পানি, যৌথ মালিকানা কোম্পানি, পাবলিক কোম্পানি, সরকারি কোম্পানি ইত্যাদি।

তবে, প্রতিটি আলাদা আলাদা কোম্পানির জন্য আলাদা আলাদা বৈশিষ্ট রয়েছে।

আর কোম্পানির শেয়ার হোল্ডাররা হলেন কোম্পানির প্রকৃত মালিক এবং কোম্পানির লাভের অংশগুলো তারা শেয়ার অনুযায়ী সঠিকভাবে পাবেন।

লাভজনক ব্যবসার বৈশিষ্ট্য সমূহ-

ব্যবসা করার জন্য আমাদের অবশ্যই কিছু নিয়ম কানুন মেনে চলার মাধ্যমে ব্যবসায় কার্যক্রম পরিচালনা করতে হয়। যেগুলো না থাকলে কখনোই ব্যবসা করে লাভবান হওয়া যায় না। ব্যবসার বৈশিষ্ট্য যেমন-

  • সততা
  • নিষ্ঠাবান
  • আন্তরিকতা
  • সীমিত লাভ

সততা-

ব্যবসা করার আগে আমাদেরকে অবশ্যই মনে রাখতে হবে সততা ব্যবসার মূল চাবিকাঠি। কেননা সততা ছাড়া ব্যবসার অস্তিত্ব কল্পনাই করা যায়।

তাই যখন আপনি কোন ব্যবসা শুরু করবেন তখন অবশ্যই আপনার ব্যবসায় সব সময় সততা প্রদর্শন করতে হয় । তাহলে আপনি দ্রুত ব্যবসা থেকে লাভবান হতে পারে।

নিষ্ঠাবান-

প্রকৃত ব্যবসায়ীরা কখনো ওজনে কম দেওয়া, মন্দ জিনিস দেওয়া ইত্যাদি কোনো ভাবেই ক্রেতাকে ঠকায় না।

কেননা আপনি যদি মানুষকে ঠকবাজি করে ব্যবসা করেন, তাহলে একসময় মানুষ আপনার কাছ থেকে পণ্য কেনা বাদ দিবে।

তখন আপনি কোন পণ্য বিক্রি করার জন্য কাস্টমার খুঁজে পাবেন না। যার ফলে আপনার ব্যবসা জগতে টিকে থাকা অসম্ভব হয়ে পড়বে।

আন্তরিকতা-

আপনি যদি একজন সফল ব্যবসায়ী হতে চান তাহলে অবশ্যই আপনাকে বিনয়ী, খুবই আন্তরিক এবং ভালো ব্যবহারকারী হতে হবে ।

আরো জানুন, 

কেননা আপনার ব্যবহারে যেন কেউ কষ্ট না পায় এ বিষয়ে খেয়াল রাখতে হবে। আপনার ব্যবহার কথাবার্তায় যেন লোকে সব সময় সন্তুষ্ট থাকে সেদিকেও খেয়াল রাখতে হবে।

আপনার কথাবার্তা যদি কোন কাস্টমার বিরক্ত হয়। তাহলে, সে আর দ্বিতীয়বার আপনার কাছে কোন কিছু ক্রয় করতে আসবেনা এতে করে আপনি সহজেই কাস্টমার হারাবেন।

সীমিত লাভে পন্য বিক্রয়-

লাভজনক ব্যবসার সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ আরেকটি বৈশিষ্ট্য হলো কমলাভে পণ্য বিক্রয় করা। যখন আপনি অন্যান্য ব্যবসায়ীদের তুলনায় আপনার পণ্যগুলো সীমিত লাভে বিক্রয় করবেন।

তখন আপনি অধিক পরিমাণে কাস্টমার পেয়ে যাবেন। এতে আপনার ব্যবসা খুব দ্রুত প্রচার, প্রসার ঘটবে।

বাংলাদেশে বর্তমানে সবচেয়ে লাভজনক ব্যবসা কোনটি?

বর্তমানে সবচেয়ে লাভজনক ব্যবসা , বাংলাদেশে সবচেয়ে লাভজনক ব্যবসা কোনটি , বর্তমানে সবচেয়ে লাভজনক ব্যবসা ২০২৪ , ১০ হাজার টাকায় ২৫ টি ব্যবসার আইডিয়া , বিনা পুজিতে লাভজনক ব্যবসা , ৫০ হাজার টাকায় ব্যবসা , স্মার্ট ব্যবসা আইডিয়াবর্তমানে সবচেয়ে লাভজনক ব্যবসা

বাংলাদেশে বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন রকমের ব্যবসা করা যায়। তবে বাংলাদেশের সবচেয়ে লাভজনক কয়েকটি ব্যবসা-

  1. ঠিকাদারী ব্যবসা
  2. খাবারের হোটেল ব্যবসা
  3. কাপড়ের ব্যবসা
  4. ফটোকপির ব্যবসা
  5. মোবাইল সার্ভিসিং ব্যবসা
  6. ঔষধ ফার্মেসী ব্যবসা
  7. ডিজিটাল মার্কেটিং
  8. হকারী ব্যবসা
  9. মাছ চাষের ব্যবসা
  10. কাচা বাজারের ব্যবসা

কি ধরনের ব্যবসা করা যায়?

বর্তমান সময়ে আপনি বিভিন্ন ধরনের ব্যবসার পাবেন যেগুলোর মধ্য থেকে আপনি আপনার পছন্দের ব্যবসাটি করতে পারবেন। যেমন-

  • ইন্টারনেট বা ওয়ায়ফাই ব্যবসা
  • কাপড়ের ব্যবসা
  • জুতার ব্যবসা
  • ফাস্টফুড এর ব্যবসা
  • খাবার হোটেল ব্যবসা
  • ফার্মেসী ব্যবসা
  • পশুপালন
  • কসমেটিক্স পণ্যের ব্যবসা
  • পুরাতন মোবাইল ক্রয়-বিক্রয়
  • কাঁচামালের ব্যবসা
  • মাছ চাষ
  • পুরাতন কম্পিউটার, ল্যাপটপ ক্রয়-বিক্রয়

বর্তমানে সবচেয়ে লাভজনক ৩০ টি ব্যবসা আইডিয়া- 

বর্তমান সময়ে করার মতো ব্যবসাগুলো ছোট বড় সব সব রকমের ব্যবসা লাভজনক হতে পারে।

তাছাড় এই লাভজনক ব্যবসাগুলো গ্রাম বা শহরের যে কোনো যায়গা যেখানে যে ব্যবসা করার মতো পরিবেশ রয়েছে সেখানেই সেই ব্যবসাটি করতে পারবেন।

জন্ম নিবন্ধন যাচাই করে কিভাবে? জন্ম নিবন্ধন সনদ যাচাই করার নিয়ম

বন্ধুরা চলুন এখন আমরা বাংলাদেশের সবচেয়ে লাভজনক ব্যবসাগুলোর মধ্য থেকে ৩০ টি ব্যবসার আইডিয়া সম্পর্কে জানবো।

১. লাভজনক ইলেকট্রনিক্স পণ্যের ব্যবসা-

বিভিন্ন ধরনের ইলেকট্রনিক্স পণ্যের অধিকতর ব্যবহারের কারণে আমরা আজ ডিজিটাল বাংলাদেশ গঠন করতে পেরেছি। ডিজিটাল বাংলাদেশ গঠনে ইলেকট্রনিক্স পণ্যের অবদান খুবই গুরুত্বপূর্ণ।

বিভিন্ন ধরনের ইলেকট্রনিক্স পণ্য যেমন- রাইস কুকার, প্রেসার কুকার, ফ্রাইপেন মাইক্রোওভেন, হটপট ইত্যাদির মতো পণ্যগুলো আমাদের নিত্য প্রয়োজনীয় হওয়ায় এগুলোর প্রচুর চাহিদা রয়েছে।

বিভিন্ন কোম্পানিগুলো এসব পন্য প্রতিদিনই প্রচুর পরিমানে বিক্রয় করে থাকে।

তাই আপনি চাইলে এসব ইলেকট্রনিক্স পণ্যগুলোর ব্যবসা শুরু করতে পারেন। বিভিন্ন কোম্পানির কাছ থেকে পণ্যগুলো ক্রয় করে আপনি অধিক করে খুচরা দরে বিক্রি করে অনেক লাভবান হতে পারেন।

২. লাভজনক মেডিসিন ফার্মেসী ব্যবসা-

বাংলাদেশের সবচেয়ে সৌখিন ও জনপ্রিয় ব্যবসা গুলোর মধ্যে সবচেয়ে লাভজনক ব্যবসা হলো ঔষধের ফার্মেসী ব্যবসা।

চিকিৎসা মানুষের একটি মৌলিক অধিকার। তাই মানুষের জন্ম থেকে মৃত্যু পর্যন্ত বিভিন্ন ধরনের ঔষধের প্রয়োজন হয়ে থাকে।

তাই আপনি একটি ওষুধের ফার্মেসির দোকান দিয়ে এই ব্যবসাটি শূরু করতে পারেন।

মেডিসিন ফার্মেসীর ব্যবসাতে আপনি প্রচুর পরিমাণে কাস্টমার পেয়ে যাবেন এবং ভালোপরিমাণে লাভ করতে পারবেন।

৩. কাপড়ের ব্যবসা-

বর্তমানে সবচেয়ে আরেকটি লাভজনক ব্যবসা হচ্ছে কাপড়ের ব্যবসা। কাপড় মানুষের মৌলিক অধিকারগুলোর একটি অন্যতম অধিকার।

এছাড়াও আমরা প্রতিনিয়ত বিভিন্ন ধরনের কাপড়ের তৈরি পোশাক ক্রয় করে ব্যবহার করে থাকে।

বাংলাদেশের বিভিন্ন গার্মেন্টস ফ্যাক্টরি রয়েছে তারা বাংলাদেশ থেকে তৈরি পোশাক গুলো বিদেশে রপ্তানি করছে।

যার ফলে বৈদেশিক মুদ্রা আয় করার মাধ্যমে রেমিটেন্স অর্জনে গুরুত্ব পূর্ণ ভূমিকা পালন করছে।

কাপড়ের ব্যবসা সত্যিই একটি লাভজনক ব্যবসা।

তাই আপনি চাইলে একটি কাপড়ের দোকান দিয়ে সেখানে গ্রাহকের চাহিদা মত বিভিন্ন ধরনের তৈরি পোশাক সংগ্রহ করে সেগুলোকে বিক্রি করে ভালো পরিমানে লাভ করে ব্যবসা প্রসার করতে পারেন।

৪. পুরাতন ফার্নিচার ব্যবসা-

বর্তমানে পুরাতন ফার্নিচর বিক্রির ব্যবসা হলো অনেক লাভজনক একটি ব্যবসা। অনেকেই আছেন যারা ভিন্নসময় বাসা পরিবর্তনের কারণে তাদের পুরাতন ফার্নিচার গুলো নতুন বাসায় না নিয়ে সেগুলো কম দামে বিক্রি করে দেন।

আবার এমন অনেকে রয়েছেন যারা অনেক বেশি টাকা খরচা হওয়ার কারণে নতুন ফার্নিচার কিনতে অনিহা প্রকাশ করেন।

তাই তারা খুব কম দামে পুরাতন ফার্নিচার গুলো কিনতে পুরাতন ফার্নিচারের দোকানে গিয়ে কিনে থাকেন।

তবে পুরাতন ফার্নিচারের দোকান কম পাওয়া যায় । তাই আপনি এই সুযোগটি কাজে লাগিয়ে পুরাতন ফার্নিচারের ব্যবসা শুরু করতে পারেন।

বিভিন্ন জায়গা থেকে পুরাতন ফার্নিচার গুলো কম দামে ক্রয় করে সেগুলো আপনার দোকানে সংরক্ষণ করে রাখুন। এরপর আপনি পুরাতন ফার্নিচার বিক্রি প্রচার-প্রচারণা চালাতে থাকুন।

যাদের প্রয়োজন ফার্নিচারের প্রয়োজন পড়বে তখন তারা আপনার কাছ থেকে ফার্নিচার গুলো কিনে থাকবে।

আপনি এভাবে কম দামে পুরাতন ফার্নিচার কিনে বেশি দামে বিক্রি করার মাধ্যমে সবচেয়ে বেশি পরিমাণে টাকা লাভ করতে পারবেন।

৫. লাভজনক খাবারের হোটেল ব্যবসা-

খাদ্য আমাদের জাতীয় জীবনে মৌলিক অধিকার গুলোর মধ্যে একটি গুরুত্বপূর্ণ অধিকার।

আমরা সবােই কমবেশি খাবারের হোটেলে গিয়ে বিভিন্ন সময় বিভিন্ন ধরনের খাবার খেয়ে থাকি।

এর জন্য আমাদের অনেক বেশি টাকা খরচ হয়ে থাকে বাসায় খাবার খাওয়ার তুলনায়। ফলে, হোটেল মালিকরা ভালো পরিমানে লাভ করে থাকে আমাদের কাছ থেকে।

তাই আপনিও চাইলে এরকম একটি খাবারের হোটেল দিয়ে বিভিন্ন ধরনের খাবার তৈরি ও পরিবেশ করে হোটেল ব্যবসা শুরু করতে পারেন।

এছাড়াও আপনি চাইলে বিভিন্ন ধরনের ঘরোয়া খাবার তৈরি করে অনলাইনের মাধ্যমেও খাবারের ব্যবসাটি করতে পারেন।

এর জন্য স্বাস্থ্যসম্মত ও সুস্বাদু খাবার তৈরি করে মানুষের ভালো লাগার মতো মন জয় করতে হবে এবং দামের ক্ষেত্রে স্বল্প লাভে বিক্রি করতে হবে।

খাবার গুলোকে অনলাইনে বিভিন্ন আইটেম অনুযায়ী দাম এবং বিস্তারিত তথ্য দিয়ে প্রচার করতে হবে। যখন কেউ অনলাইনে খাবার গুলো পছন্দ করবে তখন তারা অর্ডার করে থাকবে।

এরপর আপনাকে অর্ডার অনুযায়ী খাবারগুলো বাসায় গিয়ে পৌঁছে দিতে হবে। তাছাড়াও আপনাকে প্রচুর পরিমানে প্রচার প্রচারণা চালাতে হবে । তবেই আপনি এই ব্যবসা থেকে ভালো পরিমানে লাভবান হতে পারবেন।

৬. ডিজিটাল মার্কেটিং ব্যবসা-

বর্তমান তথ্যপ্রযুক্তির যুগে আমরা অফলাইনের পরিবর্তে অনলাইনের মাধ্যমে ডিজিটাল মার্কেটিং এর মাধ্যমে বিভিন্ন ধরনের ব্যবসা বাণিজ্য পরিচালনা করতে পারে।

ডিজিটাল মার্কেটিং করার জন্য বিভিন্ন ধরনের ই-কমার্স সাইট যেমন- Amazon, Flipkart, Snapdeal ইত্যাদি রয়েছে।

যেগুলোর মাধ্যমে খুব সহজেই নিজের ঘরে বসেই ব্যবসা করা যায় খুব সহজেই।

তাছাড়া ডিজিটাল মার্কেটিং করার জন্য আমরা ফেসবুক, ইউটিউব, ইউটিউব, ইনস্ট্রাগ্রাম ইত্যাদির মাধ্যমেও বিভিন্ন ধরনের পণ্য বিক্রি করতে পারি।

এর জন্য আমাদের যা করতে হবে । ফেসবুক একাউন্টে একটি পেজ বা গ্রুপ খুলে নিতে হবে এবং সেখানে সে ব্যবসাটি আমরা করতে চাই সেটির সম্পর্কে কিছু বিবরণ দিতে হবে।

এরপর ব্যবসার সাথে জড়িত বিভিন্ন ধরনের প্রোডাক্টগুলো লিস্ট আকারে তুলে ধরতে হবে।

প্রোডাক্ট লিস্টের সময় অবশ্যই প্রোডাক্ট সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য, দাম এবং মোবাইল নাম্বার বা যোগাযোগের উপায় উল্লেখ করে দিতে হবে।

এর পর যখন কেউ আপনার প্রোডাক্ট গুলো দেখে চয়েস করবে তখন তারা আপনাকে মেসেজ করবে।

আপনি কনফার্ম করে তাদের কাছে আপনার প্রোডাক্ট গুলো বিক্রি করতে পারবেন। এভাবে মূলত ডিজিটাল মার্কেটিং এর কার্যক্রম করা হয়ে থাকে।

৭. জুতা তৈরি করার ব্যবসা-

আমাদের নিত্যপ্রয়োজনীয় পন্যগুলোর মধ্যে আরেকটি প্রয়োজনীয় পন্য হলো জুতা। আপনি চাইলে এই জুতা তৈরির ব্যবসাটিও শুরু করতে পারেন।

খুবই কম টাকায় একটি জুতা বানানোর মেনিশ কিনে এই ব্রবসা শুরু করা যায়। নিজের বাসায় বসে মেশিন দ্বার তৈরি করা জুতাগুলো আপনি বাজারে অথবা অনলাইনের মাধ্যমেও বিক্রি করতে পারবেন।

যখন আপনার মার্কেটে জুতার চাহিদা বেড়ে যাবে তখন আপনি আরো কিছু কারিগর রেখে জুতার একটি ফ্যাক্টরি বানিয়ে ফেলতে পারবেন।

আপনি লখ্ষ করলে দেখবেন যে আপনার গ্রামে বা বাজারে কিছু কিছু সময় ভ্যানে করে দুই একজন জুতা বিক্রি করছে একেবারে কম দামে।

মূলত এরাই জুতা নিজে তৈরি করে অথবা কারোর তৈরি জুতা কারখানা থেকে পাইকারি দরে কিনে এনে সিমিত লাভে বিক্রি করে থাকে।

লাভ সিমিত দেখা গেলেও জুতা নিজে তৈরি করে বিক্রর ব্যবসাতে অনেক লাভ হয়ে থাকে।

৮. বিভিন্ন ধরনের কোর্স বিক্রি ব্যবসা-

আপনার যদি ভালো পরিমাণে মেধা লেগে থাকে এবং আপনি যদি কোন বিষয়ের ভালো অভিজ্ঞ হয়ে থাকেন । আপনি তাহলে সেই বিষয়টি নিয়ে ভালো মানের একটি কোর্স তৈরি করে নিতে পারেন।

তারপর সেগুলো অনলাইনের মাধ্যমে অথবা অফলাইনে বিক্রি করতে পারেন।

আপনার তৈরি করা কোর্স হতে পারে যে কোনো শিক্ষনীয় বিষয়ের পিডিএফ ফাইল, অডিও অথবা ভিডিও।

৯. পুরাতন কমি্পউটার বা ল্যাপটপ ক্রয়-বিক্রয়:

বর্তমানে নতুন কম্পিউটার, ল্যাপটপ এর পাশাপাশি পুরাতন কম্পিউটার, ল্যাপটপের ও চাহিদা দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে।

অনলাইন মার্কেটপ্লেসে এবং বিভিন্ন শহরেও পুরাতন কম্পিউটার বা ল্যাপটপের দোকান পাওয়া যায়।

নিয়ে চাইলে অনেক কম দামে পুরাতন কম্পিউটার, ল্যাপটপ সেগুলো বেশি দামে বিক্রয় করতে পারেন একটি পুরাতন কম্পিউটার বিক্রির দোকান দিয়ে।

অথবা অনলাইনে ডিজিটাল মার্কেটিং করেও পুরাতন কম্পিউটার, ল্যাপটপ বিক্রি করতে পারবেন।

পুরাতন কম্পিউটার এবং ল্যাপটপের ব্যবসা হলেও এতে আপনি নতুন কম্পিউটার বা ল্যাপটপের চেয়ে তুলনামূলক বেশি লাভ করতে পারবেন।

১০. ডিজিটাল মার্কেটিং এজেন্সি-

বর্তমানে অনেক কোম্পানি রয়েছেন যারা তাদের প্রোডাক্টগুলো বিভিন্নভাবে অনলাইনের মাধ্যমে মার্কেটিং করে থাকেন।

ফলে খুব তাড়াতাড়ি তাদের পণ্যগুলো অনেকবেশি প্রচার হয়ে থাকে।

আপনি চাইলে ডিজিটাল মার্কেটিং এজেন্সি করে ইনকাম করার জন্য্ আপনার নিজের নামে একটি digital marketing agency তৈরি করে নিতে হবে।

আর আপনি আপনার নিজের ঘরে বসেই ডিজিটাল মার্কেটিং এজেন্সির মাধ্যমে বিভিন্ন ওয়েবসাইট বা কোম্পানির মার্কেটিং এর কাজ করে খুব সবচেয়ে বেশি পরিমানে লাভ করতে পারবেন।

বর্তমানে অনলাইন জগতে ডিজিটাল মার্কেটিং এজেন্সি এর প্রচুর চাহিদা রয়েছে।

একজন প্রফেশনাল ডিজিটাল মার্কেটার নিজের ঘরে বসেই প্রতি মাসে লাখ টাকা ইনকাম করেন।

১১. ট্রাভেল এজেন্সি ব্যবসা-

ট্রাভেল এজেন্সি ব্যবসা বর্তমানের একটি উন্নতমানের সবচেয়ে লাভজনক ব্যবসা। কারণ প্রতিদিন মানুষ কম বেশি বিভিন্ন জায়গায় ভ্রমণ করে থাকেন।

তারা বিভিন্ন জায়গায় ভ্রমন করার জন্য  flight ticket, train ticket, hotel booking বা সম্পূর্ণ holiday trip  বুকিং করে থাকেন।

ভ্রমন করার সময় অনেকেরই নিজস্ব সময় না থাকার কারণে  ticket ও hotel booking করার জন্য বিভিন্ন ট্রাভেল এজেন্টদের কাছ থেকে বুকিং করে থাকেন।

তাই আপনি একজন ট্রাভেল এজেন্সি হিসেবে ব্যবসাটি শুরু করে ট্রাভেল এজেন্ট হিসেবে এসকল বুকিং এর কাজ করে দেওয়ার মাধ্যমে ভালো লাভ করতে পারবেন।

১২. ব্লগিং ব্যবসা-

বর্তমান সময়ে অনলাইনে খুবই জনপ্রিয় এবং সবচেয়ে লাভজনক অনলাইন ব্যবসা হল ব্লগিং ( blogging) ব্যবসা।

আপনি চাইলে  নিয়মিত ব্লগিং করে দিনে মাত্র দুই থেকে তিন ঘন্টা সময় ব্যয় করে প্রতি মাসে ভালো পরিমানে টাকা ইনকাম করতে পারবেন।

তবে এর জন্য আপনাকে প্রথম অবস্থায় কঠোর পরিশ্রম ও ধৈর্য সহকারে কাজ করতে হবে।

বর্তমানে বাংলাদেশের অনেক তরুন তরুনী রয়েছেন যারা বিভিন্ন দেশের সাথে তাল মিলিয়ে নিজেদের ঘরে বসেই অনলাইনের মাধ্যমে ব্লগিং করে  মাসে ভালো পরিমাণের টাকা ইনকাম করছেন।

আপনি যদি একজন ব্লগার হিসেবে কাজ করতে চান , তাহলে প্রথমেই আপনাকে একটি ফ্রী ব্লগ তৈরি করে নিতে হবে।

অতঃরপর আপনি আপনার নিজের ব্লগে বিভিন্ন ধরনের আর্টিকেল লিখে পাবলিশ করে গুগল এডসেন্স এর এপ্রুভাল পেয়ে গুগল এর মাধ্যমে ভালো পরিমানে টাকা ইনকাম করতে পারবেন।

আর যদি আপনি একজন প্রফেশনাল ব্লগার হিসেবে নিজের ক্যারিয়ার গঠন করতে চান? তাহলে ওয়ার্ডপ্রেস দিয়ে ওয়েবসাইট তৈরি করে নিন।

এর জন্য আপনাকে কিছু টাকা খরচ করে ওয়েবসাইট তৈরি করে নিতে হবে।

যখন আপনি একজন সফল ব্লগার হয়ে যাবেন, তখন খুব ভালো একটি পজিশনে আপনি আপনার ক্যারিয়ার গঠন করতে পারবেন।

১৩. কোচিং সেন্টার ব্যবসা-

আপনি যদি পড়াতে ভালো পান তাহলে, কোচিং সেন্টার চালু করে ছাত্র-ছাত্রীদেরকে পড়াতে পারেন। এর জন্য আপনাকে একটি রুম ভাড়া করে নিতে হবে।

তাছাড়াও আপনার বাসায় যদি পড়ানোর মতো পরিবেশ এবং আলাদা রুম থাকে তাহলে সেখানে আপনি স্টুডেন্টদেরকে ডেকে নিয়ে কোচিং সেন্টার পরিচালনা করতে পারবেন।

আপনার যদি কোচিং সেন্টার দেওয়ার মতো কোন রুম না থাকে তাহলে চিন্তার কিছু নেই।

আপনি নিয়মিত বাসায় গিয়ে টিউশনি করিয়ে ভালো পরিমাণে টাকা ইনকাম করতে পারবেন।

১৪. মোবাইল সার্ভিসিং ব্যবসা- 

আপনি চাইলে যে কোন জায়গায় মোবাইল সার্ভিসিং এর দোকান দিয়ে ভালো লাভ করতে পারবেন ব্যবসাটি করে।

আরো পড়ুন, 

আমরা প্রায় সবাই বিভিন্ন ধরনের মোবাইল ফোন ব্যবহার করে থাকি।

আর এই ডিভাইস গুলো ইলেকট্রনিক ডিভাইস হওয়ার কারণে এগুলোর সমস্যা হওয়ায়টাই স্বাভাবিক।

এই ব্যবসা করার জন্য যে কোনো বাজারে নির্দিষ্ট একটি দোকান দিতে হবে । তারপর  মোবাইল সার্ভিসিং করার জন্য যন্ত্রাংশ কিনতে হবে।

ছোট ব্যবসা হলেও এই ব্যবসার মাধ্যমে বেশি লাভ করা যায়।

১৫. চানাচুর এবং ঝাল মুরি বিক্রি ব্যবসা-

সবেচেয়ে বেশি লাভজনক আরেকটি ব্যবসা হলো চানাচুর এবং ঝাল মুরির বিক্রির ব্যবসা।

ঝালমুড়ি বিক্রি করার জন্য আপনাকে নির্দিষ্ট কোন দোকানের প্রয়োজন দিতে হবে না।

এ ব্যবসাটি আপনি পায়ে হেঁটে ঘুরে ঘুরেই অথবা একটি ভ্যান গাড়িতে করে নিয়েও করতে পারবেন।

গ্রামের বাড়িতে বাড়িতে গিয়ে অথবা বাজারে, শহরের অলিতে-গলিতে সবখানেই করতে পারবেন এই ব্যবসাটি।

তবে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসহ অফিস, আদালত এবং লোকজনের কোলাহলপূর্ণ জায়গায় বেশি  বিক্রি করা যায়  এবং ব্যবসাটি করে বেশি পরিমানে করা যায়।

১৬. আচারের ব্যবসা-

চানাচুর-ঝালমুরি বিক্রি করার মতো আচারের ব্যবসা করতে পারেন গ্রাম এবং শহরের যে কোনো যায়গায়।

তাছাড়াও এই ব্যবসাটি অল্প পুঁজিতেও শুরু করা যায়।

আপনাকে এই ব্যবসাটি করার জন্য বিভিন্ন ধরনের টেস্টি আচার বানিয়ে সেগুলো লোকদেরকাছে বিক্রয় করতে হবে।

তবে লোকে আচার গুলো খাওয়ার পরে আবার যেন খেতে চায় এমন ধরনের টেস্টি, মজাদার আচার বানাতে হবে।

তাহলে আপনি এই ব্যবসাটিকে দ্রুত সফল করে তুলতে পাববেন । এবং বেশি পরিমানে লাভ করতে পারবেন।

১৭. দর্জি ব্যবসা-

আপনার যদি দর্জি কাজ জানা থাকে তাহলে আপনি আপনার উপযুক্ত দক্ষতা ও অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগিয়ে দর্জি ব্যবসা শুরু করে দিন।

এই ব্যবসার মাধ্যমে আপনি বেশি পরিমাণে লাভ করতে পারবেন।

তার জন্য আপনাকে নিত্য নতুন কৌশল গুলো অবলম্বন করতে হবে। যেমন-

  • হোম ডেলিভারির ব্যবস্থা করা
  • নিত্যনতুন ডিজাইনের পোশাক তৈরি করা
  • ২৪ ঘন্টা সার্ভিস প্রদান করা

যার ফলে আপনার অনেক জনপ্রিয়তা বেড়ে যাবে। আপনি খুব সহজেই বেশি পরিমাণে কাস্টমার পেয়ে যাবেন । ফলে আপনি বেশি পরিমানে লাভ করতে পারবেন।

১৮. ফলের ব্যবসা-

আমাদের শরীর স্বাস্থ্য ঠিক রাখার জন্য ফল গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে । তাই আমরা সবাই কমবেশি ফল ক্রয় করে থাকি।

আমাদের দেশীয় ফলের পাশাপাশি বিদেশি ফলগুলোর চাহিদাও দিন দিন বেড়েই চলেছে। যদি এই ফলের ব্যবসা শুরু করবেন বলে চিন্তা করে থাকেন।

তাহলে আর দেরি না করে ব্যবসাটি শুরু করে দিন কারণ এই ব্যবসা মাধ্যমে আপনি বেশি পরিমাণে লাভবান হতে পারবেন।

তবে আপনাকে সব সময় চাহিদা অনুযায়ী সকল ফলের সরবরাহ করতে হবে।

কিভাবে ফেসবুক থেকে টাকা আয় করা যায়? (ফেসবুক থেকে আয় করার সেরা উপায়)

১৯. কাগজের ডিলারশীপ ব্যবসা-  

বর্তমানে আমাদের কাগজের প্রচুর চাহিদা রয়েছে। সাধারণত একটি জেলায় যে কোন কোম্পানির দুই একজন কাগজের ডিলার হয়ে থাকে। তাই তারা প্রচুর পরিমাণে লাভ করে থাকে।

আপনি চাইলে কাগজের ডিলারশিপ জেলা অথবা উপজেলা নিতে পারেন অথবা নির্দিষ্ট একটি এরিয়া সিলেক্ট করে সেখানে কাগজের ব্যবসাটি করতে পারেন।

এই ব্যবসা করার জন্য আপনাকে কোম্পানি ডিলারশিপ নিতে হবে।

তারপর আপনি কোম্পানির কাগজগুলো নির্দিষ্ট মূল্যের চেয়ে লাভসহ দরে বিক্রয় করে বেশি পরিমাণে লাভ করতে পারবেন।

২০. ফুলের ব্যবসা-

আমরা সবাই কম বেশি বিভিন্ন অনুষ্ঠানে ফুলের ব্যবহার করে থাকি। এই ব্যবসাটি সচরাচর দুই এক জনে করে থাকেন । তবে এই ব্যবসাতে বেশি লাভ করা হয়।

ব্যবসাটি ছোট হলেও এর প্রচুর বিক্রি হয়ে থাকে।

বর্তমানে প্রাকৃতিক ফুলের পাশাপাশি কৃত্তিম ফুলেরও চাহিদা বাড়ছে।

যেমন কোনো অনুষ্ঠানে কৃত্তিম এবং প্রাকৃতিক বিভিন্ন ধরনের ফুল ব্যবহার করা হয়। আপনি চাইলে এই ব্যবসাটি শরু করতে পারেন ।

২১. লন্ড্রী বা ধোঁপার ব্যবসা-

আমরা আদিকাল থেকেই ধোপার ব্যবসা দেখে আসছি। মূলত এটি একটি ছোট ব্যবসা হলেও এই ব্যবসাটি আমাদের সবারই প্রয়োজন হয়ে থাক।

তাই এই ব্যবসাতে অনেক বেশি কাস্টমার পাওয়ার সুযোগ রয়েছে।

বর্তমানে বিভিন্ন ধরনের ডিজিটাল ওয়াশিং মেশিন বের হয়েছে । যেগুলো ধোপার বা লন্ড্রীর কাজকে আরো সহজ করে তুলেছে।

তাই আপনি চাইলে এই ব্যবসাটি শুরু করতে পারেন । এই ব্যবসা থেকে সবচেয়ে বেশি লাভ  করার সুযোগ রয়েছে।

২২. মোবাইল এজেন্ট ব্যাংকিং- 

বর্তমানে বিভিন্ন ধরনের মোবাইলে এজেন্ট ব্যাংকিং সেবা চালু হয়েছে। আপনি চাইলে যেকোনো মোবাইল ব্যাংকিং এর এজেন্ট নিয়ে ব্যবসা শুরু করতে পারেন।

এর জন্য বিভিন্ন ধরনের মোবাইল ব্যাংক যেমন- বিকাশ, রকেট, ডাচ বাংলা, শিওরক্যাশ, উপায় ইত্যাদির এজেন্ট নিতে পারেন।

এই ব্যবসাগুলো আপনি আপনার সুবিধামতো অন্যান্য ব্যবসার সাথেও করতে পারবেন।

মোবাইল এজেন্ট ব্যাংকিং এর ব্যবসার বেশি লাভ হয়ে থাকে । এতে কোনো প্রকার লস নেই বললেই চলে।

কারণ এখানে আপনি হাজারে কমিশন হিসেবে লাভ পেয়ে যাবেন।

২৩. ফটোকপি ব্যবসা-

আমরা আদিকাল থেকেই ফটোকপির ব্যবসার সাথে সবাই পরিচিত। আমাদের বিভিন্ন ধরনের কাগজপত্র ছাপাতে আমরা ফটোকপির দোকানে গিয়ে থাকি।

এই ব্যবসাটি খুচরা ব্যবসা হলেও এতে সবচেয়ে বেশি লাভ হয়ে থাকে।

আপনি ফটোকপি ব্যবসার মাধ্যমে ৫ হাজার টাকা খরচ করে আরো ৫ হাজার টাকা লাভ করতে পারবেন।

যা অন্যান্য ব্যবসার তুলনায় অনেক বেশি । তাই ব্যবসাটি করতে ইচ্ছুকক হলে শুরু করে দিন।

এছাড়াও বর্তমানে ডিজিটাল পদ্ধতিতে বিভিন্ন ধরনের ফটোকপি মেশিন রয়েছে। যেগুলো ক্রয় করে আপনি র্স্ম্ট বিজনেস হিসেবে ফটোকপি ব্যবসা করতে পারবেন।

২৪. বিউটি পার্লার ব্যবসা-

বর্তমানে বিউটি পার্লারের চাহিদা অনেক রয়েছে। তাছাড়াও এখন ছেলে এবং মেয়েদের উভয় রকমের বিউটি পার্লার অনেক দেখা যায়।

আপনি চাইলে এই পার্লার ব্যবসাটি করতে পারেন।

আপনি নিজে কিছূ ধারণা নিয়ে এবং অভিজ্ঞ বিউটিশিয়ান দ্বারা কাজ করিয়েও ব্যবসাটি পরিচালনা করতে পারবেন।

২৫. চা-বিক্রির ব্যবসা- 

এটি একটি ছোট ব্যবসা হলেও আপনি অন্যব্যবসার তুলনায় এটি থেকে সবচেয়ে বেশি লাভ করতে পারবেন।

এই ব্যবসা করার জন্য তেমন বেশি পরিমানে টাকা ইনভেস্ট করতে হবে না।

এছাড়াও এই ব্যবসার প্রচুর কাস্টমার রয়েছে।

এই ব্যবসা থেকে খরজের দ্বিগুন পরিমাণ লাভ করা সম্ভব।

তাই আপনার ইচ্ছা থাকলে চা-বিক্রির ব্যবসাটি শুরু করে দিতে পারেন কোনো প্রকার রিক্স ছাড়াই।

২৬. ঠিকাদারী ব্যবসা-

বর্তমান সময়ের সবচেয়ে বেশি লাভজনক ব্যবসা হচ্ছে ঠিকাদারী ব্যবসা।

তবে এই ব্যবসা করার জন্য আপনাকে লাখ লাখ এবং কি কোটি টাকাও ইনভেস্ট করা লাগতে পারে।

এটি একটি বড় ব্যবসা আইডিয়া । আপনার যদি প্রচুর টাকা এবং প্রবল ইচ্ছা থাকে তাহলে এই ব্যবসাটি শুরু করতে পারেন।

এতে যেমন প্রচুর লাভ রয়েছে ক্ষেত্র বিশেষে আবার অনেক সময় বেশি পরিমাণে লস হওয়ার সম্ভাবনাও রয়েছে।

তবে এই ব্যবসার লাভের হার অনেক বেশি হয়ে থাকে।

২৭. মাছ চাষের ব্যবসা-

আদিকাল থেকে আজ পর্যন্ত যত ধরনের ব্যবসা রয়েছে তার মধ্যে সবচেয়ে লাভজনক ব্যবসা হচ্ছে মাছ চাষের ব্যবসা।

তবে মাছ চাষের ব্যবসা করার জন্য আপনার ভালো পরিমানের টাকা খরচ করতে হবে।

এছাড়াও নিজস্ব পুকুর থাকতে হবে । তবে নিজস্ব পুকুর না থাকলেও পুকুর ভারা নিয়েও মাছের চাষ করতে পারবেন।

আপনি যদি মাছ চাষের অভিজ্ঞতা না থাকে, তাহলে যুব উন্নয়ন প্রশিক্ষন কেন্দ্র থেকে অথবা সমাজ সেবা অফিস থেকে মৎ চাষের প্রশিক্ষণ গ্রহণ করার মাধ্যমেও মাছ চাষ করতে পারবেন।

২৮. মুদি দোকানের ব্যবসা-

বর্তমানের আরেকটি বেশি লাভজনক ব্যবসা হলো মনোহরি বা মুদি দোকান ব্যবসা।

আমাদেরকে প্রতিনিয়ত নিত্য প্রয়োজনীয় পন্য কেনার জন্য গ্রাম থেকে বাজারে বা শহরে যেতে হয়।

তাই আপনি যদি যেখানে নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসের অভাব রয়েছে সেইরকম জায়গা বেছে নিয়ে একটি মুদি দোকান দিয়ে মানুষের জন্য নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসের সরবরাহ করে থাকেন।

অবশ্যই পড়ুন, 

তাহলে, সবাই আপনার দোকান থেকেই তাদের প্রয়োজনীয় নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্র ক্রয় করে থাকবে।

এতেকরে আপনি প্রচুর মানুষকে সেবা দেওয়ার পাশাপাশি বেশি পরিমাণে লাভ সহ ব্যবসার প্রসার ঘটাতে পারবেন।

২৯. গৃহপালিত পশু পালনের ব্যবসা-

আমাদের দৈনিক প্রয়োজনে আমরা বিভিন্ন রকমের গৃহপালিত পশু যেমন- ষাঁড় গরু, গাভী, ছাগল,খাসি, হাঁস, মুরগি, সহ আরো বিভিন্ন রকমের পশু পাখি পালন করে থাকি।

তবে এই গুলো পালন অনেকটাই লাভজনক হয়ে থাকে। আপনি চাইলে গরু, ছাগল অথবা মুরগী যদি খামার আকারে অথবা বেশি পরিমাণে পালন করতে পারেন।

তাহলে দেখবেন যে গৃহপালিত পশুপালনের মাধ্যমে সবচেয়ে বেশি লাভ করতে পারবেন।

৩০. কাঁচা মালের ব্যবসা-

আপনি যদি গ্রামের বাসিন্দা হন, এবং আপনার যদি প্রচুর সময় থাকে । তাহলে আপনি কাঁচামালের ব্যবসা করতে পারবেন।

এই ব্যবসা থেকে বেশি পরিমাণে লাভ করার জন্য আপনাকে গ্রাম থেকে কাঁচা তরি-তরকারি কিনে নিয়ে সেগুলো শহরের হাটে বাজারে গিয়ে বিক্রি করতে হবে।

তবেই এই ব্যবসা থেকে সবেচেয়ে বেশি আয় করা সম্ভব হবে।

এছাড়াও আপনি নিজেই বিভিন্ন ধরনের সবজি চাষ করেও সেগুলো বিক্রি করার মাধ্যমেও বেশি পরিমাণে লাভ করতে পারবেন।

প্রশ্ন-উত্তর:

বর্তমানে সবচেয়ে বেশি লাভজনক ব্যবসা কোনটি?

ডিজিটাল মার্কেটিং। বর্তমান সময়ে সবচেয়ে জনপ্রিয় এবং লাভজনক ব্যবসা হলো ডিজিটাল মার্কেটিং। ডিজিটাল মার্কেটিং করার জন্য বিভিন্ন ধরনের ই-কমার্স ওয়েবসাইট বা প্লাটফর্ম রয়েছে।

সেগুলোর মাধ্যমে আপনি আপনার ঘরে বসেই ডিজিটাল মার্কেটিং করতে পারবেন এবং ডিজিটাল মার্কেটিং করার জন্য আপনার কোনো দোকান ঘর ভারা নিতে হবে না। এতে সবচেয়ে বেশি লাভ করতে পারবেন খুব সহজেই।

কি ব্যবসা করলে ভালো হয়?

কাপরের ব্যবসা- 

কাপড়ের ব্যবসা হচ্ছে সর্বকালের একটি সার্বজনীন ব্যবসা যা ভবিষ্যতেও চলমান থাকবে। তাই আপনি এই ব্যবসাটি পরিচালনা করতে পারেন।

ইন্টারনেট বা ওয়াইফাই সার্ভিস-

আপনার এলাকায় যদি এখানো ওয়াইফাই লাইন না গিয়ে থাকে তাহলে আপনি ওয়াইফাই ব্যবসাটি শুরু করতে পারেন। নেটওয়ার্কিং ব্যবসাতে অনেক বেশি লাভ হয়ে থাকে।

ই-কমার্স ব্যবসা-

অনলাইনের মাধ্যমে নিজের ঘরে বসেই বিভিন্ন ধরনের ই-কমার্স ব্যবসা করতে পারেন। কারণ অনেকেই ঘরে বসেই অনলাইনের মাধ্যমে নিজেদের কেনা কাটা করতে পছন্দ করেন।

বর্তমানে ই-কমার্স ব্যবসাগুলোর চাহিদা অনেক বেশি।

ষাঁড়- গাভী, ছাগল, মুরগী পালন-

বর্তমানে ষাঁড়, গাভী, মুরগী পালনে অনেক বেশি লাভ করা সম্ভব। তাই আপনি বিভিন্ন ধরনের গৃহপালিত প্রাণীগুলো পালন করে
সবচেয়ে বেশি লাভবান হতে পারবেন।

কোন ব্যবসায় লাভ বেশি?

বর্তমান সময়ে কয়েকটি ব্যবসায় সবচেয়ে লাভ করা যায়। ব্যবসাগুলো হলো-

  • ইন্টারনেট বা ওয়াইফাই ব্যবসা
  • কাপড়ের ব্যবসা
  • পুরাতন ফার্নিচার ব্যবসা
  • অনলাইনে কোর্স বিক্রি
  • পুরাতন কম্পিউটার বিক্রি

আজকের শেষ কথা,

পরিশ্রম হলো সকল সাফল্যের মূল চাবিকাঠি। তাই আজ আমি আপনাদের যে ৩০ টি বর্তমানে সবচেয়ে লাভজনক ব্যবসা আইডিয়া দিয়েছি।

এগুলোর মধ্য থেকে আপনার যে ব্যবসাটি করতে পছন্দ হয় সেটি করতে পারেন। তবে যেই ব্যবসাটি করেন না কেন? আপনাকে অবশ্যই পরিশ্রম করতে হবে ব্যবসায় সফল হওয়ার জন্য।

সবচেয়ে বেশি লাভজনক ব্যবসা আইডিয়া গুলো কেমন লাগলো তা কমেন্ট করে জানিয়ে দিন।

আর বাংলাদেশে সবচেয়ে লাভজনক ব্যবসা কোনটি ? তা অবশ্যই আপনার বন্ধূদের জানাতে শেয়ার করুন । ধন্যবাদ

Leave a Comment